পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न्तकोश्चन्पा আকাশে দলে দলে পার্থীরা ঘরে.ফিরিতেছে, তাহাই চাহিয়৷ চাহিয়া সে দেখিতেছিল, এখন চমক ভাঙিয়া এদিকে চাহিল। ৰৰ লৰকার_ইনষ্টনীলৈ جه هوا —প্রথমে ইহা সাব্যস্ত হইতেই আধ ঘণ্ট। কাটিয়া গেল । তাহার পর সর্বসম্মতিক্রমে যখন ভাগ্যবান রবীন্দ্রনাথই কমলা মিত্র আবার বলিলেন, “তুমি যে বড় চুপচাপ দূরে নির্বাচিত হইলেন তখন গোল বাধিল বুই লষ্টয়া- কেহ সরে আছ ? সবাই আমন পাশ কাটালে ত চলবে না— এদিকে এস। কিছু পাট করতে পারবে ত ? আর পারপারিই বা কি—করতেই হবে, যে যেমন পারে।” নীলিম মান মুখে নিরুৎসাহে জবার দিল, “আমি ত কখনও কিছু থিয়েটার-ফিয়েটার করি নি ; হয়ত আপনাদের সব খারাপ ক’রে দেব । তার চেয়ে আমাকে বাদই দিন না ।” রমল মিত্র বলিলেন, “তোমাকে বাদ যেন দিলাম, কিন্তু তার বদলে নেব কাকে বল । জানি ত এখানকার কাও ! সেবার সেই “লক্ষ্মীর পরীক্ষা করাতে গিয়ে সে কি হাঙ্গাম—মেয়েই জোটে না।” নীহারিকা বলিলেন, “হ্যা কে কত ভাল পারে কে মন্দ পারে, বিচার করে কি আর নেওয়া চলে " য জোটে তাই নিতে হবে । কলকাতা হ’ত ত সে আলাদা কথা ।” মাধুরী পাচ-সাতখানা বই হাতে করিয়া বারাণ্ডায় আসিয়া ডাকিল, “আইন রমলাদি’র: সবাই—বাইরে অন্ধকার হয়ে গেছে, দেখা যাবে ন—ঘরে আস্থল, বই বাছবেন ।* সকলে বই বাছিতে ঘরে আসিবার জন্ত উঠিয়া দাড়াইতেই নীলিমা মুখখানি স্নান করিয়া উঠিয়া আসিয়৷ কল্যাণীকে বলিল, “ন ভাই আমরা ত আর কলকাতার প্রোফেসনাল ফ্ল্যাক্টর নই—যা পারি তাই করব । তা যদি সব মনে ন! ধরে ত আমাদের নেবারই বা দরকার কি ? নীহারদি নিজেই বা কি এমন য়্যাক্ট করেন দেখেছি ত সেবার । কেবল ক্ষণে ক্ষণে লাল, নীল, গোলাপী কাপড় বদলে সেজে সেজেই অস্তির । তা লোকের ওঁর সাজ দেখে দেখে চক্ষু ঘুরে গেছে—ত দেখবার জন্তে আর কেউ খরচ করে টিকিট কিনে আসবে না ।” কল্যাণী বলিল, “সত্যি। সবুজের ঘটা দেখ, ন আজ একবার । বাকব, এতও পারে!” সকলে ঘরে আসিতে মাধুরীর আনীত বই কয়থানি লইয়া তুমুল সমালোচনা চলিল। অমৃত বোসের লেখা অভিনীত হইবে কিংবা দ্বিজেন্দ্রলালের অথবা রবীন্দ্রনাথের

  • リアー8

বলিলেন, “রাজ ও রাণী” হউক, কেহ বলিলেন, "গোড়ায় গলদ’ই ভাল, কাহারও মতে ‘চিরকুমার সভা'ই সকলের cel8 নীহারিকা বলিলেন, “অত মতামত শুনতে গেলে আঞ্জ আর কোনও কিছু ঠিক করা হবে না ; কেবল গণ্ডগোলই হবে । আমি বলি 'রাজ। গু রাণা’ হোক—-আর মতভেদে কাজ শ্লেষ্ট । চমৎকার বই । ভাই, ভাই-বোনের য। স্বন্দর সীন, চোখে জল আসে । বঙ্গখান! বোধ হয় পঞ্চাশ বার পড়েছি, তবু ধেন পুরমে: হয় না । আর ভাই গোলমাল করে কাজ নেষ্ট ঐটেই হোক—আপনি কি বলেন মিসেস মিত্ৰ ?” রমল মিত্রের মনের কথ: কি ভাত। ঠিক জানা গেল মা । মুখে বলিলেম “বেশ তাই গেল, যদি আপনাদের সকলের মত হয় । মিসেস্ চ্যাটাজী কি বলেন ? আপনার মত নেওয়াটা দরকার ।” মিসেস্ চ্যাটাঙ্গী বলিলেন, “আমার ত ওরকম সীfরয়স ধরণের বই ভাল লাগে না—না না বইটা চমৎকার, তা বলছি নে—তবে প্লে করবার পক্ষে বলছি আর কি । সারাদিনই ত জীবনের সীরিয়ুস দিকটাই দেখছি, আবার আমোদ ক’রে থিয়েটার দেখব তাও যদি সেই একই ঘ্যানঘ্যানানী শুনতে হয় তাহলে ত বড় বিপদ । কিন্তু আমার মতামতে কি হবে ? আপনারাই করবেন—ওসব আপনারাই বোঝেন ভাল ; যা ভাল বোঝেন করুন। আমি ত পার্ট নেব কি ন; তাই এখনও ঠিক করি নি ।” নীহারিকা বঁ-হাতের কব জী উণ্টাইয়া ঘড়ি দেখিলেন । “একি, এ যে আটটা বাজে । আটটা পনরয় আমার বাড়ীতে ডিনার যে ! দেরি করে ফেললাম হয়ত 1 কি মুস্কিল— কথা কইতে কষ্টতে কোথা দিয়ে সময় যায় যে ! আমি চললাম ; অনেকটা পথ যেতে হবে । মিসে মিত্র, মিসেস চ্যাটাজ্জা, নমস্কার । যা ঠিক হয় জানাবেন। আর একটা মাটিং ডাকুন না, শুধু এইটে সেটুল করবার জন্তে—ল হ’লে কি হয় ? কোথায় মাটিং হবে ? এই ক্লাবের ঘরে ? কেম