পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১ ) কাঠ, সোল প্রভৃতি জিনিষ, সমান আয়তনের জল অপেক্ষা লঘু ও সেই কারণে জলে ভাসে ; (২ । লোহা, সীসা, তামা প্রভৃতি পদার্থ সমান আয়তনের জল. অপেক্ষ ভারী সেই কারণে জলে ডুবিয়া যায়। কিন্তু যদি লোহাকে বা ঐরূপ কোন ভারী পদার্থকে পিটিয়া, চেপ্ট। কবিয়া বাঞ্চtহয়। নৌকার পোল নিৰ্ম্মাণ করা যায়, তাহা হুইলে ভtহাব আয়তন জোর করিয়া বাড়াঈয় দেওয়া হ’ল, এবং তপন তাহ: স্বচ্ছন্দে সোল বা কাঠের মত জলে ভাসিতে থাকে । সেই জন্যই শেহ দ্বার। জাহাজ নিৰ্ম্মাণ সম্ভব হইয়াছে । ভাসমান পদার্থের এই সাধারণ নিয়ম মানুষের শরীর সম্বন্ধেও থাটে । বৈজ্ঞানিকের দেখিয়াছেন, মানুষের শরীর জল অপেক্ষা লঘু ; অন্তান্ত জীবজন্তুর শরীরও তাঙ্গ, এবং সেই জন্য তাহার। উভয়ে স্বভাবতষ্ট জলে ভাসিয়া থাকিতে পারে । কিন্তু মানুষের বেলায় বিপদ হইয়াচে তাহাব মাথাটি লঙ্গয় । দেহের মধ্যে তাহার মাথার দিকটা জল অপেক্ষ আয়তনের অন্তপাতে কিঞ্চিং ভারী ; সুতরাং মানুষের শরীরকে জলে ছাড়িয়া দিলে মাথ। এবং প। ঝুলিয়। নীচের দিকে চলিয় যাবে ; বুক ও পেটের কিয়দংশ জাগিয়া থাকিবে । কিন্তু তাহাতে ত মাষ্টষ বাsি”ত পারে না, দম বন্ধ হইয়া তাহার মৃত্যু হইবে । সেই জন্য কি করিয়া মাথা জাগাইয়৷ রাপিতে হয় ও সঙ্গে সঙ্গে নিশ্বাস-প্রশ্বাস লঙ্গতে পারা যায়, তাঙ্গ মানুষকে শিক্ষা করিতে হয়। জীব-জন্তুর সুবিধা এই, তাহাদের মাথার দিকটা মামুযের মত ভারী নহে। তাহাদিগকে জলে ছাড়িয়া দিলে মাথা জলের উপর স্বভাবতই জাগিয়া থাকে । সেই জন্য তাহাদের নিশ্বাস-প্রশ্বাস লক্টতে কোনও অসুবিধা হয় না। চিৎ-সাভার—আধুনিক উন্নত প্রণালীর চিৎ-সাতার শিক্ষা করিতে হক্টলে সাঁতারু প্রথমতঃ দেহটিকে ১ নং চিত্র অনুযায়ী জলপৃষ্ঠে ঋজুভাবে ভাসাইয়। রাখিবেন। তার পর চিৎ-সপ্তার ১নং চিত্র যে ভাবে ছয়ুপদী, আমেরিকান কিংবা অষ্ট্রেলিয়ন জুন পাড়ির ভঙ্গীতে সাতার কাটা হয়, অবিকল সেই ভাবে চিৎ হইয়া একটির পর একটি হাত মাথার উপর দিয়া চক্রাকারে ঘুরাইয়া তালুদ্বার উরুদেশের শেষ পৰ্য্যন্ত জল টানিবেন। এই সময় যে-হস্তে জল টান হইতেছে সেই হস্তের ককুইটি শক্ত রাখিবেন, যাহাতে জল টানিবার সময় হাতে জোর পাওয়া যায়। পী-দুটি ছয়-পদ দুন পাড়ির অন্তকরণে–এখানে ছয়-পদ দুন-পাডির চিত্র দেওয়া হইয়াছে,—দক্ষিণ হস্তের সহিত বাম পদের মিল রাপিয়া, ( fচত্র ১, ক—ক) দক্ষিণ পদের একটি জোর ও দুঙ্গটি অপেক্ষাকত মুদ্র আঘাত দিয়া ( দক্ষিণ, বাম, দক্ষিণ অর্থাৎ ২, ১, ৩ ) অথবা বাম হস্তের সহিত দক্ষিণ পদের মিল রাগিয়া, সাতারুর স্থবিধা অনুযায়ী বাম পদের একটি aেi র ও দুঙ্গটি অপেক্ষাকৃত মুহ আঘাত দিয়া । বাম, দক্ষিণ, বাম অর্থাৎ ১, ২, ৩ ) মোট দুই পায়ের ছয়টি আঘাতের সঠিত দুই খাত পরিবর্তিত ভাবে মাথার উপর দিয়: ( চিত্র ১ ক—গ ) উরুদেশের শেষ পর্য্যস্থ জল টানিবেন । এই চিৎ-সাতার ভিন্ন ভঙ্গীতেওঁ কাটা সম্ভব । ১ নং চিত্র অনুযায়ী দেহটিকে পূৰ্ব্ববং জলপৃষ্ঠে ভাসাঙ্গয় অর্থাৎ অষ্ট্রেলিয়ান দুন-পাড়ির স্যায় দক্ষিণ হস্তের সহিত বাম পদ এবং বাম হস্তের সহিত দক্ষিণ পদের মিল রাথিয়l, অথবা আমেরিকান ছন পাড়ির ন্যায় অবিবাম পদদ্বয় উপর নীচে করিয়া পূৰ্ব্বোক্ত নিয়মে হাত দুটি মাথার উপর দিয়া চক্রাকারে ঘুরাইয়। সাতার কাটিতে পারা যায়। সৰ্ব্বদাই স্মরণ রাগিবেন, যেন সন্তরণকালে বুক ও চিবুকের কিয়দংশ জলপৃষ্ঠের উপরে এবং মস্তকের অৰ্দ্ধভাগ জলপৃষ্ঠের নিম্নে অবস্থান করে । মোটামুটি ভাবে শরীরকে যত দূর হাঙ্ক করা সম্ভব তত দূর করিবেন। এই সিং-সাভারের নিশ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ-প্রণালী অবিকল দুন-পাড়ির ন্যায়, অর্ণাং স তারু নিজ স্ববিধা অনুযায়ী এক হস্তের সহিত প্রশ্বাস গ্রহণ ও অপর হস্তের সহিত নিশ্বাস ত্যাগ করিবেন। এই ধরণের চিৎ-সাতার অতি আধুনিক ও প্রতিযোগিতা-ক্ষেত্রে বিশেষ ফলদায়ক । পুরাতন প্রণালী—এই ধরণের চিৎ-সাতার কাটিতে হক্টলে সাতারু প্রথমতঃ দেহটিকে ২ নং চিত্র অনুযায়ী ঋজুভাবে জলের উপর ভাসাইয়া, পরে ৩ নং চিত্র অনুযায়ী