পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহাদিগকে ছাড়িয়া দেওয়া হয় না । কিন্তু যাহারা বিচারান্তে দণ্ডিত হইয়াছে, তাহারা নির্দিষ্ট কাল কারাবাসের পর খালাস পাইবার পরে যে আবার বেআইনী কিছু করিবে না তাহার কি গ্যারাটি আছে ? বলা যাইতে পারে, তাহারা জেলে কষ্ট পাইয়াছে, তাহা স্মরণ করিয়া আর আইন ভঙ্গ করিবে না । কিন্তু বিনাবিচারে বন্দীরাও ত আটক থাকা কালে বন্ধ দুঃখ ভোগ করে ; তাহাদিগকে ছাড়িয়া দিলে সেই সব দুঃখের স্থতি তাহাদিগকে আইন ভঙ্গ হইতে কেন নিবৃত্ত রাখিবে না ? এবং যে-কেহ আইন ভঙ্গ করিবে, তাহাকে দও দিবার পথ ত খোলাই আছে। অতএব বিনাবিচারে যাহাদিগকে বন্দী করা হইয়াছে, তাহাদিগকে ছাড়িয়া দেওয়া খুবই উচিত । উচ্চতর ও উচ্চতম সরকারী কৰ্ম্মচারীরা অনেকে বলিয়া থাকেন, কে বলে কাহাকেও বিনা বিচারে বন্দী করা হইয়াছে ? এক এক জন জজ বা দুজন জজ একত্র অনেক বন্দীর বিরুদ্ধে প্রমাণ দেখিয়াছেন, তাহারা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাহাদিগকে আটক করা হইয়াছে। এখানে দুটি প্রশ্ন উঠে । আদালতে প্রকাগু বিচার হইলে উভয় পক্ষের উকীলব্যারিষ্টারদের দ্বারা সাক্ষ্য ও প্রমাণ সব পরীক্ষিত হয় । এইরূপ সাহায্য পান বলিয়া জজেরা ঠিক বিচার করিতে পারেন । তাহাতেও মধ্যে মধ্যে র্তাহাদের ভ্রম হয় । সুতরাং এক জন বা দুজন জজ উকীল-ব্যারিষ্টারদের সাহায্য ব্যতিরেকে প্রমাণগুলা দেখিলেই তাহাতে স্ববিচার হইতে পারে না। দ্বিতীয় প্রশ্ন এই, যে, বিনাবিচারে বন্দী প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধে নৰী এইরূপে জজদের দ্বারা পরীক্ষিত হইয়াছে বা হয়কি? কোন কোন অত্যুচ্চ রাজপুরুষ বলিয়াছেন, আমি যদৃচ্ছাক্রমে কোন কোন নর্থী দেখিয়াছি, এবং তাহাতে বন্দীদের অপরাধ সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হইয়াছি। হাজার লোকের মধ্যে কয়েক জনের নাড়ী টিপিয় জরের লক্ষণ যদিই বা পাওয়া গিয়াছে বলিয়া মানিয়া লওয়া যায়, তাহা হইলে বাকী সকলের বা অধিকাংশের জর হইয়াছে বলিয়া স্বীকার করিতে হইবে কি ? to-o-o: জ্ঞানেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রায় বাহাদুর জ্ঞানেশ্রনাথ চক্রবর্তী এক সময় এলাহাবাদের গবশ্লেষ্ট কলেজ মিওর সেন্ট jাল কলেজে অধ্যাপক ছিলেন चिचिव यज्नत्र-आ७श्राप्न्। ब्राज्रटेन्ङिक चन्ी Nలిoష్ట్రీ তাহার পর তিনি স্কুল-ইনস্পেক্টর হন। গবষ্মেণ্টের চাকরী হইতে অবসর গ্রহণ করার পর তিনি লক্ষ্মেী. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলার নির্বাচিত হইয়াছিলেন । তাহার পর তিনি কিছুকাল কাশীর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভাইসচ্যান্সেলার ছিলেন । গত ২১শে আশ্বিন ৭৪ বৎসর বয়সে তাহার মৃত্যু হইয়াছে। তিনি এক জন বিখ্যাত থিয়সফিষ্ট ছিলেন, মিসেস এনী বেসান্টের সহযোগিতায় থিয়সফিক্যাল সোসাইটির মত প্রচারের চেষ্টা করিতেন। তিনি পৃথিবীর বহু দেশ পৰ্য্যটন করিয়াছিলেন। যদি তিনি নিজের ভ্রমণুবৃত্তাস্ত বা আত্মচরিত লিখিয়া গিয়া থাকেন এব। যদি তাহ প্রকাশিত হয়, তাহা হইলে তাহ বহুতথ্যপূর্ণ ও পাঠযোগ্য হইবে। তিনি বিদ্বান ও মিষ্টালাপী ছিলেন। ছাত্রসমাজ ও স্বাজাতিক প্রচেষ্টা য়ুনাইটেড প্রেস নিম্নমুদ্রিত সংবাদ দিয়াছেন। क्लिड ब्र, *हे नरवश्वब्र । অন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্ৰীযুক্ত জি এস এন আচার্ষ্য মহাঙ্গাজীকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন যে, স্বজাতিক প্রচেষ্টায় ছাত্রের কি ভাবে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক সাহায্য করিতে পারে ? তাহার উত্তরে মহাজ্জাজী লিখিয়াছেন ঃ--

  • পাঠে কোন ব্যাঘাত না জন্মাইয়া ছাত্রের দরিদ্রনারায়ণের জন্য ও তাহাজের নামে দিনে অন্ততঃ আধ ঘণ্টা করিয়া অনায়াসেই স্নত কাটিতে পারে এবং এই ভাবে যত নগণাই হউক না কেন, দেশের সম্পন্ন কিছু বাড়াইতে পারে, এবং এতদ্ব্যতীত, যাহাঙ্গের শিক্ষার সহিত কোন পরিচয় নাই এবং সারা বৎসরে যাহার! জানে না যে পেট ভরিয়া খাওয়৷ কাহাকে বলে, সেই লক্ষ লক্ষ দেশবাসীর সহিত ছাত্রেরা জীবন্তু যোগসুত্র স্থাপন করিতে পারে।”

দরিদ্র জনসাধারণের নিরক্ষরতা দূর করা এবং তাহাদের দারিদ্র্য দূর করা, ছাত্রদের জন্ত মহাত্মাজী এই দুটি কর্তব্য নির্দেশ করিয়াছেন । এবং এই কৰ্ত্তব্য পালন তাহার তাহাদের জ্ঞানলাভ চেষ্টার ব্যাঘাত না জন্মাইয়া করিবে, মহাত্মাজীর অভিপ্রায় এইরূপ, ইহা বুঝা যাইতেছে। আণ্ডামানে রাজনৈতিক বন্দী গবনর-জেনার্যালের শাসনপরিষদের অন্ততম সভ্য সৰ্ব হেনরী ক্রেকের মতে আওমোন দ্বীপ রাজনৈতিক কয়েদীদের স্বর্গ। “স্বৰ্গলাভ” তাহাজের সেখান হইতে কাহারও কাহারও হইতেছে বটে, কিন্তু দ্বীপটা যে তাহাদের পক্ষে ভূস্বর্গ নহে, তাহা ভারত-গবয়েন্টের মনোনীত দুজন · দর্শকের কথায়