পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9Se=్చ প্রবাসী স্বাধীনতা কামনা করছ তারাও ত মানুষ। তাদের কল্যাণ সাধন করলেই মানুষের কল্যাণ হ’ল বই কি ?” সীমার মনে নিখিলকে প্রতারণা করে তার অর্থ নিতে বাধছিল। সে একটু বীজ দিয়ে বললে, “আপনি কি মনে করেন এইসব লোকের আপাত-দুর্গতি জামাকে কিছুমাত্র বিচলিত করে ? কতকগুলো মানুষকে চিরদাসত্বের মধ্যে জারামে রাখায় কোন পৌরুষ আছে কি ? আমি অঙ্গ উদ্দেশ্যে এসব করেছি।” নিখিলনখ তার মুখের দিকে অবাক জিজ্ঞাস্থ হয়ে চাইলে । চারিদিকে একবার সতর্ক দৃষ্টি ফেলে সীমা বললে, "এই ভিজে কাঠিগুলোর যেটার মধ্যে এতটুকু ফুলিঙ্গ জীবিত অাছে তাকেই জামি জালিয়ে তুলতে চাই।” তার পর নিখিলনাথের মুখের দিকে চেয়ে তার ভাবখানা দেখে একটু উত্তেজিত হয়ে বললে, “আমি জানি আমি যা করতে যাচ্ছি আপনি তা পছন্দ করবেন না । তবু এ-ব্রত জামাকে সাধন করতেই হবে—নইলে আমার নিস্তার নেই। মৃতকল্প লোকগুলোকে নিশ্চিস্তে মরতে দিয়ে তাদের হিতসাধন করবার পরিহাস করা শুধু কাপুরুষতা নয়— निहुँब्रज्र ।” নিখিলনাথ স্তম্ভিত হয়ে চুপ করে রইল। সত্যবানের শেষ অনুরোধ তার কানে এসে বাজতে লাগল, “ওকে তুই দাবানল থেকে বাচা।” কিন্তু কি ক’রে । কি ক’রে এই আগুন নেবাবে ? কোন উপায় যেন সে ভেবে উঠতে পারে না। এইটুকু তার বুঝতে দেরী হয় নি যে কোন সুকুমার প্রলোভনে সে সীমাকে ফেরাতে পারবে না । তবে সে কি করবে ? - নিখিল থেমে থেমে বললে, “আমি ভেবেছিলাম তুমি তোমার ঐ নিদারুণ পন্থা ছেড়ে দিয়ে জনসেবা—” “সেই জন্তেই ত এগুলোর দরকার। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া দেশে যেসব ছেলেমেয়ের মধ্যে এতটুকু প্রাণ বা মনুষ্যত্ব আছে তাদের নিরাপদে জাহান করে একত্র করবার আর স্ট্রিপায় আছে বলুন ত এই সেবার জাহানেই সেই জ্যান্ত ছেলেমেয়েগুলোকে সহজেই এক জায়গায় পাব, তাই ত এত সব কাগুকারখানা । নইলে দেশের মানুষ গুলোর মধ্যে প্রাশের আগুন যখন নিবে এল, তখন সাড়ম্বরে জনহিত করবার মত সখ আমার নেই।” এতক্ষণ নিখিল মনে মনে যে আশা তার অন্ধকারের মধ্যে দূরতম নক্ষত্রের আলোকের মত পোষণ করেছিল তাও যেন সহসা নিবে গেল। সে কি করবে ? কেমন ক’রে সে সীমাকে বাচাবে ? এমন ভয়ানক কাজে সে তাকে কেমন করে সাহায্য করবে । তা সে কিছুতেই পারবে না। তবু তাকে তার নিঃসঙ্গ সৰ্ব্বনাশের বেড়াজালের মধ্যে সে কেমন ক’রেই বা পরিত্যাগ করবে ? নিখিলের মুখ দেখে তার মনের কথাটা অনুভব করে সীমা একটু লজ্জিত হ’ল। সেই সঙ্কোচটাকে জোর করে তাড়াবার জন্তে সীমা হেসে বললে, “আপনাকে সব স্পষ্ট করে খুলে বললাম, আপনি এখন আপনার নীতিবিদ্যালয়ের উপদেশমালা বের করতে পারেন।” বলে নিজের মনকে চাপা দেবার জন্তে, যেন কি একটা রসিকতা করেছে এইভাবে জোর করে হাসতে লাগল । নিখিল প্রথমে তাকে সত্যবানের কথা বলে নিরস্ত করবার চেষ্টা করলে। বললে, “সত্যদা অনেক মিনতি করে তোমাকে এ পথ থেকে নিবৃত্ত হতে বলে গেছেন। সেই মৃত মহাত্মাকে কি তোমার অসম্মান করা উচিত ?” “মৃত মহাত্মার জীবন্ত অবস্থায় তার কাছে যে দীক্ষা পেয়েছি তার চেয়ে বড় আমার কাছে কিছু নেই। মৃত্যুর দরজা থেকে তিনি যা বলে গেছেন, তাতে জীবিতের রসদ্ধ জোগানো যাবে না ।” “তিনি বলে গেছেন ‘প্রাণ দিলে প্রাণ পাওয়া যায়, প্রাণ নিলে নয়—এটা জীবিতের জন্তেই, মৃতের জন্তে বলেন নি।” • “মানুষ হত্যা করার সখ আমার নেই। আজি কোন মন্ত্রে এই হীনতা থেকে আমাদের মুক্তি দিন, কাল দেখবেন তুলসীর মালা হাতে ক’রে সাত্বিক হয়েছি। এ সবই আপনি আমার চেয়েও ভাল ক’রে বোঝেন ; তবে কেন একজন মহৎ লোকের মৃত্যুসময়ের বিপৰ্য্যস্ত মনের কথা বলে তাকে ছোট করছেন *ি নিখিল দেখলে যে সত্যবানের কথা বলে তাকে নিয়ন্ত