পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মৰ ॥ল । তার দরকার কি, আমার বাড়ী ত সেন্টাল জায়গায়, কারুরই আসতে অনুবিধা নেই, আমার বাড়ীতেই হোক না। কালই হোক—সন্ধ্যা ৬টায় ধরুন। • • • ও কাল ত হবে না, ভুলে যাচ্ছিলাম। কাল যে একটা পার্টি রয়েছে— সে আমাকে যেতেই হবে । আচ্ছা পরশুই হোক না হয়— কি বলেন ?” রমলা মিত্র বলিলেন, “পরশু আমি বুকুড়–অামি ত পরশু সন্ধ্যাবেলা যেতে পারব না। তা হ’লে না হয় বুধবারে করুন।” মিসেস্ চ্যাটাজ বলিলেন, “বুধবার দিন সন্ধ্যাবেল আমাকে স্কুলের মেয়েদের ল্যাণ্টাৰ্ণ লেকচার দিতে হবে— অামি ত যেতে পারব না। তা হোক আমাকে বাদ দিয়েই আপনার করুন না—আমাকে জড়ালে আপনারাই মুস্কিলে পড়বেন।” নীহারিক বারাগু হইতে নামিতে নামিতে বলিলেন, “ত হয় না, আপনাকে বাদ দেওয়া যায় না। কি মুস্কিলেই পড়েছি—রোজই একট-ন-একটা বাধা । আমার ত আজ আর দাড়াবারও সময় নেই ছাই যে কিছু একটা ঠিক করি। হয়ত গেষ্টরা এসে বসে থাকবেন—বড় অপ্রস্তুত হতে হবে তাহলে । আপনারাই ঠিক করে নিন—আমাকে জানিয়ে দেবেন শুধু—আমি কোনও রকমে ম্যানেজ ক’রে নেব। গুড নাইট, গুড,নাইট-নমস্কার । জানাবেন আমাকে—সময় ত নেই বেশী। এই ড্রাইভার—জলদি চলে ।” ড্রাইভার মোটরে ষ্টার্ট দিল। নীহারিক চলিয়া যাইতে মাধুরী বলিল, “রমলাদি নীহারদিকে ঘোড়ায় চড়িয়ে ষ্টেজে বার করে দিন না ভাই। বাবা, কি বাস্তবাগীশ মানুষ ” মিসেস্ চ্যাটাজী বলিলেন, “সারাটা দিন গুয়ে বসে কাটিয়ে সন্ধ্যাবেলাই ওঁর যত কাজ কিনা। আর কাজের মধ্যে ত দেখতে পাই, হয় বাড়ীতে ডিনার, নয় বাইরে ডিনার—তা সে ত কিছু কিছু বাদ দিলেও চলে। আমাদের যে হয়েছে মুক্তিল—সখের কাজ ত নয় যে বাদ দেব। অস্কখ করলেও রেহাই পাবার জো নেই—তা আর কিসে পাব বলুন ? উনি তাই বলছিলেন—” مها وتتهمها تھة রমলা মিত্র কথাটা শেষ করিতে দিলেন না । বললেন, “আচ্ছা আমি একটা দিন ঠিক ক'রে বাড়ী বাড়ী নোটিস লিখে পাঠাব—যার যার সুবিধা হবে আসবেন ; যার সুবিধা হবে না, তাকে বাদ দিয়েই অগত্যা সেদিনের কাজ চালাতে হবে। কি আর করা যায়! আপাততঃ আজ ত বাড়ী যাওয়া যাকৃ—রাত হ’ল।” নীলিমা বলিল, “মাধুরী আমাকে পৌঁছে দেবে ভাই ? আমাকে উনি নামিয়ে দিয়ে কি কাজে গেছেন, কই এখনও এলেন না ত ।” মাধুরী উত্তর দিল, “এই যে হয়েছে ! আবার ভূলেছি, গাড়ী কই আসতে বলি নি ত । পারি না আর বাবা ! নূতন একটা ড্রাইভারও জুটেছে তেমনি ! নামিয়ে দিয়ে গেল ভা কই একবার জিজ্ঞাসাও করলে না ত কথন আবার আসবে ! দেখি ভাই কার গাড়ী আবার পাওয়া যায়—একটা কারুর জুটেই যাবে দেখ না। আমাদের একসঙ্গে যাবার কিছু মুস্কিল হবে ন!—একদিকেই ত বাড়ী।” মোটর জুটিয়া গেল । এ ইহার গাড়ীতে, ও উহার গাড়ীতে করিয়া সকলেই বাড়ী চলিয়া গেল । ૨ কয়েক দিন পরে নীহারিকার বাড়ীতেই প্রথম রিহাসাল সাড়ে পাচটা হইতেই আরম্ভ হইয়াছে—সাড়ে সাতটা বাজে, কিন্তু এখনও যে কিছু বিশেষ কাৰ্য্য অগ্রসর হইয়াছে তাহ বোধ হয় না । নীলিমাকে “রাজা ও রাণী’র ইলার পার্ট দেওয়া হইয়াছে। ইহাতে সকলের মত ছিল না—কিন্তু নীলিমা গান গাহিতে পারে এবং তাহার মুখখানি সৰ্ব্বদাই অকারণে যেন মান দেখায়, সেই কারণে ইলার পাট হয়ত উৎরাইয়া যাইবে এই ভরসায় শেষ অবধি সকলে মত দিয়াছেন । “এরা পরকে আপন করে আপনারে পর” গানখানি নীলিমা স্বরলিপি দেখিয়া বাড়ী হইতে শিখিয়া আসিয়াছিল এবং এইমাত্র এখানে আসিয়া সকলকে গাহিয়া শুনাইয়াছে। সকলেই গান গুনিয়া তুষ্ট ; কিন্তু ইলার অভিনয় সম্বন্ধে সকলেই এত বিরুদ্ধসমালোচনা করিতেছেন যে, নীলিমা তাহা সামলাইয় উঠতে পারিতেছে না। সে একবার জনাস্তিকে