পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# % स्वोछुञ्म কুমিল্লার অধিবাসী ; এখন তাহার বয়স প্রায় পচাত্তর* বৎসর। বঙ্গের বাহিরে ধৰ্ম্মশালা-স্থাপনের বাসন তাহার কি করিয়া হইল, বলিতেছি। প্রায় ত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে, মহেশবাবু গয়াধামে গিয়া আশ্রয় অভাবে কিছুকাল এক জন বাঙালী ভদ্রলোকের বাটতে অবস্থান করিতে বাধ্য হন । অথচ, তজ্জন্ত সেই ভদ্রলোক স্বভাবতই কোন মূল গ্রহণ করিতে অস্বীকার করেন । এই ঘটনার পর মহেশবাবু হিন্দুসাধারণের বাসের স্থবিধার জন্ত গয়ায় একখানি ছোট ঘর মাসিক পাচ টাকা হিসাবে ছয় মাসের জন্য ভাড়া করেন। অল্প দিনের জন্য হইলেও সেই ঘরখানি তখন গয়ায় ধৰ্ম্মশালার অভাব কথঞ্চিৎ দূর করিয়াছিল । পরে যে-কারণেই হউক, মহেশবাবু গয়ার পরিবর্তে কাশীতে একটি ধৰ্ম্মশালা স্থাপন করিতে মনস্থ করেন। গয়ার দ্যায় কাশীতেও তিনি ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে ধৰ্ম্মশালার উদ্দেশ্যে একটি বৃহত্তর বাট ভাড়া করেন ও তাহার সম্মুখে সাধারণের অবগতির জন্য একটি ক্ষুদ্র সাইনবোর্ডও প্রলম্বিত করা হয় । অতাল্পকাল মধ্যেই সেই গুহে এরূপ যাত্ৰীসমাগম হইতে থাকে যে তদর্শনে মহেশবাবু বাটখানি ক্রয় করিতে মনস্থ করেন ও সেই বিষয়ে গৃহস্বামীর সহিত কথাবাৰ্ত্তাও হইতে থাকে। পরে একচল্লিশ হাজার টাকা মূল্যে বাটটি এীত হইলে, মহেশবাবু বহু অর্থব্যয়ে উহা সুসংস্কৃত করেন । ১৩৪০ বঙ্গাব্দের ৪ঠা আষাঢ় তারিখে ধৰ্ম্মশালার দ্বারোদঘাটন-উৎসব স্বসম্পন্ন হয় । ত্রিশখানি প্রশস্ত গুহুযুক্ত এই দ্বিতল ধৰ্ম্মশালাটির স্বপরিচালনের জন্ত তিন জন বেতনভোগী ম্যানেজার ও র্তাহাদের অধীনে একাধিক দ্বারবান, তৃত্য, মেথর প্রভৃতি নিযুক্ত আছে। কর্তৃপক্ষ যে শুধু যাত্রীদের স্বর্থ-সুবিধার দিকেই দৃষ্টি রাখেন তাহা নহে, পরন্তু যাহাতে বিদেশে নবাগত তীৰ্থকামী যাত্রীদের উপর স্থানীয় পাণ্ডারা কোনরূপ অন্যায় অত্যাচার না করিতে পারে, সেবিষয়েও ইহারা বিশেষ সচেতন । ধৰ্ম্মশালায় পুরুষ ও স্ত্রীলোকের স্বানের জন্ত পৃথক ব্যবস্থা আছে। যাত্রীদের কেহ কলেরা, বসস্ত, হাম প্রভৃতি সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হইলে, কর্তৃপক্ষেরা স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করিবার স্থব্যবস্থা করিয়া থাকেন। কাশীর তৃতীয় ধৰ্ম্মশালাটির নাম ‘বীরেশ্বর পাডে סאכר \ "ধৰ্ম্মশালা ইহা কলিকাতার খ্যাতনাম ঘনী, অধুনালুপ্ত মনোমোহন থিয়েটারের ভূতপূৰ্ব্ব স্বত্বাধিকারী মনোমোহন পাওে মহাশয়ের দ্বারা তাহার স্বর্গগত পিতার স্মৃতি রক্ষার্থ প্রায় দুষ্ট লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্থাপিত হয় ... ষ্ট্ৰী:শ্বর" পণ্ডিত ব্যক্তি ও বঙ্গসাহিত্যের সেবক ছিলেন । মনোমোহনবাবুর মূলত: ভিন্ন প্রদেশবাসী হইলেও বহু পুরুষাঙ্গক্রমে বঙ্গদেশে বাস করিয়া ও বঙ্গদেশীয় ধৰ্ম্ম ও সমাজ অল্পমোদিত আচার-অনুষ্ঠানাদি পালন করিয়া বাঙালী রূপেই পরিচিত ছিলেন । মনোমোহনবাৰু যশোহরের মুঠিয়া গ্রামে তাহার মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন । তাহাদের বংশের বিবাহাদি ক্রিয়ীও এ দেশীয়দের সহিতই অশুষ্ঠিত *て尋 1 মনোমোহনবাবু হিন্দু শরণারীর বাসের স্বfবধার জন্ম যে বিশাল প্রাসাদতুল্য ধৰ্ম্মশালা নিৰ্ম্মাণ কfরয়া দিয়াছেন, তজন্য তাহার কাৰ্বি অক্ষয় ইহঁয়া থাকিবে । বাঙালাপ্রতিষ্ঠিত ধৰ্ম্মশালাসমূহের মধ্যে এই ধৰ্ম্মশালাটি খে সৰ্ব্ববিষয়ে শ্রেষ্ঠ, সে-fবষয়ে সন্দেহ নাই । ১৯৯, ২০ ১ নং রামাপুর, বেনারস সিটাতে আড়াত বিঘা জমির উপর ঈহ! অবস্থিত। ইহাতে পাচ শতাধিক লোকের বাসোপযোগী সত্তরখানি স্থপ্রশস্ত শয়ন-গৃহ, কুড়িটি পাকশাল ও প্রায় চল্লিশটি ড্রেন-পাইখানা আছে । যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য টিউবওয়েল, ইদার, জলের কল ৪ বিজলী-বাতির ব্যবস্থা আছে । ১৯৩৪ সালে, ৪ঠা নবেম্বর কলিকাতা হাইকোর্টের স্বনামধন্য বিচারপতি (অধুনা অবসরপ্রাপ্ত ) শ্ৰীযুক্ত মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের সভাপতিত্ত্বে ধৰ্ম্মশালার দ্বারোদঘাটন-উৎসব মঙ্গসমারোহে আগুষ্ঠিত হয় । উক্ত উৎসবে মহামহোপাধ্যায় প্রমথনাথ তর্কভূষণ, পণ্ডিত রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ প্রভৃতি বিদ্ধস্মগুলী ও বহু উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী যোগদান করিয়া মনোমোহনবাবুকে তাহাদের শুভেচ্ছ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন । মনোমোহনবাবুর বাসনা ছিল, ধৰ্ম্মশালার সংলগ্ন জমিতে অনেকগুলি কক্ষ নিৰ্ম্মাণ করিয়া ভাড়া দিবেন ও প্রাপ্ত অর্থে ধৰ্ম্মশালা পরিচালনার জন্য স্থাপিত স্থায়ী ধনভাণ্ডারের পুষ্টি হুইবে । কিন্তু জাতির নিতান্ত দুর্ভাগ্য তাহার সে অভীষ্ট সিদ্ধ হুইবার পূর্বেই তাহাকে ইহুধাম পরিত্যাগ করিতে হইল { ২২শে আশ্বিন. ১৩৪২ ) । ३डॆग्रा