পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• NZueమై9 প্রবাসী కలిge ত হয় না ; আপনার হ’ল কেমন করে, এরকম ত দেখি নি। কথাটা খুব ঠিক। বিশেষ করিয়া আমার দিন মনে ছিল এই জন্ত যে আমার জন্মদিন ও বিবাহের দিন একই হওয়াতে বিবাহের সময় ইহা লইয়া বেশ একটু গোলমাল হুইয়াছিল। তারানাথ জ্যোতিষী নিশ্চয়ই তাহ জানে না, সে জামাকে কখনও দেখে নাই, আমার বন্ধু কিশোরী সেনও জানে নী—তাঁর সঙ্গে আলাপ মোটে দু-বছরের, তাও এক ব্রিজ খেলার আডডায়, সেখানে ঘনিষ্ঠ সাংসারিক কথাবার্তার কোন অবকাশ নাই । তার পর বৃদ্ধ বলিল—আপনার দুই ছেলে, এক মেয়ে। আপনার স্ত্রীর শরীর বর্তমানে বড় খারাপ যাচ্ছে। ছেলেবেলায় আপনি একবার গাছ থেকে পড়ে গিয়েছিলেন কিংবা জলে ডুবে গিয়েছিলেন—মোটের উপর আপনার মস্তবড় ফাড় গিয়েছিল, তের বছর বয়সে । কথা সবই ঠিক। লোকটার কিছু ক্ষমতা আছে দেখিতেছি। হঠাৎ তারানাথ বলিল, বৰ্ত্তমানে আপনার বড় মানসিক কষ্ট যাচ্ছে, কিছু অর্থনষ্ট হয়েছে। সে টাকা আর পাবেন না, বরং আরও কিছু ক্ষতিযোগ আছে। আমি আশ্চৰ্য্য হইয়া উহার মুখের দিকে চাহিলাম। মাত্র দু-দিন আগে কলুটোলা ষ্ট্রীটের মোড়ে ট্রাম হইতে নামিবার সময় পাচখান নোটম্বদ্ধ মনিব্যাগটি খোয়া গিয়াছে। লজ্জায় পড়িয়া কথাটা কাহাকেও প্রকাশ করি নাই। তারানাথ বোধ হয় খটরীডিং জানে। কিন্তু আরও ক্ষতি হইবে তাহা কেমন করিয়া বলিতেছে । এটুকু বোধ হয় ধাপ্পা। যাই হোক সাধারণ হাত-দেখা গণকের মত মন বুঝিয়া শুধু মিষ্টি মিষ্টি কথাই বলে না । আমার সম্বন্ধে আরও অনেক কথা সেদিন সে বলিয়াছিল । লোকটার উপর আমার শ্রদ্ধা হইল। মাঝে মাঝে তার সেখানে যাইতাম। হাত দেখাইতে যে যাইতাম তাহা নয়, প্রায়ই যাইতাম আড্ডা দিতে। লোকটার বড় অদ্ভুত ইতিহাস। অল্প বয়স হইতে সাধুসন্ন্যাসীর সঙ্গে বেড়াইতে বেড়াইতে সে এক তান্ত্রিক গুরুর সাক্ষাৎ পায়। তান্ত্রিক খুব ক্ষমতাশালী ছিলেন, তার কাছে কিছু দিন তন্ত্রসাধনা করিবার ফলে তারানাথও কিছু ক্ষমতা পাইয়াছিল। তাহ লইয়া কলিকাতায় জালিয়া কারবার খুলিল এবং গুরুদত্ত ক্ষমতা ভাঙাইয়া খাইতে স্বরু করিল। শেয়ার মার্কেট, ঘোড়দৌড়, ফাটক ইত্যাদি ব্যাপারে সে তাহার ক্ষমতা দেখাইয়া শীঘ্রই এমন নাম করিয়া বসিল যে বড় বড় মাড়োয়ারীর মোটর গাড়ীর ভীড়ে শনিবার সকালে তার বাড়ীর গলি আটকাইয়া থাকিত—পয়সা আসিতে স্বরু করিল অজস্র। ষে-পথে আসিল, সেই পথেই বাহির হইয়াও গেল। হাতে একটি পয়সা দাড়াইল না। ভারানাথের জীবনে তিনটি নেশা ছিল প্রবল, ঘোড়দৌড়, নারী ও স্বরা। এই তিন দেবতাকে তুষ্ট রাখিতে কত বড় বড় ধনীর দুলাল যথাসৰ্ব্বস্ব আহুতি দিয়া পথের ফকির সাজিয়াছে, তারানাথ ত সামান্ত গণৎকার ব্রাহ্মণ মাত্র । প্রথম কয়েক বৎসরে তারানাথ যাহা পয়সা করিয়াছিল পরবর্তী কয়েক বৎসরের মধ্যে তাহা কপূরের ন্তায় উবিয়া গেল, এদিকে ক্ষমতার অপব্যবহার করিতে করিতে ক্ষমতাটুকুও প্রায় গেল । ক্ষমতা যাইবার সঙ্গে সঙ্গে সত্যিকার পসার নষ্ট হইল। তবুও ধূৰ্ত্তত, ফন্দিবাজি, ব্যবসাদারী প্রভৃতি মহৎ গুণরাজির কোনটিরই অভাব তারানাথের চরিত্রে না থাকাতে সে এখনও খানিকটা পসার বজায় রাখিতে সমর্থ হইয়াছে। কিন্তু বৰ্ত্তমানে কাবুলী তাড়াইবার উপায় ও কৌশল বাহির করিতেই ভারানাথের দিবসের অধিকাংশ সময় ব্যয়িত হয়, তন্ত্র বা জ্যোতিষ আলোচনার সময়ই বা কই ? আমার মত গুণমুগ্ধ ভক্ত তারানাথ পসার নষ্ট হওয়ার পরে যে পায় নাই, একথা খুবই ঠিক। আমাকে পাইয় তাহার নিজের উপরে বিশ্বাস ফিরিয়া আসিয়াছে। সুতরাং আমার উপর তারানাথের কেমন একটা বন্ধুত্ব জন্মিল । সে অামায় প্রায়ই বলে তোমাকে সব শিখিয়ে দেব। তোমাকে শিষ্য করে রেখে যাব, লোকে দেখবে তারানাথের ক্ষমতা কিছু আছে কি না। লোক পাই নি এতকাল যে তাকে কিছু দিই। একদিন বলিল—চন্দ্রদর্শন করতে চাও? চন্দ্রদর্শন cऊांभांब निषिद्वग्न cशव । झई शं८उद्र चां७८ल छूहे cछांथ বুজিয়ে চেপে রেখে দুই বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দিয়ে কান জোর করে চেপে छि६ श्रञ्च अकभरन शरव्र थांक। बिहूनिन चटऊाण कब्रटण३