পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দননগরে বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মিলনের স্বেচ্ছাসেবিকাবৃন্দ নীতির অমুসরণ করিয়া এইরূপ বিধান করেন যে, “An optional examination he hell in composition in Bengali and other vernaculars for Ilie F. A. and B. A. proficiency in it cm titling candidates to a special certilicate.” হীরেন্দ্রবাবু বলিয়াছেন, বিদ্যার অন্যান্য ক্ষেত্রের মত দর্শন-ক্ষেত্রেও র্তাহার উচ্চাকাঙ্ক্ষা এই, যে, এ বিষয়ে বাঙালীদের চিস্তার যাহা কিছু উত্তম ফল, তাহ বাংলা ভাষাতেই লিপিবদ্ধ করিতে হইবে । তাহার পর তিনি বাংলা দেশের আধুনিক নিম্নলিখিত দার্শনিকদের নাম করিয়াছেন,— “অধুনা বৈকুণ্ঠবাসী চন্দ্ৰকান্ত তর্কালঙ্কার, কৈলাস শিরোমণি, রাখালদাস স্থায়রত্ন, ডাঃ ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, হীরালাল হালদার, কৃষ্ণচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য, ডাঃ সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ, ডাঃ স্বরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত, মহামহোপাধ্যায় প্রমথনাথ তর্কভূষণ, ফণিভূষণ তর্কবাগীশ, পঞ্চানন তর্করত্ব প্রভৃতি।” অfমার বোধ হয়, এই তালিকার মধ্যে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, উপাধ্যায় গৌরগোবিন্দ রায়, নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, উপাধ্যায় ব্রহ্মবান্ধব, রামেন্দ্রমুন্দর ত্রিবেদী, মহেশচন্দ্র ঘোষ, সীতানাথ তত্ত্বভূষণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিধুশেখর শাস্ত্রী, হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, ক্ষিতিমোহন সেন, মহেন্দ্রনাথ সরকার প্রভূতিরও নাম নিবিষ্ট করা যাইতে পারে। হীরেন্দ্রবাবুর অভিভাষণে লিখিত আর যে একটি বিষয়ের উল্লেখ আমি করিতে চাই, তাহা বঙ্গের তরুণ সাহিত্যিক original candidales, প্রবাসা w98\లి দল সম্বন্ধে তাহার বক্তব্য। র্তাহাদের সম্বন্ধে তিনি বলিয়াছেন :– বস্তুতঃ এই তরুণ দলই বাংলা সাহিত্যের ভাবী ভরসার স্থল । সজক্স ষ্টাইদের দায়িত্ব অসীম। প্রবীণ সাহিত্যিকদিগের অনেকেরই আয়ু:স্বৰ্য্য পশ্চিমে হেলিয়া পড়িয়াছে । ঠাঙ্গার আর কয়দিন ? বাংলা সাহিত্যের স্বস্তি ও সমৃদ্ধি এই তরুণদলের উপরেই নির্ভর করিতেছে । এই তরুণদলকে আমি বেশ প্রীতির চক্ষে দেথি । যদিও কাহারও কাহারও মধ্যে অকালপক্কতার জরা ইতিমধ্যেই দুষ্ট হইতেছে কিন্তু কয়েক জলের রচনায় প্রতিভার প্রকাশ বেশ সুস্পষ্ট হইয়াছে—মনে হয় কাহারও কাণ্ডারও সংপদ্মে শতদলবাসিনী ষ্টাচার রাঙা চরণ অর্পণ করিয়াছেন । বোধ হয় ঐরপ তরুণদিগকেষ্ট লক্ষ্য করিয়া রবীন্দ্রনাথের অমোঘ আশীষবাণী উচ্চারিত হইয়াছিল— "ওরে নবীন ওরে আমার কাul, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, আধ-মরাদের ঘা মেরে তুষ্ট ৰাচ৷ ” ইত্যাদি অবগু, হীরেন্দ্র বাৰু তরুণদের কেবল প্রশংসাই করেন নাই, র্তাহাদিগকে “সাহিত্যের ভূমিতে যৌন উচ্ছৃঙ্খলতা” সম্বন্ধে বিস্তারিত ভাবে সতর্কও করিয়াছেন । এরূপ সতর্ক করার প্রয়োজন আছে। আরও কেহ কেহ তাহা করিয়াছেন । রবীন্দ্রনাথও তাহার উদ্বোধনে তাহা করিয়াছেন, কিন্তু তিনি তাহা তরুণ, প্রৌঢ় বা বৃদ্ধ—বিশেষ কোন সাহিত্যিক দলের উদ্দেশে করেন নাই। হীরেন্দ্রবাবুও, তরুণ দলেরই উল্লেখ করিয়া থাকিলেও, যে দুই জন অ-তরুণ ঔপন্যাসিকের চারিখালি উপন্যাসবণিত কোন কোন নায়িকা সম্বন্ধে নিন্দাপ্রশংসামিশ্রিত প্রশ্ন করিয়াছেন তাহাদের এক জনের বয়স ৭৫এর উপর, অন্য জনের ৬০এর উপর । হীরেন্দ্রবাবুর সমুদয় উক্তির ন্যায্যতা বা অন্যায্যতা সম্বন্ধে কিছু বল বা ইঙ্গিত করা আমার অনভিপ্রেত। আমি অন্য একটা কথা বলিব । সাহিত্যে অশ্লীলতার নিন্দাই সাধারণতঃ হুইয়া থাকে। নিন্দ অনাবশুক নহে। কেহ কেহ অন্তবিধ শাস্তির প্রস্তাব এবং সমর্থনও করেন । কিন্তু আমাদের দেশে ও অন্ত নানা দেশে কোন কোন যুগে অশ্লীলতার প্রাদুর্ভাব কেন হইয়াছিল বা হইয়াছে, তাহার কারণ নির্ণয় করা এবং সমুচিত রাষ্ট্ৰীয় ও সামাজিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করাও আবগুক—হয়ত তাহাই অধিক আবখ্যক । ইংলণ্ডে রাজা দ্বিতীয় চালসের সিংহাসন আরোহণের পর একবার