পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RoR প্রবাসী ్బుులిgNరీ আসছি পলাতক আসামীর খোজে ! এ বাড়িতে পুরুষের প্রবেশ নিষেধ বলেই এখানে তল্লাস দরকার !" রক্ষীরা অবাক হইয় গেল, তাহাদিগকে আর বাধা দিতে পারিল না। তথাকথিত রাজকৰ্ম্মচারীরা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিল, এবং ওমরাহ-নন্দিনীর সহচরীরা অনেকে তাহাদিগকে সাদরে অভ্যর্থনার জন্য বাহির হইয়| আসিল । স্বয়ং কুমারী তেরুতে সেই প্রেমপত্রের লেখকের আগমনে যারপরনাই আনন্দিত হইয়া তার পাণিপ্রার্থীর সম্মুখে উপস্থিত হইলেন । আনুষ্ঠানিক পরিচ্ছদে তিনি সজ্জিত, র্তার র্কাধের উপর একখানি আচ্ছাদনী । কানে-উজিও স্বন্দরী কুমারীর অভ্যর্থনায় মুগ্ধ হইলেন। অবিলম্বে উদ্ধাহক্রিয়া সম্পন্ন হইল, তারপর মুরা-সহযোগে প্রকাণ্ড ভোজের সমারোহ। কুমারের অনুচর ও তেরুতের সহচরীবৃন্দ একত্রে মৃত্যগীতে মাতিয়া উঠিল। স্বয়ং ওগুরি হাঙ্গওয়ান তার বাশের বাশি বাহির করিয়া মধুর সুরে তান ধরিলেন । * অদূরবর্তী ভবনে বসিয়া তেরুতের পিত। কন্যার আলয়ে আনন্দ-কলরোল শুনিয়া অবাক হইয়া ভাবিতে লাগিল – কি হ’ল ? ব্যাপার কি ? যখন শুনিল হাঙ্গওয়ান তার অনুমতি ব্যতিরেকেই তার কন্যাকে বিবাহু করিয়াছে তখন সে ক্ৰোধে অগ্নিশৰ্ম্ম৷ হইয়া গোপনে প্রতিশোধের উপায় চিন্তা করিতে লাগিল । g পরদিন য়োকোয়াম কুমার কানেউজিকে স্বীয় ভবনে নিমন্ত্ৰণ করিয়া পত্র দিল-উদ্দেশু, সুরাপান-অনুষ্ঠানের দ্বারা শ্বশুর-জামাতার সম্ভাষণ-বিনিময়। তেক্লতে স্বামীকে নিষেধ করিলেন, কারণ রাত্রে তিনি দুঃস্বপ্ন দেখিয়াছিলেন। কিন্তু হাঙ্গওয়ান তার আশঙ্কা তুচ্ছ করিয়া নিৰ্ভয়ে চোজার ভবনে চলিয়া গেলেন, পত্নীর ইচ্ছানুযায়ী কেবল কয়েক জন যুবক অমুচরকে সঙ্গে রাখিলেন। য়োকোয়াম চোজা তার আগমনে উৎফুল্প হইয়া গিরিসমুদ্রজাত বিবিধ মুখাদ্যে জামাতার পরিচর্য্য! করিল। অবশেষে মুরাপানে অবসাদ আসিলে য়োকায়াম বলিল— এবার আমাদের মাননীয় অতিথি ওমরাহ কনেউজি সভার চিত্ত বিনোদন করুন ! বলুন কি করবো-হাঙ্গওয়ান বলিলেন । চোজা বলিল—শুনেছি আপনার অশ্বারোহণ-পটুত অসাধারণ ! বেশ, তাই দেখুন–কুমার উত্তর দিলেন । অবিলম্বে ‘ওনিকাগে’ নামক অশ্ব আনীত হইল । ঘোড়াট। এমনি দুৰ্দ্দাস্ত যে সেটাকে খোড়া বলিয়াই মনে হয় না, একটা আমুর কিম্বা ড্রাগন বলিয়াই মনে হয় । কেষ্ট তার কাছে ঘেঁসিতে পৰ্য্যস্ত সাহস করিত না । কানেউজি কিন্তু তখনি ঘোড়ার শিকলটা খুলিয়া দিয়া অবলীলাক্রমে তার পিঠে চাপিয়া বসিলেন ; দুৰ্দ্দান্ত ‘ওনিকাগে আরোহীর ইচ্ছামৃৰ্যায়ী চলাফের করিতে বাধ্য তষ্টল । দেখিয়া সমবেত সকলে বিস্ময়ে নিৰ্ব্বক হইয় গেল । তখন চোজা ছয় ভাজ করা একপানি কাঠের পরদ ( screen ) দাড় করাষ্ট্ৰয় কুমারকে উঠার উপরের কিনারা দিয়া ঘোড় চালাইতে বলিল । ওগুরি তাঁহাই করিলেন । পিড়ি রাখা হইল । তিনি তার উপর ঘোড়াকে ছকের ঘরে ঘরে পা ফেলাইয়া চালিত করিলেন । অবশেষে তিনি আন্দন বা জাপানী লন্ঠনের ফ্রেমের উপর ঘোড়াকে দাড় করাইলেন। তখন কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় য়োকোয়ামা কুমারের সম্মুখে আনত হইয়া কেবল বলিতে পারিল—যথেষ্ট আনন্দ দিলেন, যথার্থই বাধিত হলুম, বড় খুশী হয়েছি! বাগানে একটা চেরিগাছে ঘোড়াটাকে বাধিয়া ওমরাহ ওগুরি আবার ঘরে ফিরিলেন । ওদিকে কৰ্ত্তার তৃতীয় পুত্র সাবুরো বিষাক্ত মদ দিয়া কুমারকে হত্যা করিবে স্থির করিয়াছে--পিতাকেও রাজি করাইয়াছে। 'সাকে পান করার জন্য সে কুমারকে পীড়াপীড়ি করিতে লাগিল। সেই সুরার সঙ্গে মিশ্রিত ছিল নীল বিড় ও নীল গিরগিটির বিধ এবং ফাপর বাশের গাটের মধ্যে দীর্ঘকাল আবদ্ধ দূষিত জল । তারপর একখানি দাবার