পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতীক স্বরূপ তাকেই সে অস্তরে মেনে নিলে এবং তার সহায়হীন অস্তিত্বের সমস্ত উপচীয়মান অবসাদকে দৃঢ়বলে দূর করে দিয়ে সে বেরিয়ে পড়ল আপন কৰ্ত্তব্যে। তার চিত্তে সংশয়মাত্র রইল না যে, সে দেশেরই মঙ্গলের জন্ত দেশেরই মুক্তির জন্ত তার ক্ষুদ্র জীবন উৎসর্গ করতে চলেছে। প্রতিহিংসাই যে তাকে তার এই দারুণ পন্থায় দেশোদ্ধারে অনুপ্রেরণা দান করছে, নিজেকে এমন করে বোঝবার ধৈৰ্য্য তার ছিল না । অনাহারে অনিত্রায় অসহায় নিরাশ্রয়ভাবে ঘুরে ঘুরে সীমা অবশেষে কলকাতায় নিজের কৰ্ম্মক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল। নিদারুণ দুর্দশার মধ্যে পড়ে কতবার সে নিখিলনাথের কথা :ভেবেছে । সামান্ত আহার-সংস্থানের জন্ত যখন তাকে ছদ্মবেশে ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করতে হয়েছে, তখন । কতবার ভেবেছে সে নিখিলনাথের কথা ; কিন্তু ষাকে সে নিজের উদ্ধত ধৃষ্টতায় উপহাস করে চলে এসেছে, দীনা ভিখারিণীর মত তার কাছে যেতে সীমা বারংবার সঙ্কোচে বাধা পেয়েছে। তবু এই আদর্শনের মধ্যেও নিজের অন্তরলোকে নিখিলনাথ চিন্তার মধ্যে দিয়ে তার নিকটে ষে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল এ-বিষয়ে সন্দেহ নেই। চার-পাচ মাস পরের কথা। এখন অনিন্দিতা দেবীর . "নারীভবনে তাকে সীমা বলে কেউ জানে না। তার চতুর্দিকে এই কয়মাসেই অনেকগুলি ছেলেমেয়ে একত্রিত হয়েছে। অধিকাংশই কলেজের ছাত্র ও ছাত্রী। সীমার পূৰ্ব্বপরিচিত রঙ্গলালের সাহায্যে সে নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। রজলাল ছিল মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। পূৰ্ব্বে সে তাদের দলের বাইরের সীমাস্তপ্রদেশে পরিচিত ছিল। তখনও সীমা এই দলে প্রবেশ করে নি। তার দাদার সঙ্গে রজলালের পরিচয়ের স্বত্রে বরাহনগরে সে তাদের বাড়ীতে যাতায়াত করত। তখন রজলালের কাজই ছিল সীমাকে জাতঙ্ক-পস্থায় অনুপ্রাণিত করতে চেষ্টা করা । তার নিজের মা ও বাবার স্বত্যুতে একদিন অকস্মাৎ তার চিত্ত পরিবর্তিত श्रब्र यांच्च अद९ दइधिन औयांब्र जtण डांब्र जांचकां९ झछ नेि । সীমা তাকে অনেক কষ্টে আবিষ্কার করলে এবং রজলাল هسس82 ত্ৰিৰেঞ্জী \ఠిన్క్రఫి সীমার প্রধান কৰ্ম্মকর্তা রূপে দেশের নানা জনহিতকর প্রতিষ্ঠান থেকে বেছে উপযুক্ত কৰ্ম্মী সংগ্রহে লেগে গেল। সীমা এই সকল কাজের সঙ্গে সাক্ষাৎভাবে যুক্ত থাকৃত না। নানা স্থান পরিবর্তনের পর সম্প্রতি তার নিজের আস্তান ছিল দমদমের একটি পরিত্যক্ত বাড়ীতে। এই আস্তানাটি মাত্র চার-পাচ জন ব্যতীত অন্ত সকলের অপরিজ্ঞাত ও অনধিগম্য ছিল । অধিকাংশ তরুণ কৰ্ম্মীর সঙ্গে সীমার কোন পরিচয় ছিল না এবং সীমা বা তার সঙ্গীদের কোন সদ্ধান তাদের দেওয়া হত না । নারীভবন-সংক্রাস্ত একটি বিদ্যালয়ে সে নিয়মিত অধ্যাপনা করত এবং সেখানে খাতায় নাম লিখিয়ে অনিন্দিতা দেবী “অষ্টেন্‌সিবল মীন অব লাইভলিহুডের” ব্যবস্থ৷ করতেন। একমাত্র এই নারীভবন-পরিচালনাতেই তার হাত ছিল; এবং এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তার মূল কৰ্ম্মপ্রবাহের সে কোন যোগ রাখে নি । এমনি করে তাদের কাজের ক্ষেত্র যেমন প্রসারিত হতে লাগল অর্থের প্রয়োজনও তেমনই বেড়ে চলল। এই অর্থের অনটনের স্বত্রে একদা বহুকাল পরে সে নিজেকে অনিন্দিত দেবীর ছদ্মবেশে সাজিয়ে নিখিলনাথের হাসপাতালের দরজায় গিয়ে উপস্থিত হ’ল । দরোয়ান এবারে তাকে লম্ব একটা সেলাম জানিয়ে তৎক্ষণাৎ নিখিলনাথের কক্ষে নিয়ে গিয়ে উপস্থিত করলে। দ্বরোয়ান ষে তার ছদ্মবেশ সত্ত্বেও তাকে চিনতে পেরেছে, এতে সীমার মনটা একটু অপ্রসন্ন হয়ে উঠল । 8ર নিখিলনাথ যা শুনলে তাতে মোটামুটিকতকটা সন্তুষ্ট এবং অনেকটা পরিমাণে নিশ্চিন্ত হয়ে বললে, “আমার সাধ্যমত অর্থসাহায্য করতে আমি নিশ্চয়ই ক্রটি করব না । মামুষের কল্যাণসাধনের জন্ত তোমার এই উদ্যম যাতে সফল হতে পারে তা করতেও আমি প্রাণপণ চেষ্টা করব।” সীমা মনের কথাটা চেপেরেখে বললে*মানুষের কল্যাণের জন্তে আমার মাথাব্যথা নেই ডাক্তারবাবু, আমি দেশের স্বাধীনতা চাই ; তা বই আর কিছুতে আমার আবগুক নেই।" নিখিলমাখ একটু হেসে বললে, “বেশত বাদের জs