পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Sఆక్షి " ১৩৪ভ_ “আমাদের কলেজের নোটিস্-বোর্ডে একটা এডভারটাইজমেণ্ট---” ঠাকুরদাদা উঠিয়া বসিলেন, বলিলেন—“ও, হঁ্যা হ্যা, ঠিক, আমার চাই একটি টিউটর । কোন ইয়ারে পড়েন আপনি ?” ছেলেটি ইয়ারে।” বেশ ছেলেটি —দীর্ঘ, সবল চেহারা ; শাদা, ছিমছাম পরিচ্ছদ ; মুখে বেশ একটি বুদ্ধির ছাতি। একটা আবেদন লইয়া আসিয়াছে ; কিন্তু কোথাও একটুও হীনতার ভাব নাই, হদ একটু সলজ্জ বলিতে পারা যায়। বুদ্ধের ভাল লাগিল, বলিলেন—“বক্ষন, বস্থন ঐ চেয়ারটায়। থার্ড ইয়ারে পড়েন। তা হ’লে ত আমাদের অর্চনার সঙ্গে আলাপ আছে নিশ্চয়।” ছেলেটি অজ্ঞের মত একটু ভ্ৰ কুঞ্চিত করিল মাত্র, যেন মনে করিবার চেষ্টা করিতেছে । "চেনেন না ? ক’টি ফিমেল ষ্টুডেন্ট থার্ড ইয়ারে ” ছেলেটি ভ্র দুইটি একটু তুলিয়া বলিল—“ও, মিস্ রায়ের কথা বলছেন ? তিনি কি এই বাড়ীতেই...” “আমার নাতনী কিনা। এই ত ছিল একটু আগে । .. অর্চ !" প্রবীর আসিয়া বলিল—“দিদি এইমাত্র গাড়ীতে ক’রে বেরিয়ে গেল।” “কোথায় গেল হঠাৎ ?--যাকৃ, আলাপ হবেই। হ্যা, কলেজে অার আলাপ হবে কি ক’রে ?—অত সময় ত পাওয়া যায় না।---এই ছেলেটি আপনার ছাত্র । তোমার মাষ্টার মশাই, বীরু ; প্রণাম কর।--কি নাম আপনার ?” “বিমলেন্দু দত্ত ।” “থার্ড ইয়ার—বি-এসসি ?” “আজ্ঞে না, আর্টস।” “কি কি সাজেক্ট নিয়েছেন ?...আর সাজেক্টের জন্তে ত ভারি বাধা ?-ছাত্র আপনার মোটে ফিফথ, ক্লাসে ত পড়ে।” “ম্যাথেমেটিক্স আর হিষ্ট্রি ” "অৰ্জুরও ত এই কম্বিনেন্তন ।" একটি ঢোক গিলিয়া বলিল—“থার্ড বিমলেন্দু চোখ তুলিয়া সামনের গাছটার ডগায় অত্যন্ত মনোযোগের সহিত কি-একটা দেখিতে লাগিল। ঠাকুরদাদা মনে মনে হাসিয়া নিজের মনেই বলিলেন— “দেখ এ-যুগ আর সে-যুগ —শুামবাজারের মেয়ে-স্কুল খুলল ; —মাইলথানেক পথ ঘুরে কলেজে গেছি—একটু পাশ দিয়ে যাবার লোভে। আর এরা এক ক্লাসে পড়ে—এক কম্বিনেশুন—নাম পৰ্য্যস্ত জানে না –ভালই।” এ-যুগের এ-বেচারীরা একটু লাজুক বেশী। মেয়েরা যতই বাহির হইয়া আসিতেছে, ইহারা ততই যেন সঙ্কুচিত হইয়া অস্তমুখী হইয় পড়িতেছে । অথচ শরীরের চর্চাও করে সব পূর্বের চেয়ে বেশী ; পুরুষালি ভাব আছে-ইঞ্চি-ইঞ্চি করিয়া সযত্নে বুকের ছাতি বাড়ায়—চওড়া ছাতি চিতাইয়া দাড়ায়। এই ছেলেটি ওদেরই টাইপ। বেশ ভাল লাগিতেছিল বিমলেন্দুকে । নূতন পরিচয় হিসাবে কথাবার্তা একটু বেশীই হইল বরং,— টুইশুনের পরিধির বাহিরেও গড়াইয় গেল । “অনাস নেওয়া হয়েছে ?--অর্ণ নিলে না, মেয়েছেলের অতটা দরকারও নেই ।” “আঞ্জে হ্যা, ম্যাথেমেটিক্স।” “হ ; ম্যাথেমেটিক্সে। আর অনাস –হাই এডুকেশুনের যা অবস্থা ! পড়ে লোক ক’রবে কি। . আপনার উদ্দেশুটা কি ? ঠিক করেছেন কিছু ? “দেখি, কমূপিটিটিভ, এগজামিনেশুন দেওয়ার ইচ্ছে আছে কোন-একটা ।” বিমলেন্দুর আর যাহাই দোষ থাক, আত্মশ্লাঘাটা নাই। কথাটা নিজের কানেই একটু গালভরা শুনাইল বলিয়া জুড়িয়া দিল, “কোন রকম ব্যাকিং-এর জোর নেই কিনা যে এমনি চাকরি-বাকরি কোথাও পেতে পারব---” বাঃ, বেশ ছেলে, ঠাকুরদাদার উত্তরোত্তর এর সাহচৰ্য্যটি বেণী করিয়া ভাল লাগিতেছিল—প্রজাপতি কি অবতীর্ণ হইলেন বুদ্ধের মধ্যে ? একটা কথা জিজ্ঞাসা করিবার ইচ্ছা হইতেছিল ; কিন্তু একটু কুষ্ঠাও হইতেছিল। অবশেষে একটু বুরাইয়া বলিলেন—“হ্যা, ষ্টুডেন্ট-কেরিয়ার ভাল হ’লে ও-দিকেই চেষ্টা করা ভাল।” মুখের দিকে একটু সপ্রশ্ন নেত্ৰে চাহিলেন ; কিন্তু কোন