পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टनक এবং নম্বর সঙ্গে সে ষে এই প্রতারণাটুকু করলে সেইটাই তার বিপদ ডেকে জানলে। দুৰ্ব্বজকে দমন করতে হলে তার প্রশ্ৰয় পাবার উপায়টাকে আয়ুরেই বিনাশ করা বুদ্ধির কাজ লৈ তার সাহসকে ছুঃসাহসে এবং আকাঙ্ক্ষাকে স্পর্তায় পরিণত করে নিতে সাহায্যই করা হয় । অল্পক্ষণ পরে গভীর পরিতাপের সঙ্গে তার ভুল সে বুঝতে পারলে। নন্দলালের অঙ্গুলির গতিভঙ্গীতে তার ছুশ্চেষ্টার জাভাস অনুভব করে তার সমস্ত সত্তা যেন সঙ্কুচিত হয়ে উঠল । ওর হাত যেন প্রকাও ক্লেদাক্ত মাকড়সার মত তাঁর সমস্ত দেহটাকে কটকিত করে তুলছে--সে যেন জাল বুনছে তার সমস্ত অষ্টের চতুর্দিকে। তার সমস্ত দেহটা বিদ্রোহ করে উঠতে চাচ্ছে। তীব্র বিদ্বেষের অনুভূতিতে তার যন্ত্রণা যেন নিম্প্রভ হয়ে গেছে। বুকের মধ্যে হৃৎপিওটা এজিনের মত আছাড় খাচ্ছে—মাথার মধ্যে রক্ত চলছে রেলের চাকার আবর্তনের গতিতে । সমস্ত চেতনা সংহত হয়ে স্পর্শম্ভূতি মাজে পৰ্যবসিত হয়েছে, এবং সেই অনুভূতি তার সমস্ত দেহকে গৌণ করে ললাটক্ষেত্রে নন্দলালের অঙ্গুলির মন্থর কম্পিত গতিবিধি অনুসরণ করে ফিরছে। সহসা তার কপালের উপর একটা ভয়াবহ উষ্ণ নিঃশ্বাস অনুভব করে সে আতঙ্কিত হয়ে চেয়ে দেখলে—তার মুখের অত্যন্ত নিকটে একটা মুখ–নন্দলালের মুখ-তার লোভাতুর নেত্রের ক্ষুধাৰ্ত্ত সেই দৃষ্টি। অকস্মাৎ তার মনে হ’ল, ও যেন একটা লোলুপ নেকড়ে বাঘ, তেমনই নিৰ্ম্মম, তেমনই বীভৎস, তেমনই ভয়ঙ্কর। এই আতঙ্কের চমক খেয়ে সে নিজের অজ্ঞাতে "ও মা গো” বলে চেচিয়ে উঠে দুই হাতে নিজের মুখমণ্ডল আবৃত করে ফেললে । কতক ভয়ে কতক বাসনার আবেগে নন্দলাল এক হাতে তার মুখ চেপে ধরলে এবং সহসা এক মুহূর্ভে তার মুখের উপর পড়ল । এই ছৰ্দাত্ত বিভীষিকার ছুঃসহ ক্লোসিক্ত সরীস্থপটার কবল থেকে বিপুল বলে সে ৰে কেমন করে নিজেকে মুক্ত ক'রে নিয়ে উঠে দাড়াল তা তার মনে নেই। দেহ তার বেঙ্গপত্রের মত কম্পিত হচ্ছে, জার এক মূহুর্ভের মধ্যে যেন সে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলবে ; ঘরের বাইরে যাবার জন্তে ছুটে সে দরজার দিকে গেল । fब८ववॆी وعا هنيه ছুশ্চিন্তার জন্তই হোক বা তার স্বামীকে সেবা থেকে মুক্তি দেবার ইচ্ছাতেই হোক, মালতীর সে-রাত্রে . নিজা গাঢ় হয় নি। কমলের প্রথম জাওয়াজেই সে উঠে পড়ে ছুটে এই ঘরে এসে উপস্থিত হয়েছিল, এবং সমস্ত দৃগুটি যেন তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রত্যক্ষ ঘটনা বলে বিশ্বাস হতে চাইল না। তার চোখের সামনে সমস্ত জগৎ সম্পূর্ণ লুপ্ত হয়ে গেল। ঐ ছৰ্দান্ত রক্তমাসলোলুপ জানোয়ারটা যে তার স্বামী, তা যেন সে ধারণার মধ্যে জানতে পারছে না। সে আবার ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে পাশের ঘরে গিয়ে মেঝের উপর আছাড় খেয়ে পড়ল। তার কাছে এক মুহূর্তে সমস্ত স্থখ-সম্পদ, ঐশ্বৰ্য্য-সংসার, সব নিঃশ্ব হয়ে গেল । মালতীকে দেখেই "নন্দলালের মনটা এক নিমেৰে শিকারের প্রবৃত্তি থেকে ভয়ের অন্ধকার গুহায় গিয়ে প্রবেশ করলে। ভীরু নন্দলালের চিত্তে পৌরুষের প্রবলতা বলে কোন বস্তু ছিল না । নিজের শক্তিতে সমাজ এমন কি মালতীর ঘৃণার বিরুদ্ধে ষে সে নিজের বাসনার উদ্ধাম স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রকাস্তে প্রশ্ৰয় দিয়ে বিদ্রোহ ক'রে দাড়াবে, এমন মেরুদণ্ডের শক্তি তার নেই। সমস্ত দিকের নিশ্চিন্তু জীবনযাত্রাকে বিক্ষুব্ধ না করে গোপনে যেটুকু উপভোগ করা যায় সেইটুকুর উপরেই তার লোভ। সমস্ত নিরাময় সংসারযাত্রায় একটা ঘোরতর বিপ্লবের সভাবনায় সে মনে মনে আতঙ্কিত হয়ে উঠল। কি করলে এর আগু প্রতীকার করা যায় তার কোন যুক্তি তার উত্তেজিত মস্তিক্ষে যেন প্রবেশ করতে চাইল না ; এবং অকস্মাৎ যেন দিশাহারা হয়েই সে ছুটে কমলের পায়ের কাছে পড়ে দুই হাতে তার পা চেপে ধরে রোদনোন্মুখ কম্পিত স্বরে বলতে লাগল “আমায় ক্ষমা কর । আমি নিতান্ত পাষণ্ড-আমি পশু । পশু ব'লেই আমাকে ক্ষমা কর । কোন পাপ তোমায় স্পর্শ করে নি। তুমি আমায় ক্ষমা কর " নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণায় কমলের তখন শ্বাস রোধ হবার মত মনে হচ্ছে । কিন্তু সে-যন্ত্রণার চেয়েও এই লোকটার স্বণিত ক্ষমাডিক্ষার নিল্পজ দুলাহল তার অলঙ্ক বোধ হতে লাগল। কোন রকমে সে ছুটে ঘরের বাইরে বেরিয়ে চলে গেল ; এবং सशांकूक निब्रांड्वंद्र गयूबब्र भएश vभक् १७ कोष्ठंब्र प्लेकरब्र। নিমজমান লোকে যেমন করে জড়িয়ে ধরে, পাশের ঘরে ছুটে