পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

— , —=ці їх bఆ8ఆ 32खोज्नेंो " T. Sess সভায় প্রবেশ করিয়া নানা উপায়ে উহাকে আচল করিয়া তুলিতে হইবে, যেমন দেশবন্ধুর নেতৃত্বে স্বরাজ্যদল চেষ্টা করিয়াছিলেন এবং কতকটা সফলকামও হইয়াছিলেন। দেশের বর্তমান অবস্থায় প্রথম পন্থাটা অবলম্বন করা হয়ত সম্ভবপর হইবে না। যদিও আমাদের মতে তাঁহাই উচিত ছিল, কিন্তু তদভাবে দ্বিতীয় পন্থাটি অবলম্বন করা প্রত্যেক বিবেকসম্পন্ন আত্মমৰ্য্যাদাশীল ভারতবাসীর কৰ্ত্তব্য। এই সব উপায় ব্যতীত অন্ত কোনও ভাবে আসন্ন শাসন সংস্কারের অকৰ্ম্মণ্যতার বিষয় দেশবাসীর নিকট প্রকট করিতে পারিব না। সমগ্র ভারতবাসী একত্র হইয়া একই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হইয়া ব্যবস্থাপক সভায় প্রবেশ করিলে যে এই পন্থা অবলম্বন করিবে তাহ কর্তৃপক্ষগণ ভাল করিয়াই জানেন। তাহ যাহাতে সম্ভব না হয় এই জন্ত সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার রচনা করিয়াছেন। মুসলমানদের প্রতি দরদের জন্ত নহে, তাহীদের দ্বারা কাজ হাসিল করিবার জন্তই তাহারা তাহাদের প্রতি পক্ষপাত দেখাইতেছেন। তাহারা জানেন এই সম্প্রদায়ের মধ্যে রাজনৈতিক আদশের সম্যক ফুরণ হয় নাই। পৃথক নিৰ্ব্বাচনের ভিত্তিতে ইহাদের সদস্য নিৰ্ব্বাচিত হইলে তাহাতে সরকার পক্ষেরই লাভ হইবে, এ-কথা বিগত দ্বৈত-শাসনের অভিজ্ঞতা হইতে তাহারা ভাল করিয়া বুঝিয়াছেন। তাই এই নূতন শাসন-সংস্কার বিধিবদ্ধ করিবার সময় তাহার মুসলমানগণকে অধিক আসনের লোভ দেখাইয়া এমন ভাবে এই বহুনিন্দিত বাটোয়ারাটি রচনা করিলেন যাহাতে উপরিউক্ত দ্বিতীয় পন্থাটি অবলম্বন করা কোনও মতে সম্ভব না হয়। মুসলমানদের জন্ত স্বতন্ত্র ভাবে নিৰ্ব্বাচন হইবে বলিয়া নিৰ্ব্বাচকগণ কোন মহান আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হইয়া যোগ্যতম ব্যক্তিকে নিৰ্ব্বাচন করিতে পারিবে না । রাজনীতিতে অনগ্রসর সরকারপন্থী বহু ব্যক্তি নির্বাচিত হইয়া যাইবেন। আর র্তাহারা তখন সমাজ ও স্বদেশ ভুলিয়া অন্ত সম্প্রদায়ের অনগ্রসর মতের লোকের সহিত মিলিত হইয়া ব্যবস্থাপক সভায় এমন একটা দল গঠন করিবেন, যাহা সরকারী ব্লকেরই অনুরূপ হইবে। ষে রাজনৈতিক অধিকার মুসলমানদিগকে জার্থিক স্বাতন্ত্র্য দিতে পারিবে, বাটোয়ারা ব্যাপারে তাহার জন্য জান্দোলন করাও সম্ভব হইবে না। এই ভাবে মুসলমানদের সর্বপ্রধান ও সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয় বার্থ পদে পদে ব্যাহত ও ক্ষুণ্ণ হইতে থাকিবে। তার পর যদি ধরিয়া লওয়া যায় ষে ব্যবস্থাপক সভাগুলিকে অধিকার করিয়া সচল করিলে কিছু উপকার পাওয়া যাইবে, তাহা হইলেও বাঁটােয়ারার আশ্রয়ে মুসলমানদের বিশেষ স্বার্থ সংরক্ষিত হইবার বিশেষ কোন আশা নাই। কারণ অপরের সদিচ্ছা ব্যতীত কেবল মুসলমানদের সাহায্যে তাহ সম্ভব নহে ; আর বঁাটোয়ারা থাকিতে সে লাভের সদিচ্ছা আশা বাতুলত মাত্র। যাহা মুসলমানদের প্রকৃত ও মূল স্বার্থ তাহা ভারতীয় অমুসলমানের বিশেষতঃ হিন্দুদের স্বার্থ হইতে একটুও বিভিন্ন নহে। মুসলমানদের আধিক্য না হইলেও সে-স্বার্থগুলি হিন্দুদের সাহায্যে সংরক্ষিত হুইবে, কারণ সে-সকল বিষয়ে হিন্দু-মুসলমানের স্বার্থ সমভাবে জড়িত। তাহার জন্ত বাটোয়ারার মত সৰ্ব্বনাশকর ব্যবস্থাকে আশ্রয় করিবার প্রয়োজন নাই। সাধারণ মুসলমানদের নিকট একটা কথা বিনয়ের সহিত নিবেদন করি। বাটোয়ারার আশ্রয়ে তাহারা অধিক সংখ্যক আসন পাইবেন সত্য, কিন্তু তাহারা কি একবারও ভাবিয়া দেখিয়াছেন এগুলি কোন শ্রেণীর মুসলমানদের কবলিত হইবে? ইহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই যে আমাদের নেতাদের উৎকট সাম্প্রদায়িকতার জন্ত সমাজের মধ্যে স্বাধীনতার আদর্শ ব্যাপক ভাবে প্রচার হয় নাই, এবং সমাজ কোনরূপ উচ্চ শ্রেণীর রাজনৈতিক আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হইতে পারে নাই। আসন্ন নিৰ্ব্বাচনের সময় নবাব, স্ববা, জমিদার ও হোমরা-চোমরাদের প্রভাব কি এ-সমাজ সহজে পরিহার করিতে পরিবে ? বহু যুগ পরে হয়ত পরিবে, কিন্তু বর্তমানে তাহা সম্ভব হইবে না। আর অত দিন পৰ্য্যন্ত অপেক্ষা করিলে কি সমাজের মেরুদণ্ড ভাণ্ডিয়া বাইবে না ? গুৰু মুসলমানদের বেলায় নহে, বাটােয়ারার জন্ত সাধারণ হিন্দুরাও অবাহিতদের প্রভাব হইতে মুক্তি পাইবে না। কিন্তু মিশ্র নির্বাচন প্রণালী প্রবর্তিত হইলে দেশের সাধারণ অধিবাসিগণ সম্প্রদায়নিবিশেষে সমবেত চেষ্টায় নিজেদের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত করিতে পারিত, কিন্তু পৃথক নিৰ্ব্বাচন থাকাতে সাধারণের একত্র যোগ হওয়া সম্ভবপর হুইবে না। সকল সম্প্রদায়ের জমিদার শ্রেণীর লোক অল্প