পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՆգՏ প্রবণসী ゞN○8いこ একটু কাজে ছিলাম ; কেউ এলে-গেলে ওদিক থেকে টের পাওয়ার জো নেই...” “কাজ, রন্ধন ত ?” “পেটুকের জাত তোমরা শুধু ঐটেকেই চেন বটে, কিন্তু তা ভিন্ন আমাদের আর কাজ নেই নাকি ?” “অাচলের কোণে মসলার ছোপ লাগবে আর কোন কাজে ?” বধু লজ্জিতভাবে অাচলের দিকে চাহিয়া মুখ নীচু করিল ; এত সাবধান হওয়া সত্ত্বেও অপযশটুকু লাগিয়াই গেল।– আচ্ছা চোখ ত ! ননদ আসিয়া পাশ ঘোঁসিয় দাড়াইল । সঙ্গোপনে অ’াচলটা তুলিয়া ধরিয়া বপুর দিকে চাহিয়া ফি ফিস করিয়ু বলিল, “ইস, আমাদের ত চোখেই পড়ে না ! হাবুল বলিল, “ত হোক, তোমার বউ কিন্তু কাকীম ছেলেমেয়েগুলিকে বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখেছে।" কাকীম বলিলেন, "তা বলতে নেই বাপু, সেদিকে বেশ নজর আছে ।” স্বীয় প্রশংসায় একটু সঙ্কুচিত হইয়া বধু বলিল, “দাড়াও যশ কত ক্ষণ টেকে দেথ ।” ছোটদের মধ্যে মুকু একটু চাঞ্চল্য পড়িল,--তাহীদের প্রশংসা হইতেছে । জোটে না । এক জন নিজের পরিষ্কার জামাটির উপর হাত বুলাইয়| নৃতন করিয়া একটু ঝাড়িয়া লইল । দেখাদেখি পাশেরটিও তাঁহাই করিল এবং ক্রমে পদ্ধতিটা সংক্রামক হইয় উঠিল । একটি ছোট মেয়ের হাতে একটি ধুলিমলিন পেয়ার। লুকান ছিল । সেটি সে তাড়াতা৬ি ফেলিয়া দিল এবং দেহ ও পরিচ্ছদ দুইটিই পরিষ্কার রাখিবার উৎসাতে ফ্রকের মাঝবরাবর হাতটা বেশ ভাল করিয়া টানিয়া লইল । ইহাতে যখন সকলে হাসিয়া উঠিল মেয়েটি লজয় রাঙা হইয়ু উঠিয় বধুকে জড়াইয় তাহার ইট্রিদুটির মাঝখানে মুখটা গুজিয় দিল । “ছাড়, আমার কাপড়ও খাবি এই সঙ্গে” বলিয়া বধু মেয়েটিকে সরাইয়া দিবার চেষ্ট৷ কুতকার্য্য না-হওয়ায় দেবরের দিকে চাহিয়া বলিল, “দেখলে ত— সোজা এই ভূতপেত্নীদের সঙ্গে পরিষ্কার হয়ে থাকা ও-জিনিযটা তাহদের বরাতে সচরাচর করিয়া ঠাকুরপো ?—বলছ ত...” অতি পরিচ্ছন্নতাটা যে এ-বাড়ীর স্বাভাবিক অবস্থা নয় হাবুল সেটা বুঝিতে পারিয়াছিল এবং এটাও অাটিয়া লইয়াছিল যে তাহারই পরিচ্ছন্নতাবাতিকের জন্য পরিবারটি একটু সচেতন হইয়া উঠিয়াছে। মনে মনে একটু লজ্জিত হইয়া বলিল, “তা তোমার এত পরিষ্কার-বাই তা আমার জানা ছিল না বৌদি । দাদার ছোট মেয়ে বুঝি ওটি ?.এস ত আমার ম! তোমার মেমসাহেব, লেবে না ।" ভাজ ব্যস্তভাবে মান করা সত্ত্বেও মেয়েটিকে বুকে লঠল । ছেলেরা যেন শুস্তিত হইয়া গেল তাহার। জন্মে দেখে নাই ! কাকীমা বলিলেন, “ওরে ওর জুতোর ধুলোয় তোর জামাটা গেল হাবু, নামিয়ে দে। ওমা ! তোর সে অমল শুচিবাই গেল কোথায় ?” হাবুলের সমস্ত শরীরট। ঘিনপিন করিতেছিল, মরিয়া ইষ্টয় মেয়েটির পেয়ারা-চিবান মুখে একটা চুম্বন দিয়া বলিল, “সে-সব চিরকাল থাকবে নাকি কাকীমা ?--সে ছিল এবট রোগ, যথম ছিল তথম ছিল ।” বড় মেয়েটি একটু নিরাশ হইয় পড়িল, - হায়, তাহার পূজার পতিমার ভিতরে গড় ! কাছে, তুলিয়া অঘটন এত বড় ૨ হাপুল দিন-পাচেক কোন রকমে যথাসম্ভব আত্মগোপন করিল, তাহার পর নবাগমনের সঙ্কোচট কাটিয়া গেলে নিজমুৰ্বি ধারণ করিল। কলেজ হইতে আসিয়াছে। হাত মুখ ধুইয়া, মাঝে মাঝে নাক উচু করিয়া, শরীরে, কাপড়ে, কিংবা ঘরে কোথায় অতিসূক্ষ্ম ময়লা আছে ত'হাই উপলব্ধি করিতেছিল। খুড়তুত বোন শৈল--সেই স্কুলের ছাত্রী বড় মেয়েটি আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “চা আনিব দাদা ?" “তোর নখ দেখি ” শৈল হাত দুটি উপুড় করিয়া সামনে ধরিল । ঘটনাক্রমে নখ ছিল না, শৈল আজই ক্লাসে বসিয়া দাতে খুটিয়া শেষ করিয়াছে। হাবুল বলিল, “যাও ; জেনে রেখ নখের ময়লা বিষ ; পেটে গেলে---”