বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওগুরি-হাঙ্গওয়ান (জাপানী গাথা হইতে ) ঐসুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসিদ্ধ তাকাকুর দাই মাগোন, তার অপর নাম কনে-উয়ে অর্থাং ধনকুবের । চারিদিকে তার দৌলতখানা। কত দুষ্পাপ্য অসম্ভব বস্ত ছিল তার ভাণ্ডারে তার ইয়ত্ত নাই । এমন এক র9 ছিল আগুনকে যা দমন করিতে পারে, অপর এক রম ছিল ষা জলকে করে দমন। আর ছিল এক বাঘের নখ—জীবন্ত বাঘের থাবা থেকে কাটা। এমন কি অশ্বশ্বকের শিং, কস্তুরাবিড়াল পর্য্যস্ত ছিল । মাযের কামনার ধন সমস্ত ছিল, ছিল না কেবল এক বংশবদ । তা-ই ছিল তার কষ্টের একমাত্র কারণ। পুরাতন বিশ্বস্ত অনুচর কেনোসোজি একদিন তাঙ্গকে বলিল– "পবিত্র কুরাম-পাহাডের উপর বৌদ্ধ ঠাকুর তামোনতেনের মন্দির । ঠাকুরের রুপার কথা দেশদেশাস্তরের লোক জানে ; আমার সবিনয় অনুরোধ, হুজুর সেই মন্দিরে গিয়ে তার কাছে মানত করুন ; তাহলে আপনার মনস্কামনা পূর্ণ হবেই।” হুজুর সম্মত হইলেন । হইল সুরু । অতি দ্রুত ভ্রমণের ফলে অচিরে তিনি মন্দিরে পৌছিলেন ; তার পর দেহের উপর প্রচুর জল ঢালিয়া শুদ্ধগুচি হইয়া বংশধরের জন্য একমনে প্রার্থনা করিতে লাগিলেন । সৰ্ব্ববিধ খাদ্য পরিহার করিয়া তিন দিন তিন রাত এইরূপে কাটাইলেন। কিন্তু সবই বুঝি বৃথা হয় ! দেবতা নিরুত্তর । হতাশ হইয়া ওমরাহ সঙ্কল্প করিলেন, মন্দিরের মাঝে হারাকিরি’ করিয়া পবিত্র দেবায়তন কলুষিত করিবেন ! শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পর বিদেহী অবস্থায় কুরাম অবিলম্বে যাত্রার আয়োজন পাহাড়ে ভর করিয়া পাচক্রোশব্যাপী পাৰ্ব্বত্য পথে তীর্থযাত্রীদের ভয় দেখাইয়া তাহাদের ধৰ্ম্মাচরণে বাধা দিবেন ! মুহূৰ্ত্তের বিলম্বে মারাত্মক কাণ্ড ঘটিতে পারিত ; ভাগ্যে ইকেনোসোজি ছুটিতে ছুটিতে আসিয়া উপস্থিত। হার+ কিরি’তে বাধা পড়িল । “হুজুর ।” অনুচর বলিল-“ভট্ট করে মরবার সঙ্কল্প আগে আমার ভাগ্য যাচাই করি, দেখি আপনার জন্তে মানত করে আমি বেশী ফল পাই কি না ।” তখন সে একুশ বার দেহগুদ্ধি কfরল- সাতবার দেহ ধুইল গরম জলে, সাতবার ধুইল শীতল জলে, আর সাতবার ধুইল একগোছা বঁাশপাতার সাহায্যে । তার পর দেবসকাশে নিবেদন করিল— “ঠাকুরের রুপায় আমার প্রভুর যদি বংশধর প্রাপ্তি হয়, তা'হ'লে প্রতিজ্ঞা করছি মন্দিরের উঠান ধাতু দিয়ে বঁধিয়ে দেব ! মন্দিরের বাহিরে বসাবে সারবনী ধাতুর লন্ঠন, ভিতরে সমস্ত থাম থাটি সোনা আর রুপের পাতে দেওয়াব মুড়িয়ে ।” দেবসকাশে দুষ্ট দিন দুষ্ট রাত ধ্যানধারণায় কাটার পর তৃতীয় রাত্রে তামোন-তেন ভক্তের কাছে প্রকাশিত হইলেন । করবেন না । কহিলেন— “তোমার প্রার্থন পূরণ করার জন্তে উপযুক্ত বংশধরের সন্ধান করেছি নিকটে ও দূরে—এমন কি তেনজিকু ( ভারতবর্ষ ) ও কারা (চীনদেশ ) পৰ্য্যস্ত। কিন্তু যদিও মানুষ আকাশের নক্ষত্রের মত বা বেলাবালুকার মত অগণিত, তবুও তোমার প্রভুকে দেওয়ার মত মানুষের ঔরসজাত একটি বংশধরও খুঁজে পাই নি। অবশেষে, নিরুপায় হয়ে দানদোকু পৰ্ব্বতের হুদূর প্রাস্তে আরি-আরি শৃঙ্গে যার নিবাস