পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NPQR প্রবাসী >Nご8いこ নানা বর্ণের পটুক (পাগড়ী ) শোভা পেতে থাকে। অবশু সেখানে রূপের হাট বসে না। কারণ এই কুলওয়াড়ী জাতের মধ্যে সে-রকম গৌরবর্ণ ও সুন্দর মুখশ্ৰী দেখা যায় না, যতটা দেখা যায় উচ্চশ্রেণীর লোকদের মধ্যে । সন্ধ্যার অন্ধকার নামবার পূর্বেই দলে দলে এর ঘরে ফিবৃতে থাকে। তার পর নব উৎসাহে, নব উন্মাদনায় স্ত্রীপুরুষ, বালক-বালিকা ক্ষেত্তের কাজে লেগে যায়, দেবীর আশীৰ্ব্বাদে আর কুলওয়াড়ীদের অশ্রাস্ত পরিশ্রমে শস্তক্ষেত্রগুলি ত্যামল রূপ ধারণ করে, জনসাধারণের দৃষ্টিতে টেম্বলবাঈল পানি’ উৎসব সার্থক হয়ে ওঠে। _ রবীন্দ্রবাণী শ্ৰীঅমিয়চন্দ্র চক্রবর্তী y মহান যুগের স্রোতে বহু মাঠ, গাছ, ঘর, বাংলার বিচিত্র ভূবন বৃহৎ মানবসংঘ হ’তে সমাজ সংস্কৃতি ধান্য—বন্দীর নয় তো জীবন । মৰ্ম্মবণি’ বাংলার মন তবু স্বর্ণভূমে দিল জাগরণী । ঘুরেছে দিনের ঘুমে, বিস্মরণে কত কাল জানি জীবন্ত অতীত হ’তে বাণী পায় নি মাটির যোগে নবীন যুগের ধ্যানাসনে ; মেশে নি জাগ্রত ধারা দু-হাতে, মননে, শক্তি হ'য়ে চিত্তধারা গেছে ব’য়ে পৌরাণিক আৰ্য্যস্বপ্নে ; একালে, পশ্চিমী ঝড়ে দুলে আত্মগতি গেছে ভুলেবন্দীর জীবন সেই, গ্রামে ঘরে ঘোরে প্রাণচাকা কতু শান্তি, কভু ক্লান্তি, আকস্মিকে বেঁচে-থাকা, আশৰ্য্য প্রাণেরে ঢালা দৈবাধীন, অবিদ্রোহে, দুৰ্য্যোগেরে দোষী ক’রে দুঃখের সাধনা মোক্ষ-মোহে— অভাবের কান্না ওঠে, সূর্য্যাকাশ নিরুত্তর ধূসর অভ্যাসমরু, দিগন্তে মৃত্যুর গুপ্তচর । R এলে তুমি বাণী, পত্রে পত্রে তব রুদ্রপাণি রৌদ্রে নেয় ভরে, ংলার প্রাণ ফোটে বন্ধভাঙা পুষ্পের নিঝরে ; শূন্যচেরা শু্যামল চেতন তব মুক্ত শাখার স্পন্দন চমকের নেশাচুর্ণ চোখে আজ মাঠে শস্ত নেই দেখে লোকে দিন গেছে ; ঘরে ক্ষুধা ; শত শত্রু ফিরে অশক্তির নাট্যমঞ্চ ঘিরে । শক্তি এল সত্যের প্রত্যয়ে । ভোরে উঠে জনে জনে পরম বিস্ময়ে মহাবাণী, শুভ্ৰ পটে জেনেছে তোমায়, মৰ্ম্মমাঝে পেয়েছে সত্তার স্পর্শ ; দিনকাজে বিদ্যালয়, রুষি, শিল্প, সাহিত্য সমাজে জাগে ভাষা। প্রজ্জলন্ত আশা মধ্যাহ্নে তোমার ছন্দে গ্রামে গামে নবীন সংগ্রাম করিছে প্ৰণাম । সায়াহ্নের আলো লাগে গভীর আকাশ হ'তে যবে তরু, তব ধ্যানাবিষ্ট পল্লবে পল্লবে মর্ত্য-জ্যোতিষ্কের স্বর মেশে, বঙ্গদেশে মানবেরে দিলে অঙ্গীকার, অস্তিত্বের অধিকার যেখানে সুন্দর দিনাকাশে সত্তার সমগ্র তরু আপন বিকাশে ।