পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nやじ一8 প্রবাসী ృNరీgNరీ চুরি অপরাধে আমার বিচারে এই দণ্ড হইল তোর । রুদ্ধ রও তুমি যাবত জীবন হৃদি কারাগারে মোর ॥ আমা সহ তুম কহিত যে হেরি ফেল দোহা মাথা কাটি । আজ তুম সহ মোরে করি দরশন জুড়াবে নয়ন ছুটি ৷ তোর গুণে আমি অমর হইব মোর গুণে হইবে তুমি। ১১০/] রাধাকৃষ্ণ নাম রইবে যতদিন রবে চণ্ডীদাস রামী ॥ নিগুণ পিতা সগুণ জননী তিনিই প্রথম গণ্য । আদে অবোধ সস্তান কভু জানে না জননী ভিন্ন ॥ কত যত্ন করি চিনাইলে মাত। তবে যায় তারে চেন । মাতৃহীন পুত্রের কত যে দুৰ্গতি কার বা না আছে জান ॥ উদগীতার মুথে শুনি সাম গান মনুর শাসন মানি । আচারে বিচারে জীবনে মরণে সার মাত্র রজকিনী ॥ আত্মতুষ্টি আমার রাধাকৃষ্ণ নামে শুন সথা তোরে বলি । অর্থ পরমার্থ তত্ত্ব-নিরূপণ কামনা ব্রজের ধুলি । যোগী যতি মুনি সবারি লক্ষ্য চাহি না সে মোক্ষধাম । আমি আবার যাইব আবার আসিব গাইব হরির নাম ॥ পরের দুঃখ শুনিলে পরে কেহ বা আহার ছাড়ে । মরুক বাচুক খায় বা কেহ পরের আহার কাড়ে । এই মাতুষের মানুষ কত মরেও অমর তারা । এমন মাচুষ দেখছি কত বঁাচে থেকেও মরা ॥ এই মানুষের মাতৃষে কেহ যাচ্ছে পদে ঠেলি । কতেক লোকের সবাই মিলে খাচ্ছে পদধূলি । কেহ বহায় রক্তগঙ্গা পরের রাজ্যে চড়ে । কেহ পালায় নেংটি থিচে আপন রাজ্য ছেড়ে | স্বৰ্গ মানুষ নরক মানুষ মানুষ সকল ঘটে । নিত্য স্বভূ পরম প্ৰভু মানুষ সত্য বটে ॥ এমন মাষ্ট্রয় আপন করা আমার সাধ্য নয় । তুমি যদি কর রূপা তা হলে তা হয়।

  • | * | * ( ক্রমশ: )

పఙ তুলনায় ঐপারুল দেবী বৰ্ম্মার রেল-কোম্পানী মাসকতকের জন্য কুড়ি টাকা মাইনেতে কয়েক জন লোক নিচ্ছিল ; ভাগ্যক্রমে ভবতোষ সেই অস্থায়ী চাকরি একটি পেয়ে গেল । এ রকম চাকরি ভবতোষ অনেক বারই করেছে, অনেক বারই ছেড়েছে। কিন্তু এবার অনেক দিন রোজগার নেই, তার পরে মাস-ছয়েক হ’ল বিয়েও করেছে—কাজেই সংসার চালান দুষ্কর । বাল্যকাল তার বাংলা দেশেই কেটেছে। মা যত দিন বেঁচে ছিলেন, ভবতোষ কখন বাংলা দেশের বাইরে পা দেয় নি। মায়ের মৃত্যুর পর বন্ধনহীন ভবতোষ জাহাজের ফুলির কাজ নিয়ে রেঙ্গুনে ভাগ্যপরীক্ষা করতে এসেছিল। সেখানে অনেক কষ্টে তার বছরের পর বছর কেটেছে। তার পর বর্ষার চারি পাশে ইদানীং নূতন নূতন রেলওয়ে লাইন ধোলায় সেই সংক্রাস্ত ছোটখাট কাজ প্রায়ই তার ভাগে জুটে যাচ্ছিল—এই করেই তার দিন কেটে চলেছে। কিন্তু মাঝে মাঝে রেল-কোম্পানী অস্থায়ী লোক নেওয়া বন্ধ ক'রে দেয়, তখন ভবত্তোষের দিন কাটান দুরূহ হয়ে ওঠে; প্রতি মাসেই ধার করতে হয়। ইদানীং কয়েক মাস সেই ভাবেই চলছিল। ভবতোয ভাবে এই একটা কিছু কাজকৰ্ম্ম জোগাড় করতে পারলেই টাকা কয়টা শোধ ক'রে দেবে,—কিন্তু সেট কিছুতেই হয়ে উঠছিল না। এমন সময়ে এই চাকরিট বরাতে জুটে গেল। মাইনে ঐ কুড়ি-–ভবতোষ ঠিক করেছে মাসে দশ টাকা ক’রে দিতে পারলে ক-মাসের মধ্যেই ওর ধারটা শোধ হয়ে যাবে। যদি কিছু বাকী থাকে ত সে তখন• • •। পরের কথা ভবতোষ অত ভাবে না । কোন-না-কোন উপায়ে ঠিক হয়ে যাবেই। সে জানে ওসব অগতির গতি