পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“আমাদের শাস্তিনিকেতন” সঙ্গীত করিয়৷ পূৰ্ব্বতন ছাত্রছাত্রীদের আশ্রম-প্রদক্ষিণ ৭ই পৌষের উৎসবে শাস্তিনিকেতনের পূর্বতন ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক সম্মিলন, ১৩৪৩ [ প্রদ্যোতকুমার সেনগুপ্ত কর্তৃক গৃহীত চিত্র ] তার পূৰ্ব্বে তিনি নিয়মমত মন্দিরে উপদেশ দিতেন। অনেক দিন তা বন্ধ ছিল । বহুকাল পরে প্রবাস থেকে ফিরে এসে একদিন উপনিষদের ব্যাখ্যা করেন, সেই বারই আমি র্তার উপদেশ প্রথম শুনি, তার পূৰ্ব্বে কোন দিন শুনি নি।” রাত্রিশেষে গুরুদেব অন্ধকার থাকতে উঠে বাইরে এসে বসে থাকেন। অনেক দিন থেকে তার এই অভ্যাস। তিনি বলেন, এই সময়ে গভীর একটি শাস্তি সমস্ত চিত্তে তিনি অনুভব করেন । এই সময়টির কথা শাস্তিনিকেতন’ গ্রন্থের কত জায়গায় গুরুদেব লিখেছেন, যেমন, “এই ব্রাহ্মমুহূর্তে কী শাস্তি, কী স্তৰুতা ! বাগানের সমস্ত পার্থী জেগে গেয়ে উঠলেও সে স্তৰুতা নষ্ট হয় না, শালবনের মৰ্ম্মরিত পল্লবরাশির মধ্যে পৌষের উত্তরে হাওয়া দুরন্ত হয়ে উঠলেও এই শাস্তিকে স্পর্শ করতে পারে না।” “শাস্তিনিকেতন’ গ্রন্থের উপদেশগুলি যখন লেখা হয় তখন খুব ভোরে অন্ধকার থাকতে প্রতিদিন মন্দিরে গুরুদেব বলতেন। অনেকেই সে-সময়ে সেখানে একত্র হতেন । কি জাগ্রহ নিয়ে সকলে শুনতে যেতেন তা দেখেছি। এই অমূল্য স্থযোগের কয়েকটি দিন পাবার সৌভাগ্য আমারও झ८ब्रहिण । डथन बैठकॉल । डिनि श्वथन दण८७ च्षांब्रछ করতেন তখন এমন অন্ধকার থাকত যে পরম্পরকে চেনা যেত না। যখন শেষ হ’ত তখন সবে স্বর্ধ্যোদয় হয়েছে । আর সেই জালো সমস্ত গাছপালা ফুলের উপর পড়ে আশ্রমের স্বন্দর একটি রূপ ফুটে উঠেছে । তখন আশ্রমে প্রচুর গোলাপ ফুটত মনে আছে। কিছুদিন পূৰ্ব্ব পর্যন্তও প্রতি বুধবার গুরুদেব মন্দিরে বলতেন। মন্দিরে বলবার মধ্যে র্তার অনুভূতির গভীরতা ও আনন্দ বোঝা যায়। ভোরের আলোতে সমস্ত প্রকৃতি র্তার কাছে আনন্দরূপে প্রকাশিত হয় । গুরুদেবের বলায় আর তার গানে সেই আনন্দের উপলব্ধি অপূৰ্ব্বভাবে সকলের কাছে প্রকাশিত হয়। এক এক সময়ে অনুরূপ গান নিজেই রবীন্দ্রনাথ, উৎসবাত্তে নবনিৰ্ম্মিত গৃহের সম্মুখে [ প্রদ্যোতকুমার সেনগুপ্ত কর্তৃক গৃহীত চিত্র ]