পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوابسfib) প্রবাসী SN93vరి পথের পাশে বাস বাধতে, ছেলের ঢ়িল ছুড়ত, চিলে ছো মারত, তার থেকে এ অনেক ভাল হয়েছে । কোনও ভয় নেই তোমার ” পুরুষ-পার্থী মোড়ের মুর্দীর দোকানের দিকে উড়ে গেল। মেয়ে-পাণীর মনে পড়ল ছেলেবেলার কথা । এখান থেকে অনেক দূরে এক খড়ের চালের কোণে মা’র সঙ্গে ওরা থাকত । ওর ছোট ভাই, ও, আর ওদের বাপ-ম। এই চার জনে কত সথে সময় কেটে যেত । ও তথন সবে উড়তে শিপেছে, ওর ভাঙ্গ পারত না। এক দিন সন্ধ্যাবেলা কোখেকে একটা সাপ একে-বেঁকে এসে ওর ভাইটিকে— “ও কি এলেছ ?” “তোমাকে আর আজ থেকে বাইরে যেতে হবে না । একটা অখটন ঘটে বসতে পারে। পাবার নিয়ে এসেছি তোমার জন্তে ” “তুমি এখন কোথাও খেও না । বড় ভয় করছে আমার ।” “তুমি একেবারেই ছেলেমান্তষ । কোনও ভয় নেই । চিলের সাপ্য কি যে এথানে আসে । আর যদিও আসে, তুমি দেখে, খুব ভাল শিক্ষা দিয়ে দেব তাকে ” “মাকে একটা খবর দিতে পারবে ?” “কোথায় থাকে আমি জানি না ত । আমার সঙ্গে দেখা হয় নি ।” “উত্তর দিকে সেই সবচেয়ে বড় পার্কের কোণে মালীর যে টালির একখানা চালা আছে, তার দক্ষিণ দিকের কড়িকাঠে বসে ম রাত্রে ঘুমোয়, এখন গেলে দেখা পাবে না । অাজ সন্ধ্যাবেলা ষেও ”

  • আচ্ছা ।”

“এ-পথে যেন কয়েক দিন ধ’রে লোকজন বেশী চলাফেরা করছে । গলির মধ্যে লম্বী লম্বা কতকগুলি কি এনে ফেলেছে দেখেছ ।”

  • ও-সব কিছু নয় ।”

“পরশু দুপুরে তুমি বেরিয়ে যাবার পর কতকগুলি লোক এসে দেয়ালগুলি মেপে কি সব দেখছিল।” “তোমার কোনও ভয় নেই। একলা থাক বলে ঐ অনেক দিন রকম মনে হয়। আজ সন্ধাবেলাই তোমার মাকে ব’লে আসব। সে এলে কোনও ভয় থাকবে না ।” “পাশের বাড়ীর কলতলায় দুটি বউ কাপড় কাচতে কাচতে গল্প করছিল, এই গলিটা ভেঙে মস্তবড় একটা রাস্তা তৈরি হবে, এ-সব বাড়ীঘর কিছুই থাকবে না ।” “তুমিও যেমন ! বউরা সব জানে ! এই সব বাড়ী ভেঙে রাস্তা তৈরি করা মুখের কথা কি না ! তোমার কোন ভয় নেই :” আরও দুটি দিন কেটে গেল । পুরুষ-পাপী মেয়ে-পার্থীর মাকে ক’লে এসেছে । কিন্তু সে আসার কোন সময় পায় নি। হয়ত সেও তার বাসা বাধতে ব্যস্ত । পাবার নিয়ে পুরুষ-পার্থী বাসার দিকে আসছিল, মেয়েপাপী তাকে দেখে চেf১য়ে উঠল । “সৰ্ব্বনাশ হয়েছে । আজ বিকেলে এই বাড়ী ভাঙা স্বরু হবে । এই কতক্ষণ হল-ঘর থেকে বেরিয়ে গেল । মোট কতকগুলি কি রেপে গেছে ।” “কি বলছ ?” “কি হবে এখন ?” “ভাঙবে কি বলছ !” “তাই ত লোকগুলি ব’লে গেল, কি হবে এথন ?” পুরুষ-পার্থী তার সার্থীকে সান্থনা দিতে লাগল। ভয়ের কোন কারণ নেই । এপানেই ওরা থাকবে যাচ্চাগুলি বড় হওয়া পৰ্য্যন্ত । বাচ্চাগুলি উড়তে শিখলে একট। ভাল গাছ দেখে তাতে বাসা বঁধিবে, মেয়ে-পার্থীট যে কেন এত উতলা হয় তা ও বুঝতে পারে না । মেন্থে-পাণী কিছুতেই প্রবোধ মানতে চাইল না, ফুপিয়ে ফুপিয়ে পুরুষ-পার্থীর ডানার মধ্যে মাথা গুজে কাদতে লাগল। বাইরে খুব হৈচৈ শোনা গেল । শাবলের ধাক্কায় দেয়ালগুলি কেঁপে উঠল। কতকগুলি কুলিমজুর ঘরের মধ্যে ঢুকে দরজা জানলাগুলি ভাঙার চেষ্টা করতে লাগল। মেয়েপার্থীটা চেচিয়ে উঠল, “আর দেরি করে না। এখনই বেরিয়ে চল । দেয়ালের চাপে যে শেষে মরতে হবে ।” যখন তারা বাইরে এসে পাশের বড় বাড়ীর ছাদে গিয়ে বসল তখন ছোট ঘরখানি মাটির সঙ্গে প্রায় মিশে গেছে, সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাসাটিও। কয়েক জন লোক ঐ দেথ মোট