পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टंख्ञाछे マラt?村ァi هوة الاج মতুজ দু-এক বার আড়চোথে কাকার দিকে ফিরিয়া ফিরিয়া চাহিল ; চলিয়া গেলে রাগে ঘাড় বঁকাইয়৷ মুঠার ওপর মুঠা ঠকিতে ঠকিতে বলিল—“আমি কখনও যাব না, দেখি আমায় কে যাওয়ায় তুমি যেন তাব’লে ব’লে দিতে য়েও না, ষ্ট্যা: ••• আর যদি যেতেই হয় তো আমি গরুর গাড়ীতে যাব, আগেকার তপস্বীদের মতন, দেখি আমায় কে মোটরে করে পাঠাতে পারে। আর আমার যদি আজ চাল মাও তো • • 7 কাকীমার ক্রুদ্ধ চক্ষু দেখিয়া আর শেষ না করিয়া হন হন করিয়া বাহির হইয়া গেল । ( 3 ) মল্লজের বি-এ-তে দর্শনশাস্ত্ৰ লইবার কথা ছিল না । তাহার ঝেণকট ছিল ইতিহাসের দিকে । আই-এ পরীক্ষায় ইউনিভার্সিটি হক্টতে ‘H’ অক্ষরও পাইয়াছিল। ইতিহাসেই অনাস লইবে ঠিকৃষ্ঠাক্ এমন সময় কাকার হাতে তাহার লেখা gæfð EAV vifSAl csjFI—“Feminine Beauty in the Making of History” (*fo-fos -Tilসৌন্দর্য্যের স্থান ) । সংগ্রহের মধ্যে, তাহার বয়স ও শিক্ষার অন্তপাতে বেশই মৌলিকতা ছিল , কিন্তু কাক ভ্রাতুষ্পত্রের মনের গতি লক্ষ্য করিয়া ভড়কাইয় গেলেন। সাব্যস্ত হইল দশম লইতে হইবে,- অনাসও দর্শনশাস্ত্রেষ্ট । মন্তজু আড়ালে একটু গুইগাই করিল, কানে উঠিলে কাক৷ সামন-সামনিই স্পষ্টস্বরে বলিলেন—“কেন ?—যারা আসলে তাহাকে ইতিহাস গড়ে তুললে–চন্দ্রগুপ্ত, বাবর, শেরশা, ক্রমওয়েল— এদের কথাই নেই, গোজ পড়ল গিয়ে কুইন্‌ মেরীর, নূরজাহানের –এর অর্থ টা কি শুনি ?...ফেমিনিন বিউটি ! ...” দর্শনশাস্ত্রট বাড়িতে নিজেই পড়ান আরস্ত করিয়াছেন । দুইটি কারণ আছে ; প্রথমত: জিনিষটি তাহার প্রিয়, দ্বিতীয়ত: ও শাস্ত্রে আবার মন যদি মিল, হাৰ্বার্ট স্পেন্সর প্রভৃতির জড়বাদের দিকে ঢলে তাহা হইলে বিপদ সমূহ, এমন কি ইতিহাসের চেয়েও ঢের বেশী, কারণ তাহার পরিণাম এপিকিউরিয়ানিজমৃ—অর্থাৎ যাবজ্জীবেৎ মুখং জাবেং...। تاسسسه. جن جة সুতরাং সেটিকে আবার আদর্শবাদের খাতে বহাইয়া লইয়া যাওয়া দরকার । বন্ধুদের বলেন—“সঙ্গে সঙ্গে এথিক্সের কড়া ডিসিনফেকৃটেন্ট-ও দিয়ে যাচ্ছি ; দেথাই যাক না ” তাহার বিশ্বাস ফল হইতেছে । তিনি যখন স্পেন্সার প্রভৃতির মতবাদগুলি মৃতীক্ষু তর্কে এবং সুতীব্র মন্তব্যে ছিন্নভিন্ন করিতেন, কিন্তু কাণ্ট হেগেলের আদর্শবাদ লইয় বেদাস্তের কোটায় গিয়া পড়িতেন সে-সময় ভাইপোর গভীর তদগত ভাব দেথিয় নিজের ব্যবস্থায় বেশ আস্থাবান হইয়া উঠিতেছিলেন । মলুজ প্রথমে এক-আধটা তর্ক করিত, ক্রমে তন্ময়তার চোটে সেটাও বন্ধ হইয়া গেল, নীরবে তাহার যুক্তিস্রোতবর্ষ মুথের দিকে চাহিয়া থাকে মাত্র ; ক্রমে দেখা গেল শুধু ধীরে ধীরে মাথা দোলাইতেছে, এবং ইহার পরে একদিন দেখা গেল কাকার উগ্র আলোচনার ঝোকে ঝোকে চৌকির ওপর ছোট করিয়া এক-একটা ঘুসি পৰ্য্যস্ত বসাইয়া দিতে লাগিল। কাক মনে মনে হাসিলেন—ভাইপে একেবারে মাতিয়া গিয়াছে ; কুলক্ষণ । সেদিন পড়ান শেষ করিয়া বাহিরে আসিতেই কিন্তু হঠাৎ থমকিয়া দাড়াইয়া গেলেন । কানে গেল—ছোট পার্কটির ওধারে একটি দোতলা বাড়ি হইতে দ্রুত তালের নারীকণ্ঠ-সঙ্গীত ভাসিয়া আসিতেছে, পড়ানয় অতিরিক্ত মনোনিবেশের জন্য এতক্ষণ শুনিতে পান নাই । কাক কপালে বঁ-হাতের আঙুলের চারিট ডগ চাপিয়া ইেট-মুখে খানিক ক্ষণ দাড়াইয়া রহিলেন ; একটু উদ্ধে নিম্নে মাথা দোলাইলেন, দু-একবার ডাইনে-বায়ে,—কি একটা আকস্মিক সমস্যার ঠিকমত মীমাংসা হইতেছে না। শেষে নিজের মনেই বলিলেন--"না:, স্পষ্ট জিজ্ঞাস করাই ভাল।” আবার ঘরের দিকে ফিরিলেন । ঘরের দিকে পা দিতে আরও স্তম্ভিত হইয় তাহাকে থমকিয় দাড়াইতে হইল। মলুজ সাইকলজির ভারী বাধান বইটা বুকের কাছে চাপিয়া তড়বড় করিয়া বায়াতবলা বাজাইয়। যাইতেছে ; মিঠে ভঙ্গিমায় মাথাটি ঘূরিয়া ঘুরিয়া দুলিয়। যাইতেছে, চক্ষু গভীর তন্ময়তায় মুদ্রিত –গান তখনও ওদিকে চলিতেছে ।