পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ সাদা জিনের চাদোয়া খাটানো হইল। জানালার পাল্লাগুলি কাঠের জালির উপর কাপড় মুড়িয়া ভৈয়ারী, বাহিরের দিকে কাল ধারিযুক্ত সাদা জিনের পর্দা, সেগুলি রঙীন খুটি ও দড়ির সাহায্যে যতটা ইচ্ছা খোলা ও গুটানো যায়। বৈঠকখানার পাশেই অধিকারী মহাশয়ের দুই পুত্র শিক্ষকের কাছে পড়িতেছিল । এদেশে সুন্দর ও দ্রুত লেখার জন্য দুই প্রকার লিপি ব্যবহৃত হয়, প্রথমটি “উ-চেন” ( দাড়িযুক্ত ), অন্যটি “উ-মেদ” ( দাড়িবিহীন ) । সাধারণ ভাবে উ-মেদের ব্যবহার ও প্রয়োজন অধিক, সেই জন্ত ভিক্ষু ভিন্ন অন্ত দুই চড় ՓՆաՊ সাধারণে ঐ লিপিই শিক্ষা করে । এখানে শিক্ষক কাগজের উপর নিজে কুন্দর ভাবে অক্ষর লিথিয় দিতেছিলেন, ছাত্রেরা কাঠের পাটায় তাহার অমুকরণ ও অভ্যাস করিতেছিল। আমাদের পুরাতন পাঠশালার পণ্ডিতদের মত এখানেও শিক্ষায় বেতের ব্যবহার অত্যাবগুক বলিয়া গৃহীত । শিক্ষক মহাশয় ছাত্রের ভুল হইলে তাহাকে গাল ফুলাইতে বলিয়া গালের উপর চওড়া বেত বা বঁাশের চেচাড়ি দিয়া সশব্দে ভুল শোধন করিতেছিলেন। ( একমশ: ) छज्ज,ई শ্ৰীঅচু্যত রায় অন্ধগলির মধ্যে এক জীর্ণ বাড়ীর পোপর ডিমপাড়ার পক্ষে উপযুক্ত স্থান মনে ক’রে এক চড়ুই-দম্পতী তাতে খড়কুটে জড় করতে লাগল। বড় রাস্তার দুষ্ট ছেলেরা এ-পথে যাতায়াত করে না, হিংস্র পার্থীরা এর কোন খোজ পাবে না এবং যে-ছোকরাটি ঘরের মধ্যে থাকে তার কাছ থেকে অলিষ্টের কোন আশঙ্ক নেই, সে খুব ভোরে বেরিয়ে যায় এবং গভীর রাত্রে বাসায় ফিরে কালিপড়া মিটমিটে কেরোসিনের বাতি জেলে কি একটু লেখাপড়া করে ঘুমিয়ে পড়ে, ডিমপাড়ার এর থেকে সুন্দর জায়গা আর পাওয়া যাবে না । দেখতে দেখতে খোপরটি ভ'রে উঠল, ছেড়া কাগজ, দেশলাইয়ের কাঠি, শালপাতার টুকরো, জানালা দিয়ে রাস্তায় ফেলা স্ককেশীদের কেশগুচ্ছ এবং অনুরূপ অন্যান্ত অনেক প্রকার সরঞ্জাম এনে পার্থী ছুটি তাদের বাসা সাজিয়ে তুলল। সমস্ত দিন ধরে ওরা বাসা বাধে। শুধু দুপুরবেলা একবার মোড়ের ঐ মুনীর দোকানের কাছ থেকে ঘুরে আসে। কত খুদ, ডালের কণা ছড়ানো আছে ওর পথে, তার গোটাকয়েক হ’লেই ওদের দু-জনের একদিন চলে যায় । পুরুষ-পার্থীটা খড়কুটো জোগাড় ক'রে নিয়ে আসে গোলপাতার চাল থেকে, ডাষ্টবিনের পাশ থেকে । যেখানে য। ভাল জিনিষ পায় সবই এনে মেয়ে-পাপীটাকে দেয় । সে সেগুলিকে স্বন্দর ক’রে সাজিয়ে রাখে । এক-এক দিন বেল|শেষে ঝড়বৃষ্টিতে চারি দিক অন্ধকার হয়ে আসে। আশপাশে বড় বড় বাড়ী থাকাতে হাওয়ার কোন ঝাপট ওরা অনুভব করে না। পাশাপাশি দু-জনে চুপ করে বসে থাকে। মেয়ে-পাখাটি চোখ বুজে দেখতে থাকে ওদের সংসারে কত নূতন প্রাণী এসেছে ; তারা সকলে মিলে শহরের বাতাসকে তোলপাড় ক’রে এ-ছাদ থেকে সে-ছাদে মনের মুখে উড়ে যাচ্ছে । পথের পাশে একটা গাছে প্রত্যহ সন্ধ্যাবেল সকলে জড় হয় ; রাজি পৰ্য্যস্ত গান গেয়ে খেলা ক’রে কেটে যায়। এক দিন মেয়ে-পার্থীটি তার সার্থীকে বলল, “দেখেছ, ক'দিন ধরে ঐ ছেলেটিকে দেখতে পাচ্ছি নে। ওর বিছান পত্রও এ-ঘরে নেক্ট, আমার যেন কেমন কেমন লাগছে । এম্বরে বাস না বাধলেই ভাল হ’ত ।” “তোমার সব তাতেই কেমন কেমন লাগে । কোথায় ക്