বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- - ● চণ্ডীদাস-চরিত نفسvہی۔ আমায় চুরি করেছিলা তুমি তোমায় করেছি আমি। আমি সে করিব তুমার বিচার আমার করিব তুমি। বলি দেয় সবে অটবী অনল কাষ্ঠে অনল রয় । বহুলোক মাঝে নামীর তত্ত্ব নামটি ধরিয়া হয় । তরুলতা হতে বীজের জনম বীজ হতে তরুলতা। বীজ কি বিটপী বল্লরী আগে কাজ কি সে সব কথা । থাক বা না থাক ফলের কামনা তরুর যতন চাই । ভেবে দেখ স্থা তরুর যতনে আপনি সে ফল পাই ॥ ধন জন প্রাণ জাতি ফুল মান সকলি চলিয়া যাক । এক দুই তিন জুড়ি লহ সখা চারটি পড়িয়া থাক ॥* এক দুই তিন চারি পাঁচ ছয় সাত আট নয় শূন্ত । এর চেঞে আর বেশ কিছু নাঞি সকলি ইহাতে গণ্য ৷ বাঘও বলিতে মানুষ বুঝায় ছাগও বলিতে তাই । আকাশ পাতাল সকলি মাহুষ তাছাড়া কিছু ত নাই ॥ স্বৰ্গ মাহুষ নরক মাতুয মানুষ পরম প্ৰভু। হচ্ছে মাষ্ট্য মর্চে মানুষ মানুষ নিত্য স্বত্ব t সে হেন মাগুম করি লও অাপন তুমি কে বুঝিব। তবে । কুকুর ঠাকুর বিচার বিধান সকলি চলিয়া যাবে ॥ মুঠ খুলি তুমি দেখিবে অপর কোন বাজিকর হতে । এক দুহ তিন উড়ি গেল স্থা আইল সেই চারি হাতে । ক হ'তে দশ অলস অবশ থাকেও দেখিবে নাই ।ী তুমি আমি সখা সব চলি যাবে থাকিব কেবল সেই ৷ সন্তাপ শশী যোগাবে তখন সুঘ্য হিমানী ধীর । উরগ অতুল স্বরগের সুধা মরু সে মানস নীর । ওঙ্কার রবে টলিবে বিশ্ব সেই সে শুনিবে কানে । পরম হরষে কত কথা কবে সেই সে তাহার সনে ॥ পাগলীর কথা মনে রাখ ভাই না ভাবিও তায় দুষ্ট। পাগলী তুমার পারাবার তরী কহয়ে পাগল কৃষ্ণ টু

  • ধৰ্ম্ম অর্থ কাম, ত্রিবর্গ—একদা আশ্রয় কর, চতুর্থ মোক্ষ চিন্তু কি ।

+ দশটি অক্ষদ্বারা যাবতীয় সংথ্য ব্যক্ত হয়, দশটি ইন্দ্রিয় ( পাচ স্থানেন্দ্রির, পাচ কমে প্রিয় ) দ্বার জগৎ উপলব্ধ হয় । কিন্তু জ্ঞাত থাকিলে ইন্সিয় বৃথা। এক পরম পুরুষ বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডে পরিব্যাপ্ত আছেন, তিনি স্বয়ংভু, তিনিই মানুষ । সেই পরমপুরুষ ভাবনা করিলে ধম অর্থ কাম উড়িয় যাইবে, মোক্ষ দিবে। তখন বতমাল ভেদ জ্ঞান থাকিবে না, সব এক ধর্ম দেখিবে । চণ্ডীদাস উক্তি । জানি আমি প্রিয় সখি আইলে কোন দেশ হতে যে দেশে নাহিক দ্বেষ হিংস জালাতন । স্বধ খাইয়া করে লোক দুধে আচমন । এদেশের রীতি ভাই মানুযে মানুষ খায় মাতুয় মারিতে জানে যে যত সন্ধান । এ জগতে সেই ভাই তত বুদ্ধিমন ॥ ভারত ভ্ৰমিয়া যা দেথিতু সখী মোহে না আমার মন । কালর হস্তে খর করবাল লালের সিংহাসন ॥ যদিও ধবল দেখিয়াছি কোথা পড়িআছে ঘাটে বাটে। একটিও নয় তুমার মতন আমার গুরু বা বটে। চুরির আসাম দোহে দোহাকার চুরির বমাল চোর। পুলিশ প্রহরী সালিশ নালিশ তুমি মোর আমি তোর । মুক্তিয়ার মম তুমি তোর আমি সফিনা দোহার দোহে। দেহে দোহাকার ফৌজ সদিয়াল কাজী কি কোটাল তাহে ॥১৯ শশা সgপ, সূর্য হিমানী, সংসার-ভুজঙ্গ স্বগের সুধ, মরু মানস-সরোবরের নীর সাগাইলে । কবি কুফ প্রসাদ ললিতেছেন, তোমার ‘পাগলী ম’ তোমাকে সংসার পার করাইবেন। শুষ্ঠভারতী চণ্ডীদাসের বিবেক। .৯ ) কুফু-সেন চণ্ডীদাসের উক্তি ফুলাইয় বাড়াইয়। সার-খুষ্ঠ করিয়াছেন, চণ্ডীদাসের মুখ দিয় তাহার প্রত্যক্ষ অনুভব ব্যক্ত করিয়াছেন, যে আকাঙ্কা চণ্ডীদাসের মনে জাগে নাই, অসাবধানে তাহ! আনিয়ছেন । বোধ হয় উদয়-cসন এত কথ লিখেন নাই। কৃষ্ণ-সেন রাজ বলাইনারণের প্রিয় সদস্ত হইয়। রাজ্যে সর্বেসর্ব হইয়াছিলেন । এই কারণে যুবরাজ দ্বিতীয় লছমীনারাণের বিধ-দুষ্টতে পড়িয়াছিলেন। তাইlর রাজাও হথে রাজ্যভোগ করিতে পান নাই। ‘কােলর হস্তে ধর কববাল লালের সিংহাসন । এটি দ্ব্যৰ্থ । প্রথম লছমীনারাণের তিন পুত্র, স্বরূপনারাণ, বলক্টিনারণি, কানাইনরাণ। স্বরূপ নিঃসস্তান অবস্থায় গত হইলে রাজসিংহাসন বলাইনারণের প্রাপ্য হইয়াছিল। কিন্তু কানাই নারাণ বলপূর্বক রাজী হইয়াছিলেন । পুঞ্চলিয়ার আদালতে, এবং বোধ হয় কলিকাত সুপ্রিম কোটে মকদ্দম কfরয় বলাইনরাণ হত রাজ্য উদ্ধার করেন, ঋণগ্রস্তও হইয় পড়েন । কিঞ্চিদধিক শত বধ পুবের কথ । তৎকালে সামন্ততুম মানভূম জেলার অস্তগত ছিল। কৃষ্ণসেন বলাই নারণের পক্ষে থাকিয় পুরুলিয় ও কলিকতা ছুটাছুটি করিয়াছিলেন। তাহার পুর্থীতে পুলিস, সফিন (আদালতে সমন), ও (পরে ) কোনগুলি, এই তিন ইংরেজী শব্দ আছে। সামন্তভূম তের ঘটে বিভক্ত ছিল । ঘাট, পুলিস আউটপোষ্ট । ঘাটোয়ালদের উপরে সদিয়াল ছিল। উভয়েই ভূমিধৃত্তি ভোগ করিত। সদিয়ালের অপর নাম দিগার (দিকৃপাল ) । স’ সদস্ গৃহ, স্থান ঘাটি। আল= ঘাটিআল ; সদি+অল -সদিআল, কৌটিলোর স্থানিক, বতমানের থানাদার ।