পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՆՊ8 প্রবাসী ్సNరి8చి বহিরঙ্গ সনে নাম-সঙ্কীৰ্ত্তন । আওরঙ্গ সনে রস-অম্বিাদন | “অন্তরঙ্গ সনে রস-আস্বাদন”—অর্থাৎ রসকীৰ্ত্তনে গায়ান, বায়ান ও শ্রোতৃমণ্ডলী—সকলকেই সংযত ও শ্রদ্ধাম্বিত হইতে হয়, সমস্ত আসরটাই যেন একটা ভজন-স্থলী, এইরূপ ভাবে অনুপ্রাণিত হইতে হয়। শুদ্ধ বৈষ্ণব ও অনুরাগী ভক্তের নিকট “কীৰ্ত্তন” সত্য সত্যই এক শ্রেষ্ঠ ভজনাঙ্গ এবং উত্তম আধাত্মিক খোরাক । ভজনমার্গের শাস্ত-দাস্ত-সখ্য-বাৎসল্য-মধুর—এই পঞ্চ রসের মধ্যে সখ্য, বাৎসল্য, মধুর—এই তিনটি হইল ব্রজের মুখারস এবং এই তিনকে আশ্রয় করিয়াই ‘কীৰ্ত্তন” হয় । কিন্তু, শ্রচৈতন্য-প্রবর্তিত কৃষ্ণ-ভজনের প্রাণ হইল ‘মধুর’রসাশুিত লীলা । ইহা “রাধার প্রেম সাধ্য-শিরোমণি'—এই তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই প্রেম-সাধনার এক অপূৰ্ব্ব পরিপোষক কৌশল হইল ‘কীৰ্ত্তন” । প্রসঙ্গত, একটা কথা উল্লেখযোগ্য । শ্রীচৈতন্যের এই যে নবধৰ্ম্ম- ইহাই শ্রীমদ্ভাগবতোক্ত “পরোধৰ্ম্ম:,” “পরমোধৰ্ম্ম:," *াহাকে বৈষ্ণব মহাজনেরা বলিয়াছেন “নব বৃন্দাবন', যথা, চণ্ডীদাস :– মব বুন বন নব নাম হয় সকলই আনন্দময় নব বৃণ বলে ঈশ্বরে মানুষে মিলিত হইয় রয় ॥ শ্রীচৈতন্যচরিতামুতে ইহারই ভাসাস্তর আছে। তাত এহ রূপ :– কুষ্ণের যতেক থেলী મt RI નામ બફૌજી সর-বপু তাই।র স্বরূপ । છાત્ર સન (રસૂદના નવ-દેવ ના નાંના নর-লীলার হয় অনুরূপ । বৃন্দাবনের এই “অপরিকল্পিতপূৰ্ব্ব:” “চমৎকারকারী” লীলার মধ্য-মণি হইলেন শ্রীরাধা এবং “রাধার প্রেম” হইল “সাধা-শিরোমণি”। এই প্রেমই হইল জীবের ‘পরম পুরুষাৰ্থ, যাহার নামান্তর পঞ্চমপুরুষাৰ্থ বা পুরুষাৰ্থশিরোমণি' ( চৈতন্যচরিতামৃত ) ৷ এই প্রেমই হইল জগতের অজ্ঞাতপূৰ্ব্ব এক অভিনব সাধনা। এই সাধনার সঙ্কেত-গুরু হইলেন বিদ্যানগরের অধিকারী ( রাজা ) শ্ৰীল রায় রামানন্দ এবং ইহা প্রথম প্রকটিত হইয়াছিল গোদাবরী-তটের নিবিড় { নিতৃত নিশীথ বিশ্রম্ভালপে (চৈ চ: মধ্য । ৮ম ) । 漫 শ্রীচৈতন্য নিজে হইলেন এই প্রেম-মন্ত্রের প্রকট মূৰ্ত্তি— দিব্য আদর্শ—জলস্ত উদাহরণ। যথা, শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে :– i রাধিকার ভাবে প্রভুর সদ অভিমান । . সেই ভাবে আপনাকে হয় রাধ জ্ঞান ॥— অস্ত্য ॥১৪।১৪ : রাধিকার ভাব মূৰ্ত্তি প্রভুর অন্তর। - সেই ভাবে সুখ দুঃখ উঠে নিরস্তর ॥--অাদি ৪।১৭৬ রাধিকার ভাব যৈছে উন্ধব দর্শনে । সেই ভাবে মত্ত প্ৰভু রহে রাত্রি দিনে ॥-আদি ৷৪ a এই যে “রাধা ভাব-মুবলিত” দিব্য চিত্র—এই যে মহা । ভাবময়ী মূৰ্ত্তি—ইহাই হইলেন কীৰ্ত্তনের “শ্রগৌরচন্দ্র” যাহার নামা স্তর হইল কীৰ্ত্তনের "গৌরচন্দ্রিকা”। 'বৃন্দাবন-কেলিবাৰ্ত্ত লুপ্ত হইয়াছিল --রাধার প্রেম-মহিম। জগৎ ভুলিয়া গিয়াছিল । শ্রীরায় রামানন্দ দিলেন হঙ্গিত ও সঙ্কেত, শ্রীচৈতন্য করিলেন জীবস্ত সাধন । রাধার প্রেম আবার প্রকট হইল শ্রীচৈতন্যের ভিতর দিয়া, জগত রাধাকে জানিল শ্রীচৈতন্তের ভিতর দিয়া এবং রাধাকে জানিয়া কৃষ্ণকে জানিল । ইহার জন্তত শ্রীচৈতন্যের “শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্য” নাম সার্থক ও অশ্বথ श्व् ! १५, 5fद्रउीभूट : শেধ লীলায় পাম ধরে শ্রীপু সু চৈতষ্ট । কুধ্ব জানাইয় বিশ্ব কৈল ধষ্ঠ । - ইহারই নাম (যেমন শ্রীক্লপগোস্বামী বলিয়াছেন) শ্রীচৈতন্তের “অনপিতচরী" অর্থাৎ জগতে অজ্ঞাত পূৰ্ব্ব সাধনা। ইহার অর্ণ এই--শ্রীচৈতন্য যেন শ্রীরাধার প্রেমভাণ্ডারের চাবি হাতে করিয়া দাড়াইয়া আছেন ; তিনি উদঘাটিত করিয়া, প্রকটিত করিয়া, দিলেই লোকে পাইবে ;--যেন রাধা-ভাবের উজ্জল আলেখ্য বা আদর্শ, যেন কৃষ্ণলীলার জীবন্ত ব্যাখ্য' । প্রকৃতহ, শ্রীচৈতন্য না হইলে কে বা রাধাকে চিনিত— রাধার প্ৰেম-মহিমা জানিত বা বুঝিত-কে-ই বা জানিতে বা বুঝিতে প্রলুব্ধ হহত ! বৈষ্ণব মহাজনের আস্বাধন ও অনুভব এইরূপ :--- যদি গৌরাঙ্গ ন হইত। রাধার মহিম! প্রেময়স সীম! জগতে জলাত কে ।