বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭১২ যায় ; তিনি দর্শনশাস্ত্র প্রকৃত ছয় সপ্তাহকাল মাত্র পাঠ করিয়াই জড়বাঁদের পক্ষে মত দেন। এত মল্প সময়ের মধ্যে দর্শনের ন্যায় এক দুরূহ শাস্ত্র বুঝা ও তাহার বিচার করা যদি অসম্ভব বলা হয় তাহ হইলে বোধ হয় কিছুই অত্যুক্তি হয় না, এবং এরূপ মতের মূল্যও কতটুকু তাহা বুঝিতে বেশী কষ্ট পাইতে হয় না । অধিকন্তু এক জন সমালোচক এ-বিষয়ে বলিয়াছেন যে, লেনিনের দর্শনে অনুরাগ মানবের শক্রতে interested হইবারই অনুরূপ। অর্থাৎ তিনি দার্শনিক পুস্তকগুলি পড়িয়াছিলেন বা তাহাতে চোখ বুলাইয়াছিলেন মা , বাস্তবিক তাহা বুঝিবার বা বিচার করিবার জন্য মহে, পরস্তু নিজের মতের সমর্থন লাভ করিবার জন্তই । ইহাদের মতটি যদি গভীর ও স্বযুক্তিপূর্ণ হইত তাহা হইলে তাহা গায়ের জোরে প্রচার করিবার, অন্য সকল বিরুদ্ধ মতকে কেবল অযৌক্তিক ও ভ্রাস্ত বলিয়: ভৎসনা করিয়া উড়াইয়া দিবার, ও সৰ্ব্বোপরি ইহা জোর করিয়া লোকের উপর আরোপ করিবার যৌক্তিকত থাকিত ন। কমু্যনিষ্টর এক্ষণে রাশিয়ায় যাহা করিতেছেন তাহা কেবল শক্তিলাভ করাতে গায়ের জোরে নিজেদের মত জনসাধারণের উপর চাপাইতেছেন । ইহা স্বেচ্ছাচারিতাই ; লোককে বুঝাইবার চেষ্টা নহে । ইহাদের এই স্বেচ্ছাচারিতা প্রবাসী SNージ3へ○ বা ব্যভিচার নানা ক্ষেত্রেই মূৰ্ত্ত হইয়া উঠিয়াছে । ইহাস মায়ুষকে দেখেন যন্ত্রের অংশবিশেষরূপে । তাহার কোমঞ্চ স্বাধীন ঠচ্ছ নাই ; বা এই মন্ত্রের অংশস্বরূপ হইয়া ধনোৎপাদ, ভিন্ন তাহার জীবনের অপর কোনও উদ্দেশু বা মূল্য না । মানুষ যদি ইচ্ছাশূন্ত ও আত্মবিহীন এক যন্ত্রবিশেষই হয় তপ্ত, হইলে আবার তাহার মুখস্বচ্ছাদের জন্য এরুপ সমাঞ্জক্তত্ব ব্যবস্থা কেন, আর ইহার ধৌক্তিকতাই বা কোথায় ? ষ্টষ্ট? মানুষকে নিজের স্বাধীন ইচ্ছ, ধৰ্ম্ম প্রভূতি তুলিতে শিক্ষা দে, , কেন-মা তাহা হইলে তাহদের নিরঙ্কুশ প্রভৃত্বে জনসাধারণের চলিবার পথ বাধাহীন হয় ! ভাগ হইলে এই কথাই বুঝি: হয় যে স্বাধীন ইচ্ছ: ব বুদ্ধি কেবল এণ্ড ডিক্টটরদেং যাহা উক, ষ্টতাদের এত আছে আর কাহার ও নাই ! SS0BSS BBB BBBBBS BB BBB BB BBBS BBB ব্যাপারের দ্বারাই ; তাছা হইতেছে, উতাব’ ধৰ্ম্ম প্রভৃতি ভুলিয়। মাতুয়কে যে যত্নস্বরূপ করিতে চেষ্ট কবিয়াছেন তাহা । কি কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন । কথিত হইয়াছে, বলশেভিকদের BBBB BB BB BBBB SYS BBB BBB B BBBS SS দূরের কথ, বরং আরও প্রবল হ’ল উঠিয়াছে । বাস্তবিক মানুষের যে সম্ভব ? এইখানেষ্ট ত সকল জ ডবাদের খণ্ডল হইয়া যায় মঠুষ্যত্ব আধাত্মিকতায়, তাহ! কি উ৬:. অলখ-বোরা খ্রশাস্তা দেবী ( t ) স্বরধুনীর বয়স পয়ত্রিশ-চত্রিশ হইয়াছে, কিন্তু ভিতর ও বাহিরের আচরণে র্তাহার বয়স সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা । কুড়ি বৎসর বয়সেই দুইটি শিশুপুত্র কোলে লইয়া তিনি স্বামীকে হারাষ্টয়াছেন, তখন হইতে আজ পৰ্য্যস্ত এই মুদীর্ঘ পঞ্চদশ বৎসব প্রাচীন গৃহিণীর মত পিতৃসংসারের সারথি হইয়া কঠিন হস্তে রশ্মি টানিয়া আছেন । পিছনে কত নাট্যের পর নাট্য ঘটিয়া চলিয়াছে, কত শিশু যৌবনের বিচিত্র মুথদুঃথ আশা-নিরাশার থেলায় দেহুমম সপিয়া দিয়াছে, কত ধেীবনের জয়গাম থামিয়া গিয়া বাৰ্দ্ধক্যের হুতাশা ও অতৃপ্তি মায় শেষ দিনের প্রতীক্ষায় চাহিয়া আছে, স্বরধুনী সেদিকে পিছন ফিরিয়। কখনও তাকান নাই, কথনও তাহদের সেঃ জীবন-নাট্যলীলায় আপনাকে জড়াইয়া ফেলিতে চাহেন মাহ ; তিনি সম্মুখের দিকে চাহিয়া কেবল এই রথচক্রের গতি নিয়স্থিত করিয়াছেন । সেখানে তিনি যেন অৰ্দ্ধ শতাব্দীর অভিজ্ঞতা লইয়াই জীবন আরম্ভ করিয়াছেন, তেমনই ভাবেঃ চলিয়া আসিতেছেন । কিন্তু আর এক জায়গায় তাহার সেই প্রথম যৌবনের