পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দলের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়া থাকেন। অনেক স্থলে অনুরোধ উপরোধে ভোট দেওয়া হইয়া থাকে। তাহা ভিন্ন, বাধ্যবাধকতা থাকায় কিংবা কোন প্রকার উৎকোচ পাওয়ায় ভোট দেওয়া যে হয়ই না, এমন বলা যায় না । নানা কারণে আমরা আগেকার কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাসমূহের সদস্ত নিৰ্ব্বাচনে একবারও ভোট দিই নাই, আগামী কোন নির্বাচনেও ভোট দিব না। কোন ব্যবস্থাপক সভার সদস্ত হইবার চেষ্টা এ-পর্য্যস্ত করি নাই, ভবিষ্যতেও করিব না। কিন্তু ব্যবস্থাপক সভার সদস্ত হওয়ার বিরোধী আমরা নহি, সদস্ত-নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বিরোধীও নহি । আমাদের মতে ভোট কিরূপ লোককে দেওয়া উচিত, সে-বিষয়ে কিছু বলিব । নারীনিগ্রহ দমনে উৎসাহী লোককেই ভোট দিবেন শুধু বঙ্গে নহে, ভারতবর্ষের অন্ত অনেক প্রদেশে নারীদের প্রতি অত্যাচারমূলক অপরাধের প্রাদুর্ভাব অনেক বৎসর হইল দেখা যাইতেছে। যেখানে ইহার প্রাদুর্ভাব নাই, সেখানেও এরূপ অপরাধ নিতান্ত কম হয় না। ইহার প্রধান কারণ সম্ভবতঃ পুরুষজাতীয় ছবৃত্ত লোকদের পাশবিক প্রবৃত্তি। তম্ভিন্ন নারীহরণ ও নারীবিক্রয় লাভজনক ব্যবসা বলিয়াও অনেক দুরাত্মা এইরূপ দুষ্কৰ্ম্ম করিয়া থাকে। এইরূপ অপরাধ দমন নারীকুলের নিরাপত্তার জন্য আবশ্বক, সমাজ রক্ষার নিমিত্ত আবশুক, আমরা সকলেই মাতার সন্তান বলিয়া আবশুক । ইহা নিবারণের জন্ত নানা উপায় অবলম্বন করিতে হইবে । তাহার মধ্যে এখন কেবল আইনের দ্বারা ধাহা হইতে পারে, তাহার কথাই বিবেচনা করিতেছি। বর্তমানে এই উদেখে ষে যে আইন প্রযুক্ত হইতে পারে, তাহারও যথোচিত ব্যবহার সব বিচারক করেন না । যে প্রকার নারীনিগ্রহ অপরাধে বেত্ৰাঘাত দণ্ড হইতে পারে, তাহাতেও এ-পর্য্যন্ত কেবল দু-বার বিচারকেরা বেজাঘাত দ্বও দিয়াছেন। অতএব এই দণ্ডের ব্যবস্থা ব্যাপকতর করা উচিত এবং বিচারকেরা যাহাতে তদনুসারে দণ্ডবিধান করেন, তাহার জন্ত আন্দোলন করা উচিত। তম্ভিয়, অন্ত প্রকার দ্বও— काँबांदब्रषि घ७ ७ जब्रिषांन-करांबऊब कब्र ऐछिष्ठ । যাহারা অপহৃত নারীকে লুকাইয়া রাখিবার বা নানা স্থান লইয়া যাইবার সাহায্য করে, তাহদেরও সমুচিত শাস্তির ব্যবস্থা থাকা উচিত। দলবদ্ধভাবে নারীধর্ষণ ও তদ্বিধ ঘোরতর দৌরাত্ম্যের জন্য যাবজীবন কারাবাসের, এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্তির ব্যবস্থা হওয়া উচিত । বিচারকার্য্য সম্বন্ধে এই প্রকার বন্দোবস্ত আবশ্যক। শাসন-বিভাগকেও এই প্রকার অপরাধ দমনে অধিক অবহিত করিবার জন্য উপায় অবলম্বন করা আবশ্যক। যে-জেলায় ও মহকুমায়ু নারীনিগ্ৰহ অপরাধে অপরাধীরা ধৃত ও দণ্ডিত কম হয়, তথাকার পুলিস কৰ্ম্মচারীদের অকৃতিত্বের জন্য পদোন্নতি, বেতনবৃদ্ধি ইত্যাদি স্থগিত রাখা বা বন্ধ রাখা প্রয়োজন হইতে পারে। অপহৃত নারীকে খুজিয়া বাহির করিতে ཀྱཱ་ཀཱ་མ་ স্থানীয় পুলিস কৰ্ম্মচারীর পদচ্যুতির ব্যবস্থা থাকা | র্যাহারা ব্যবস্থাপক সভার সদস্ত হইতে চান, নারীনিগ্ৰহ দমন ও নিবারণ করিবার জন্য উল্লিখিত বা তদ্বিধ অন্য প্রকার ব্যবস্থা করাইতে সচেষ্ট হইবেন, তাহাদের এইরূপ প্রতিজ্ঞ করা চাই । ভোটারদের দেথা চাই, তাহার এইরূপ প্রতিজ্ঞ র্তাহাদের ম্যানিফেষ্টোতে করিয়াছেন কি না। ন-করিয়া থাকিলে তাহাদিগকে এই প্রকার প্রতিজ্ঞ করাইতে হইবে, প্রশ্নের দ্বারা তাহাদের নিকট হইতে এই বিষয়ে স্পষ্ট উত্তর লইতে হইবে। ধৰ্ম্মসম্প্রদায়নিৰ্ব্বিশেষে প্রত্যেক সদস্যপদপ্রার্থীর নিকট হইতে এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি লওয়া দরকার। বঙ্গের দুটি প্রধান ধৰ্ম্মসম্প্রদায় মুসলমান ও হিন্দু। ব্যবস্থাপক সভায় সরকারী উত্তর হইতে জানা যায়, নিগৃহীতাদের মধ্যে মুসলমান নারীর সংখ্যা অধিক । যাহা হউক, কোন সম্প্রদায়ের একটি নারীও যদি নিগৃহীত না হইতেন, তাহ হইলেও নারীনিগ্রহ দমনে তৎপর হওয়া সেই সম্প্রদায়ের লোকদেরও কৰ্ত্তব্য হইত। আগামী নির্বাচনে নারী-ভোটারদের সংখ্যা আগেকার চেয়ে বেশী হইয়াছে। র্তাহারা কাহাকেও ভোট দিবার পূৰ্ব্বে র্তাহাকে প্রশ্ন করিতে ভুলিবেন না, যে, তিনি নারীনিগ্রহ দমনের জন্ত কি করিবেন। যিনি কিছু করিবেন না, র্তাহাকে ভোট দেওয়া উচিত নয় ।