পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ সাত পুরুষের বাজভিটা সে বিক্রয় করিয়া ফেলিল। অন্ততঃ প্রাণ ভরিয়া সে কিছুদিন মৃত্যুর সহিত লড়াই করিতে পারিবে। খানকয়েক ভাঙাচোরা ইটের ক্রুপের পরিবর্ভে আত্মার তৃপ্তিসাধনা কি বড় কম কথা । নিকয়েক ধরিয়া জীবন-মৃত্যু লইয়া চলিল প্রচণ্ড সংগ্রাম, কিন্তু মৃত্যু যাহার ললাটে আঁকিয়া দিয়াছে তাহার বিজয়বাৰ্ত্তা, মামুষের চেষ্টা তার কি করিতে পারে । স্থশাস্ত ভাবে তাহার বিগত জীবনের প্রত্যেকটি চঞ্চল মুহূর্ভের জীবন্ত ইতিহাসের কথা। রাণীকে সে বিবাহ করিয়াছে পনর বছর পূর্বে। ছোট মেয়েটি লাল চেলি পরিয়া তাহার পাশে আসিয়া দাড়াইল। বুকের মধ্যে তাহার আনন্দের ঢেউ বহিয়া গেল। তার পরে বিবাহ-বিদায়--- সবগুলি অনুষ্ঠানই সমাপ্ত হইল। তখন কে জানিত, এই কটা সামান্ত গোনা বছরের মধ্যেই আবার নূতন করিয়া বিদায়ের বাণী বাজিয়া উঠিবে। রাণীর চোখের দৃষ্টি এক সময় অত্যন্ত প্রখর হইয়া উঠিল । স্বামীর দেহে যেন কুৎসিত অকালবাৰ্ধক্য আসিয়া দেখ দিয়াছে। স্বামীকে এত কুৎসিত সে ইতিপূৰ্ব্বে আর কখনও দেখে নাই। সে শিহরিয়া ওঠে, স্বচ্ছুকণ্ঠে বলে—দেহের গতি দিন দিন কি হচ্ছে তোমার। আমি স্বার্থপর, কোন দিকে না হয় আমার দৃষ্টি নেই, কিন্তু নিজের ভাল ষে অবুঝ সেও বোঝে । স্বশাস্ত মৃদু মৃদ্ধ হাঁসিতে থাকে। রাণী পুনশ্চ বলে, আমার পাগলামিকে প্রশ্রয় দেওয়া তোমার উচিত হয় নি। —তোমার ওষুধ খাবার সময় হয়েছে, আমি আসছি। স্বশাস্ত চলিয়া গেল। রাণী পরিপূর্ণ দৃষ্টিতে চাহিয়া থাকে-চোখের কোণ বাহিয় তাহার জলের ধারা নামিয়া আসে । श्ब्रड डांशब्रहे ज्वविद्दबळ्नां uद९ अछांग्न ८जटनग्न छछ স্বামীর দেহ দিন দিন এমন তীর্ণ হইয়া পড়িতেছে। হয়ত তাহার কালব্যাধির কথাটা ভাবিতে গিয়াও রাণী বারংবার শিহরিয়া ওঠে, অথচ ছশ্চিম্ভার তাহার অবধি नांदे । । অসাধারণ ख्छन्जेख्छ দিনকয়েক পরে— স্থশাস্তর বাল্যবন্ধু শুভ্রাংশু আসিয়া উপস্থিত। বড় চাকুরে—বছর-কয়েক ধরিয়া নয়াদিল্লীতে আছে। সম্প্রতি দেশে আসিয়াছে ভীর বিবাহ দিতে । মুশাস্তর নিকট আসিবার ইহাই একমাত্র কারণ। বাহিরের ঘরে মুশাস্ত চুপচাপ বসিয়া ছিল। আসন্ন স্বত্যুর আশঙ্কায় ম্ৰিয়মাণ, ছশ্চিন্তার কালো দাগ চোখের নীচে স্থম্পষ্ট। সহসা শুভ্রাংগুর উচ্চ কণ্ঠের আহবানে সে মুখ তুলিয়া চাহিল। শুভ্রাংগু কহিল, বাড়ীখানাকে রীতিমত এক আশ্রম গড়ে তুলেছ যে শাস্ত । সামনের অমন বাগানখানা,—অবশিষ্ট রয়েছে কতকগুলো আগাছা । স্বশাস্ত মান হাসিল । কহিল, ব’স শুভ্রাংশু । শুভ্রাংশু আসন গ্রহণ করিয়া পুনশ্চ কহিল, তোমার নিজের শরীর ত তেমন স্ববিধে ঠেকছে না। আমুখবিস্কথ বাচ্ছে নাকি? বেী কোথায় 1 ছেলেপিলে কাউকে দেখছি নে ত ? ইহার উত্তরেও স্থশাস্ত হাসিল । একটু বেশী কথা বলে। —হাসছ ? শুভ্রাংগু জিজ্ঞাসা করিল। —না হেসে কি করি ? স্বশাস্ত কহিল, ছেলেপিলে ছিল কবে যে তাদের কথা জিজ্ঞাসা করছ? জার তোমার বৌদি আছেন ওঘরে—শষ্যাশায়ী। কিন্তু এসব কথা পার হবেখন—তুমি এ-সময় হঠাৎ কলকাতায় । ছেলেমেয়ে সব ভাল আছে ত ? মিন্ট, কত বড় হয়েছে ? শুভ্রাংগু উঠিয়া দাড়াইল । সেই জন্তেই আসা, এrমাসে মিন্ট র বিয়ে। চল বৌদির সঙ্গে দেখা করে আসি। সময় একেবারে নেই বললেও চলে । —একটু বসবে না? এখনই উঠবে ? স্বশাস্ত কহিল। শুভ্রাংশু কহিল, বাধ্য হয়েই উঠতে হচ্ছে, নইলে আজ কত বছর পরে দেখা সে জামি ভুলে গেছি মনে কর ? মাসখানেকের ছুটি নিয়েছি, এর পরে ঢের সময় পাওয়া যাবে। শুভ্রাংশু এক প্রকার জোর করিয়া মুশান্তর शंख् ধরিয়া অন্দরে প্রবেশ করিল। - স্বামীর সহিত শুভ্রাংগুকে দেখিয়া রাণী শায়িত অবস্থায় মাথার কাপড়টা ঈষৎ টানিয়া দিল । শুভ্রাংশু বরাবরই