পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: ՆՊՆ প্রবাসী SNご8ー、 ‘কীৰ্ত্তন'—শুধু গান, কালোয়াতি কসরৎ নহে। ইহা নিষ্ঠ ও শ্রদ্ধাপূর্ণ অনুশীলন, বিশেষত: ভগবৎকৃপাসাপেক্ষ । ইহ এক তপস্তা। সকলে ইহার অধিকারী হয় না। ব্রজভজনের পথে, বিশেষত, কীৰ্ত্তন বিষয়ে, মূল তত্ত্ব হইল (১) শীগৌরচন্দ্র, (২) কৃষ্ণ, (৩) রাধ, (৪) সখী, (৫) বংশী। এই পঞ্চতত্ব ঠিক্ ঠক্‌ ভাবে যেখানে, সেইখানেই বৃন্দাবন। বৃন্দাবন অর্থ—“বৃন্দা" অর্থাৎ হলাদিনী বৃত্তির “অবন" অর্থাৎ সম্যক পরিপোষণ ও মূর্তি যেখানে । অতি সহজ, সুন্দর, অথচ নিৰ্ম্মল তত্ত্ব । পেশাদার কীৰ্ত্তনীয়াগণের মধ্যে এমন লোকও আছেন যাহার এই পঞ্চতত্ত্ব সম্বন্ধে অভিজ্ঞ । কিন্তু বিপদ আসিয়াছে অন্য দিক হইতে । শিক্ষিত সমাজে কেহ কেহ, এমন কি সস্ত্রাস্ত ঘরের মহিলারা পয্যন্ত, প্রকাশু কীৰ্ত্তন-আসরে নামিয়াছেন । যে শ্রদ্ধ, সন্ত্রম ও সাধনা থাকিলে প্রকৃত কীৰ্ত্তনাধিকার জন্মে, 한 F তাহা তাহদের সকলের নাই ; অথচ, স্থর-তাল সঙ্গতের জোরে “কীৰ্ত্তনে'র একটা বিকুতি বাজারে চলিবার উপক্রম হইয়াছে । কীৰ্ত্তনচ্ছলে--রাধাকৃষ্ণের প্রেমের নামে—এমন কি, প্রেমাবতার সোনার গৌরাঙ্গের নামে—কি কুৎসিত বিষয় ও ভাব সমাজে চলিতেছে, তাহার কিঞ্চিৎ আভাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত একখানি গ্রন্থ হইতে বুঝা যায়। 被杀 碌 碌 碌 [ ইহার পর লেখক মহাশয় “শ্ৰীপদামুতমাধুরী” নামক একখানি গ্রন্থ হইতে বহু দৃষ্টাস্ত উদ্ধৃত করিয়াছেন। আমরা তৎসমুদয় মুদ্রিত করা উচিত মনে করিলাম না। যাহারা এই সমুদয় বৈষ্ণব কবিতা আধ্যাত্মিক অর্থে বুঝেন, তাহাদের তাহ পাঠে কোন অনিষ্ট না হঠতে পারে । কিন্তু আমাদের বিবেচনায় উল্লিখিত গ্রন্থখানি বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের উপযোগী নহে ।— প্রবাসীর সম্পাদক । ] আগমনী শ্রীঅশোক চট্টোপাধ্যায় তুমি এসেছিলে যবে, রজনীর ঘন অন্ধকার ক্ষণিকের তরে বুঝি ক্ষণপ্রভা ম্পর্শেতে উজ্জল হইল সে শুভলগ্নে, তুমি যবে এসেছিলে সখি, রজনীর অন্ধকারে উদ্ভাসিয়া আকুল আবেগে । প্রথম কাকলি তব মিশেছিল পার্থীদের গানে, প্রথম ক্রমনটুকু—নীলাকাশে শুভ্ৰ মেঘচ্ছায়া ; শৈশবের আশ্রঞ্জল পবিত্র সে শিশিরের মত জন্ম নহে তার কভু হৃদয়ের ঘন কালে মেধে । দুইটি কথার স্বরে পরাজিত শত তানলয়, আড়ষ্ট গতির লীলা, নটীদের সহস্ৰ ইঙ্গিত পারে না দেখাতে তার অপরূপ সৌন্দৰ্য্য-কৌশল ; স্রোতস্বিনী-কোলে যেন দুলে ওঠে চন্দ্ৰমার ছায়া । রেশমী চুলের রাশি মুকু যুদ্ধ উঠিত কঁাপিয়া, বসস্ত-পবন যেন মেতে ওঠে স্নিগ্ধ ঝাউ-বনে ; সরসীর কালো জলে ঝুকে-পড়া তরুশাখা সম পেলব কোমল ঘন দীর্ঘ ছিল নয়ন-পল্লব । তাসির হিল্লোলে অঙ্গ মেতে কতু উঠিত চঞ্চল, আকারণ ক্রনীনের তরঙ্গ-বিক্ষুব্ধ বক্ষ কতৃ— অনাগত যৌবনের অনুভূতি দিত কতু দেখ, লজ, স্নেহ, অভিমান বেদনার স্নিগ্ধ অভিনয়ে । কেহ বুঝিল না কবে বিস্মরিয়া তরুণ উষার কুষ্টিত কোমল রশ্মি প্রথরিল সে যৌবন-রবি উজ্জল আকাশবক্ষে, পরাজিত তারক চক্রম বিশ্বশরিত বিশ্বঅণথি হেরি প্রভ আৰ্দ্ধনিমৗলিত । শুখাইল কত ফুল, কত তরু বিদীর্ণ অস্তরে, সবুজ প্রাস্তর কত মরুসম হ’ল একেবারে , শুধু এই এতটুকু মালঞ্চ সে লভিল আশ্রয়— নয়নপল্লবছায়ে তাই তাহে আজও ফোটে ফুল । আবার সন্ধ্যায় কবে ঘনায়িত আধ-অন্ধকারে মরুবক্ষে লক্ষ ফুল ফুটিবে কি নবীন আবেগে ! শুষ্ক তরুশাথে পুনঃ দেখা দিবে নূতন পল্লব, এ-মালঞ্চে ফুল আর ফুটিবে না সে অন্তিম কালে ।