পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

------" ছু অগ্রহায়ণ তাহারা জ্ঞানবিস্তারের প্রয়োজন বুঝাইয় দিতে পারেন । পুরুষেরা তাহ পারেন না। জাপানে শিক্ষার অবস্থা জাপানের পরদেশলোলুপতা কোন স্বাধীনতাপ্রিয় স্কায়পরায়ণ ব্যক্তি সমর্থন করেন না। কিন্তু তাহা হইলেও জাপানের পরাক্রমে সকলে বিস্থিত। পণ্যশিল্প ও বাণিজ্যের ; ক্ষেত্রেও জাপানের কৃতিত্ব সকলকে আশ্চর্ধাৰিত করিয়াছে। ; জাপানের পরাক্রমের ও শিল্পবাণিজ্যে কৃতিত্বের একটি প্রধান কারণ তথাকার শিক্ষাপ্রণালী ও সকলের মধ্যে } শিক্ষার বিস্তার। নিতান্ত শিশু ও হাবা ভিন্ন জাপানে ঃ সবাই লিখিতে পড়িতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা-লাভ করিবার বয়সের যত বালকবালিকা জাপানে আছে, তাহাদের মধ্যে শতকরা সাড়ে নিরানব্বই জন, অর্থাৎ হাজারকরা ৯৯৫ জন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করিতেছে। আর ভারতবর্ষে ? বঙ্গে ? ৬৪ বৎসর পূৰ্ব্বে ১৮৭২ খ্ৰীষ্টাব্দে জাপানে আবণ্ডিক -: s 烹 曼 প্রাথমিক শিক্ষা (কম্পালসারি প্রাইমারী এডুকেশুন ) বাংলাদেশে কোম্পানীর রাজত্বের গোড়ার দিকে, যখন }গবশ্লেষ্ট শিক্ষা নিয়ন্ত্ৰণ করিবার ভার গ্রহণ করেন নাই সেই "সময়ে সাধারণ লেখাপড়ার জ্ঞান এখনকার চেয়ে শতকরা অধিক লোকের ছিল। মোটামুটি এক শত বৎসর আগেকার এডাম সাহেবের শিক্ষাবিষয়ক রিপোর্ট হইতে ইহা জানা .ैषांम्र । গবয়েন্ট শিক্ষার ভার নিজের হাতে লইবার আগে যদি দৈশের লোকে সাধারণ লিখনপঠনক্ষমত্বের বিস্তার ¥খনকার চেয়ে বেশী করিতে পারিয়া থাকেন, তাহা হইলে །ས༢༩ང་ཁའི་དཀའ་ཁག་༣ ལྷ་ཥ་ཀ"མ་ལ་ཝ་r ફેં নিখিল-বঙ্গ ছাত্ৰসম্মেলন গত ২৪শে আশ্বিন কলিকাতার শ্রদ্ধানন্দ পার্কে নিখিলঙ্গি ছাত্ৰসম্মেলনের প্রথম অধিবেশন হয়। কলিকাতার ও কিম্বলের প্রায় ছয় শত ছাত্রপ্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দাছিলেন। বিবিধ প্রসঙ্গ—নিখিল-বঙ্গ ছাত্ৰসম্মেলন רפa2ל ইহার অভ্যর্থনা সমিতির নেত্রী শ্ৰীমতী আনিলা দাসগুপ্ত তাহার অভিভাষণে অন্তান্ত কথার মধ্যে বলেন, ছাত্রছাত্ৰীগণের কার্য্যাবলীর রাজনৈতিক দিকটা বিশেষ আশাপ্রদ নহে । চারিদিকে অর্ডিন্যান্স, সান্ধ্য-জাইন, নিষেধাত্মক আদেশ প্রভৃতির ছড়াছড়ি। পরিশেষে জনরক্ষা জাইনের আকস্মিক আবির্ভাৰ আমাদিগকে মুহ্যমান করিয়াছে। অনেকে বলেন, রাজনীতি আলোচনা ছাত্রবৃঙ্গের উচিত নহে ; কিন্তু যেখানে ছাত্রছাত্রীবৃঙ্গের কার্য্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ ও রোধ করিবার জস্ত এত বিধিনিষেধের ছড়াছড়ি সেখানে ছাত্রছাত্রীদের রাজনীতি বর্জন করা সম্ভব নহে। ছাত্রছাত্রীদের ভোট দিবার অধিকার দেওয়া হইয়াছে ; ইহা হইতে বুঝা যায় যে, তাহাজের রাজনীতি আলোচনা করিবার প্রয়োজন ও অধিকার অাছে। ছাত্রছাত্রীগণকে রাজনীতি আলোচনা করিতেই མྰ་སྰ་ ཞར “ ། প্রকৃত দেশহিতৈষী তাহাদিগকে সমর্থন করিতে ছাত্রছাত্রীদের রাজনীতির আলোচনা করা অবশুই উচিত। জাতির হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের ভার ছাত্রসমাজের গ্রহণ করিতে হইৰে এবং সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হইয় তাহাদিগকে কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইতে হইৰে । এখন র্যাহারা স্কুল-কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করিতেছেন, তাহাদিগকে জাতির হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের ভার, তাহারা প্রস্তুত হইবার পর, গ্রহণ করিতে হইবে, এবং র্তাহারা প্রস্তুত হইবার পর, তাহাদিগকে কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইতে হইবে, ইহা আমরা স্বীকার করি। প্রাপ্তবয়স্ক যেসকল লোক ছাত্র নহেন, তাহার রাজনৈতিক আন্দোলনে যে-ভাবে ব্যাপৃত হন এবং তাঁহাতে যতটা সময় ও শক্তি নিয়োগ করেন, ছাত্রছাত্রীদের সেই ভাবে উহাতে ব্যাপৃত হওয়ার ও তাহাতে ততটা সময় ও শক্তি নিয়োগ করার আমরা সমর্থন করি না । অনন্তকৰ্ম্ম রাজনৈতিক কৰ্ম্মী কতকগুলি সব দেশেই থাকা আবশুক। ভারতবর্ষের মত পরাধীন দেশে তাহা অধিকতর আবগুক। ছাত্রছাত্রীরা পঠদ্দশায় অবগু এইরূপ অনন্তকৰ্শ্ব রাজনৈতিক কৰ্ম্ম হইতে পারেন না ; কারণ তখন জ্ঞানার্জন ও চরিত্রগঠন তাহাদের প্রধান কাজ। রাজনৈতিক কৰ্ম্মীদের মধ্যে যাহারা অনন্তকৰ্ম্ম রাজনৈতিক কৰ্ম্মী নহেন, ছাত্রছাত্রীরা তাহাদের মত কতক সময় রাজনৈতিক বিষয়ের আলোচনায় ও কাজে দিতে পারেন । এই সব কৰ্ম্মীদের মধ্যে বণিক ব্যারিষ্টার উকিল ডাক্তার কৃষিজীবী পণ্যশিল্পী শ্রমিক প্রভৃতি যেমন নিজের নিজের বৃত্তির কাজ করেন এবং তাহার উপর রাজনৈতিক কাজও করেন, ছাত্রছাত্রীরাও সেইরূপ নিজেদের