পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o மு” 蠍 ". Ն&(Ն সুর মাঝে মাঝে কানে জাসিতেছে। সামনাসামনি খানিকটা দূরে একটা দোতলা বাড়ীর খেল জানাল দিয়া দেয়া যায়—একটি মেয়ে মেঝেয় বসিয়া উবু হইয়া একান্ত মনে কি লিখিতেছে। চুলগুলা মুখের দুই পাশ ঢাকিয় ভূমিতে লুটাইতেছে। ডান দিকে একটা একতলা বাড়ীর চিলেকোঠার দেওয়ালে দুইটা পায়রার খোপ অাট ; ভিতরের পায়ূরাগুলা ব্যস্ত, থোপের উপরে দুইটা পায়রা গায়ে গায়ে সাটিয় চাপিয়া বসিয়া আছে । হাবুল মাঝে মাঝে এই দম্পতীটিকে দেখিতেছিল, মাঝে মাঝে মেয়েটির দিকে দেখিতেছিল ; লিপিনিরতাকে লইয়া সে কি ভাঙাগড়া করিতেছিল সে-ই জানে । সহসা দেখিল চিলেকোঠার পাশের ঘরটি হইতে বাহির হইয়া শৈল নীচে নামিয়া গেল । তাহার বড় কৌতুহল হইল,—শৈলী আবার ওখানে করে কি ?—খেলাঘরের বাই আছে নাকি ?– সে যে একট মস্ত নোংরামির ব্যাপার । কই, এত দিন ত জানিতে দেয় নাই,—বা রে শৈলী ! দেখিতে হয়।--হাবুল অগ্রসর হইয়া, দুইটা সিডি বাহিয়া ঘরটিতে প্রবেশ করিল ; ভিতরে গিয়া দাড়াইতেই তাহার চক্ষুস্থির ! যত দূর নোংরা হইতে হয় একটি মেয়ে মেঝেয় পা ছড়াইয় এবং বালিঝরা, নোনাধরা দেওয়ালে নিশ্চিন্তভাবে ঠেস দিয়া বসিয়া আছে। পাশে এক তাল কাদা ; হাতের জাঙলগুলা কাদা দিয়া কি একটা গড়িতে ব্যস্ত, তেলে দুইটা শুকনা কাদায় শাদা হইয় গেছে ; বঁ। গালে—কানের কাছটায় সেই রকম একটা বড় দাগ-বোধ হয় হাত দিয়া ঘাম মুছিয়া থাকিবে । আঁচল ভূমিতে বিছান, তাহার উপর কতকগুলা ব্লাংচিত্রের পাতা আর ছোট ছোট আগাছার ফল – তাহাদের নীল, বেগুনে রসে আঁচলটায় ছোপ ধরিয়া গেছে ; এক পাশে তেললঙ্কা মাথান, থেতো-করা খানিকটা কঁচি, আম । হাবুলের ছায়ায় ঘরটা একটু অন্ধকার হইতেই মেয়েটি মুখ তুলিল। সঙ্গে সঙ্গে যেন একেবারে কাঠ হইয়া গেল। হাবুল ফিরিয়া যাইতেছিল, ঘুরিয়া জিজ্ঞাসা করিল— “শৈল কোথায় ?” মেয়েটি উত্তর দিতে পারিল না, শুধু জিব দিয়া শুকন প্রবাসী ゞ8○ ঠোট দুটি একটু ভিজাইয়া লইল এবং অাচলট একটু টানিয়া লইল । হাবুল প্রশ্ন করিল, “তোমার নাম কি ?” চুপচাপ । মুখের সেই শাদা দাগটা ঘামে ভিজিয়া একটি তরল কাদার রেখা গালের মাঝামাঝি গড়াইয়ু আসিল । মুখখানা ফ্যাকাশে হইয়া গিয়াছিল, একটু একটু করিয়া রঙিয়া উঠিতে লাগিল । হাবুলের কৌতুক বোধ হইতেছিল, উত্তরের আশা না থাকিলেও প্রশ্ন করিল, “তুমি এত নোংরা কেন ?” ইহাতে মেয়েটি একটু গুটিমুটি মারিয়া গেল । বোধ হয় শৈলর সতর্কতার কথা মনে পড়িল,—এইবার বুঝি তাঙ্গ হস্থলে আলিসা ডিঙাইয়া ফেলিয়া দেয় । হাবুল ঠায় নতদৃষ্টি এই জড়ভরতের মত মেয়েটির দিকে চাহিয়া রহিল । কেন—বলা শক্ত, আরও বলা শক্ত এই জন্ম যে অমন দারুণ নোংরামির মাঝখানে দাড়াইয় তাহার মুখে কোন বিকারের চিহ্ন লক্ষিত হইল না। একটু পরে হঠাৎ যেন কি মনে হইল, আর দাড়াইল না। দুয়ার পর্য্যন্ত গিয়৷ আবার ফিরিয়! আসিল, বলিল, “হঁ্য, দেখ, আমি ধে এসেছিলাম, কিংবা তোমাদের খেলাঘরের কথা জানি একথা শৈলকে ব'লে না—বলবে না ত ?” মেয়েটি বলিল, “ন ।” উত্তর পাইয়৷ হাবুল আর একটু দাড়াইল । জিজ্ঞাসা করিল, “পুতুল থেলছিলে বুঝি ?” কোন উত্তর হইল না । “শৈলর সঙ্গে পড় বুঝি ?” উত্তর নাই । এদিকে মনের মধ্যে কি রকম একটা গোলযোগ স্বষ্টি হওয়ায় প্রশ্নও জোগাইতেছিল না । যাইবার জন্য ফিরিয়া আবার ঘুরিয়া দাড়াইয়া বলিল, “তুমি রোজ এস, আসবে ত ?” মেয়েটি সাহস করিয়া ঘাড় পর্য্যস্ত নাড়িল না । বোধ হয় বুঝিতে পারিয়াই হাবুল বলিল, “আমি কিছু বলব না--- আসবে ত ?” মেয়েটি ঘাড় নাড়িল । এমন সময় সিড়ির নীচের ধাপে পায়ের শব্দ হইল। হাবুল তাড়াতাড়ি বাহির হইয়া গেল । তাহার পর দিন হাবুল জানালাটি অল্প খুলিয়৷ সিঁড়ির দিকে উৎকণ্ঠিত ভাবে চাহিয়া রহিল এবং শৈল এক সময়