পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অtষণঢ় \రిక মোতিনগরের প্রধান প্রবেশ-দ্বার - কমল-তোরণ বামে কমলা-বাজার কষ্টসহকারে একত্রিত ক’রে এবং দক্ষতার সহিত লোক সমক্ষে ধ’রে নন্দলাল বস্তু সকলের বিশেষ কুতজ্ঞতাভাজন হয়েছেন । এই প্রদর্শনীটিতে বৌদ্ধযুগ হতে আরম্ভ করে আধুনিক কাল পৰ্য্যস্ত যত প্রকার শিল্পধারা প্রবাহিত হয়েছে তার মধ্যে মুখ্য সব গুলিরই কিছু কিছু নিদর্শন ধারাবাহিক রূপে শ্রেণীবদ্ধ করা ছিল । বৌদ্ধ যুগের অজণ্ট ও বাঘগুহার প্রাচীর চিত্রের নন্দলাল বস্তু কর্তৃক অঙ্কিত কয়েকখানি সুদক্ষ প্রতিলিপি ছিল । তিব্বতের কতকগুলি পতাকাও বিশেষ উল্লেখযোগ্য । তার পরের ভাগে ছিল রাজপুত ও মোগল ধারার ছবি । এ বিভাগে থান-কয়েক খুবই স্বন্দর প্রতীক ছিল যাতে এ দুটি ধারার বিশেষত্বগুলি স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছিল। তার পর ধীরে ধীরে মোগল স্কুলের কিরূপে অবনতি হয়, খান কয়েক চিত্রের দৃষ্টান্ত দ্বারা তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। গ্রাম্য শিল্পের কয়েকখানি খুবই সুন্দর নিদর্শন ছিল । নিবারণ ঘোষ অঙ্কিত খান কয়েক কালিঘাটের পটে যথেষ্ট ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া যায়। উড়িষ্যা এবং লক্ষেীয়ের গ্রাম্য শিল্পের কয়েকটি সুন্দর নিদর্শন ছিল । তার পরের বিভাগে আসে আধুনিক চিত্রাবলি। এই চিত্রগুলির মধ্যে শিল্পগুরু অবনীন্দ্রনাথের চিত্রগুলি সৰ্ব্বপ্রথম উল্লেখ করা উচিত। র্তার বার খানি চিত্র প্রদর্শিত হয়। কলিকাতার বাহিরে তার এতগুলি চিত্র একত্রে দেখবার সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। তার পরেই উল্লেখযোগ্য গগনেন্দ্রনাথের চিত্রাবলি । ইহার পাচখানি চিত্র ছিল । ইহাতে আমার দক্ষিণে কম্বুরী-বাজার মনে হয় তার যথেষ্ট পরিচয় হয় না। তার আরও থানকতক ছবি থাকলে ভাল হ’ত । গগনেন্দ্রনাথ বিলাতী চিত্রাঙ্কন পদ্ধতি অবলম্বন করেও কিরূপে সম্পূর্ণভাবে সেটিকে নিজস্ব করে ফুটিয়ে তুলেছেন, তা তার এই কথানি চিত্রে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায় না। নন্দলাল বস্তুর আঠারখানি চিত্র ছিল । কিছু ছিল তার আগেকার ধরণে আঁকা এবং কিছু ছিল তিনি আজকাল যেরূপ ছবি অঁাকেন সেই সব ছবি । অসিতকুমারের তিন খানি চিত্র ছিল । তিন খানিই আগেকার আঁকা, আজকালকার কিছুই ছিল না। অন্যান্ত বিশিষ্ট শিল্পীদের মধ্যে ক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদারের তিন খানি, মুকুল দের দুইখানি, শৈলেন্দ্রনাথ দের এক থানি, ভেঙ্কটাপ্পার তন খানি, প্রমোদ চট্টোপাধ্যায়ের একখানি ও ললিত সেনের এক খানি চিত্র ছিল । আর ছিল রবীন্দ্রনাথের তের খানি ছবি যা বোঝবার সময় এখনও আসে নি । সব ক্ষেত্রেই সকলের ভাল ছবি ছিল ব’লে আমার মনে হয় না । এবং অনেক প্রসিদ্ধ শিল্পী বাদ পড়ে গিয়েছিলেন যাদের ছবি এরূপ প্রদর্শনীতে ( যার উদ্দেশু সব প্রকার ভারতীয় শিল্পধারার নিদর্শন লোকসমক্ষে প্রকাশ করা ) থাকা একাস্ত প্রয়োজন, যথা-দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী, বীরেশ্বর সেন, আবদুর রহমান চাঘতাই ইত্যাদি । সমরেন্দ্রনাথ গুপ্তেরও কয়েকখানি এচিং ছিল, কিন্তু কোন অঙ্কিত চিত্র ছিল না । আধুনিক ইমপ্রেশুনিষ্ট ধারাতুযায়ী আঁকবার চেষ্টাও অনেকেই করছেন দেখলুম। তার মধ্যে বিনোদবিহারী