পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

హ్చిపెనీల so TSNరిశ్రిల్ चांक्षीण्नद्म श्रवांशैनख cङ्गजि ब्रांख्रौढिब्र चोग्रं वर्षंौडिब्र cश्चये। जैौगांवक नग्न । ननांtछब्र जर्षहौन निघ्नन-कांशूनखनिe णक लक भांग्लायब्र জীবনকে পলু করে রেখেছে। জাজ কোটি কোটি নরনারায়ণ সমাজে অম্প গু হয়ে আছে। সাধারণের কুপ তারা তে পায় ন, মন্দিরের দরজা তাদের মুখের উপরে বন্ধ হয়ে যায়, ইস্কুলে তাদের ছেলেমেয়ের পড়তে গেলে বর্ণহিন্দুরা জাপত্তি জানায়। বে অর্থহীন বিধিনিষেধ অস্পষ্ঠতার আধিপত্যকে আজও অক্ষুণ্ণ রেখেছে, সেই বিধিনিষেধের জন্তই অবরোধ-প্ৰথা আজও বিলুপ্ত হয়ে যায় নি। পর্দার অন্তরালে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বৎসরের পর বৎসর যাদের যাপন করতে হয় বৈচিত্র্যহীন কাজের মধ্যে—খাওয়ার পরে রাধ, আর রাখার পরে খাওয়া ছাড়া বাদের অস্ত কৰ্ম্ম নেই, বৃহত্তর জগতের বিশাল জীবনধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যার অন্তঃপুরের অবরোধের মধ্যে যাপন করে বন্দিনীর অভিশপ্ত জীবন, তাদের দুর্ভাগ্য সত্যই জপরিসীম। এই যে জগৎ-জোড়া দু:খ—যার মূলে রয়েছে মানুষের দুৰ্দ্ধমনীয় ক্ষমতাপ্রিয়তা আর উৎকট অর্থলোভ—এই দুঃখের অবসান ঘটানো একেবারেই অসন্তৰ লয়। মানুষের হৃদয়হীনতা পৃথিবীকে নরক করে তুলেছে। মানুষেরই ভালবাসা তাকে স্বর্গ করে তুলবে। মানুষের ভীরুতার উপরেই অস্কার দাড়িয়ে আছে ; মানুষেরই দুর্জয় সাহস তার অবসান ঘটাৰে । কিন্তু কেবল পুরুষকে দিয়ে এই নূতন জগৎ স্বটির কোন আশা নেই। বঙ্গে মহিলাদের কর্তব্য বঙ্গে পুরুষদের কৰ্ত্তব্যের যেমন অস্ত নাই, মহিলাদের কৰ্ত্তব্যেরও তেমনই অন্ত নাই। মহিলারা নানা প্রকারে দেখাইয়াছেন, যে, সাহসের অভাবে যে র্তাহারা কোন কাজ করিতে অসমর্থ এমন অপবাদ তাহাদের সকলকে দেওয়া চলে না। এই জন্ত আমরা যাহা বলিতে যাইতেছি, বঙ্গনারীগণ সকলেই ভীরু এরূপ ভ্রান্ত ধারণা বশতঃ তাহা বলিতেছি না, আশা করি মহিলারা তাহা বিশ্বাস করিবেন। আমাদের বক্তব্য, আপাততঃ কিছু কাল মহিলারা রাষ্ট্রনীতিঘটিত কাজ পুরুষদের হাতে রাখিয়া দিন। মহিলারা এখন কিছু কাল বালিকাদের ও নারীদের অজ্ঞতা দূর করিবার এবং মানসিক ও দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করিবার কাজে আত্মনিয়োগ করুন। বঙ্গের নারীগণকে এরূপ অনুরোধ করিবার কারণ ইহা নহে, যে, রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে বা জাতীয় জীবনের সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্ত জীবগুক অন্তান্ত সাৰ্ব্বজনিক কার্ধ্যের ক্ষেত্রে পুরুষের একাই এখন যথেষ্ট চেষ্টা করিতেছেন বা কখনও করিতে পরিবেন । পুরুষেরা একা এখন তাহা করিতেছেন না এবং কখনও করিতে পারিবেন না । নারীদের সাহায্য আবশ্বক হইবে। কিন্তু নারীদের মধ্যে জ্ঞান বিস্তারের চেষ্টা অতি অল্প হইতেছে। মহিলারা নিজে এই কাজে যথেষ্ট সময়ও শক্তি নিয়োগ না করিলে নারীসমাজের অজ্ঞতা দূর হইবে না, এবং অজ্ঞতা দূর না হইলে তাহাদের মানসিক ও দৈহিক শক্তিও বাড়িবে না। তাহাদের অজ্ঞতা দূর না হইলে তাহার রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য করিতে পারিবেন না। আমরাইহা জানি ও বুঝি,যে, কোন দেশেই রাষ্ট্রশক্তি সকল বয়সের সকল পুরুষ ও নারীর মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের অকপট সমর্থক না হইলে এবং এরূপ শিক্ষা বিস্তারের জন্ত যথেষ্ট রাজস্ব ব্যয় না করিলে, সে দেশে কি পুরুষদের কি স্ত্রীলোকদের মধ্য হইতে অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করা যায় না এবং ইহাও সত্য, যে, কোন দেশের গবন্মেণ্ট স্বজাতীয় না হইলে এবং সেই দেশের অধিবাসীরা স্বশাসক না হইলে, সেখানে রাষ্ট্রশক্তি শিক্ষাবিস্তারে উল্লিখিত ভাবে আনুকূল্য করে না। কিন্তু আমাদের দেশে কবে জাতীয় গবক্সেণ্ট স্থাপিত হইবে, কবে স্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হইবে, তাহার অপেক্ষায় বসিয়া থাকা চলে না। আমাদের নিজের চেষ্টায় যতটা হয়, ততটা আমাদিগকে করিতে হইবে। ইহাও মনে রাখিতে হইবে, যে, কি পুরুষসমাজে কি নারীসমাজে, জ্ঞানালোকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদিগের দ্বারা স্বরাজলাভের চেষ্টা যেরূপে যতটা সাফল্যলাভের সম্ভাবনার সহিত হইতে পারে, অজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা তাহা হইতে পারে না । এরূপ বলিবার অর্থ ইহা নহে, যে, সকলে আগে মহাবিদ্বান হউন, তার পর রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে কৰ্ম্মী হইবেন । ইহা আমরা জানি, যে, নিরক্ষর বা পুস্তকগত বিস্তায় অতি অল্প অধিকারী কোন কোন লোকও রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন। কিন্তু এসব ব্যতিক্রমস্থল ছাড়িয়া দিয়া আমরা ইহাই বলিতে চাই, যে, অন্ততঃ সাধারণ লিখনপঠনের ক্ষমতা এবং ভূগোল, ইতিহাস ও হিসাবের সাধারণ জ্ঞান সকলের থাকিলে রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে চেষ্টার সাফল্য অধিক হইবার সম্ভাবনা ৷ রাজনীতিক্ষেত্রে কাজ করিবার জন্তই জ্ঞানেব আবণ্ডক এমন নয়। জীবনের সকল রকম কাজের জন্ত শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রয়োজন—গৃহস্থালীর কাজের জন্তও দরকার। শিক্ষিতা মহিলারা বিশেষ করিয়া নারীশিক্ষার বিস্তারে মনোযোগী হইলে, আরও এই একটি জুবিধা হয়,