পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র তরাং মামুষের বুদ্ধিবৃত্তি তাহার জড় অস্তিত্বের উপরই কমাত্র স্থিতিশীল, এবং সামাজিক ব্যবস্থা ইহার অর্থনৈতিক fাপারের দ্বারাই নিৰ্দ্ধারিত। বলশেভিক মতে “সমাজ” র্থে ব্যক্তিবর্গের এক যান্ত্রিক সমষ্টিই বুঝিতে হইবে, যাহার উদ্দেশু সম্পদ উৎপাদন করা । সমাজের সকল রূপই এই অর্থ নৈতিক ভিত্তির উপর সৌধস্বরূপ। সামাজিক, ।াজনৈতিক, দার্শনিক, অর্থনৈতিক প্রভৃতি সকল ব্যাপারই কাৰ্য্য-কারণের এক অনতিক্রমণীয় নিয়মে আবদ্ধ। এই তটি মার্কসের নিকট হইতে গৃহীত। মার্কসের মতে সম্পদউৎপাদনের উপায়টিই প্রধানত: মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তির ব্যাপারের নিৰ্দ্ধায়ী কারণ । মাহুধের চেতনা তাহার অস্তিত্বের নিদ্ধায়ী কারণ নহে, পরস্তু তাহার সামাজিক অস্তিত্বই তাহার চেতনার নিৰ্দ্ধায়ী কারণ । মানবের ধৰ্ম্ম ও নীতির ভাবটিও এই অর্থনৈতিক ভিত্ত্বির উপর সৌধস্বরূপ । আমরা দেখিয়াছি যে বলশেভিকদের এই জড়বাদ বিরোধমূলক (dialectical ) ৷ জগতে যাহা-কিছু পরিবর্তন বা ক্রমবিকাশ ঘটিতেছে তাহ দুই বিরোধী ভাবের রূপ পরিবর্তনের দ্বারাষ্ট্র সম্ভব হয় বা ঘটে। এই দুইটি বিরোধী ভাব একই বস্তুর মধ্যে নিবদ্ধ, এবং এই বস্তুর বিভাগ হইতেই তাহার উৎপত্তি হয় । ইহা দর্শন, বিজ্ঞান প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রেই দৃষ্ট সমাজব্যবস্থায় এই বিরোধ দল-বিরোধে नूठे श्ध्र । ७श्रे বিরোধমূলক জড়বাদ যদি বিজ্ঞানসম্মত হয় তাহা হইলে জড়বিজ্ঞানে নিশ্চয়ই ইহার সমর্থন পাওয়া যাইবে ; সেই জন্ত লেলিন নব্য পদার্থবিজ্ঞানে তাহার উপরিউক্ত দার্শনিক মতের সমর্থন লাভের চেষ্টা করেন । তাহার মতে এক্ষণে পদার্থবিজ্ঞানে যে পরিবর্তন আরম্ভ হইয়াছে তাহাতে বিরোধমূলক সুড়বাদেরই স্মৃষ্টি হইবে । অবহু লেনিন বিশেষ ভাবে অবগত ছিলেন যে আইনষ্টাইন প্রভৃতির দ্বারা পদার্থবিজ্ঞানে যে আধ্যাত্মিক বা দার্শনিক ভাব আনীত হইয়াছে তাহা তাহার মতের পরিপন্থী, কিন্তু তিনি ইহাকে এই বলিয়া উড়াইয়া দেন যে ইহা ভ্রান্ত ৪ অবৈজ্ঞানিক । ইহার ডায়েলেকটিকের বিষয় অজ্ঞ বলিয়া এইরূপ ভ্রান্ত হইয়াছেন । এইরূপ ভ্রান্ত বলিয়া লেনিন যে-সকল বৈজ্ঞানিক মতে এইরূপ ہ لاَ سس-سریفbr を変 l ( class-war ) ੋਜਿਤੇ বা বলশেভিক দর্শন-তত্ত্ব $ আধ্যাত্মিকতার গন্ধ আছে তাহার বিরুদ্ধে ঘোর যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এই জন্য রাশিয়াতে সকল প্রকার বৈজ্ঞানিক গবেষণা করায়ত্ত রাখিতে ও এইরূপ আধ্যাত্মিক সিদ্ধাস্ত হইতে বিজ্ঞানকে মুক্ত রাখিবার জন্য বিপ্লবের নামে অধিকার দাবী করা হয়। ইহা বিশেষ ভাবে আবশ্বক হয় এই কারণে ষে তাহারা ধৰ্ম্মকে জড়বিজ্ঞানের দ্বারা দূরীভূত করিতে চাহিতেছিলেন, সুতরাং এই প্রকার বিজ্ঞানের দ্বারা যাহাতে কোনরূপ ধৰ্ম্ম বা ঈশ্বরের ডাব জাগ্রত হইতে ন-পারে সে-বিষয়ে দৃষ্টি রাখার আবশ্যক হয় । উপরে সংক্ষেপে ও মোটামুটিভাবে কমুনিষ্ট বা বলশেভিক দর্শনতত্ত্বের বিষয় বলা হইল। এক্ষণে ইহার সমালোচনাকল্পে দুই-চারিটি কথা বলা আবশ্যক । উপরে সংক্ষেপে কমুনিষ্ট দৰ্শনতত্ত্বের যে বিবরণ দেওয়া হইয়াছে তাহা হইতে দেখা যাইবে যে, ইহা এক নিছক জড়বাদ, যদিও এই জড়বাদের বৈশিষ্ট্য আছে । সেই জন্ত ইহার নাম দেওয়া হইয়াছে যাহা হউক, বহুকাল প্রচলিত ইউরোপীয় জড়বাদের ন্যায় ইহার ভিত্তিটিও দুৰ্ব্বল । অধ্যাত্মবাদ ও জুডুবাদের বিরোধ ইউরোপীয় দর্শনের ইতিহাসে বহু প্রাচীন । এই দুই মত পরস্পরবিরোধী। অধ্যাত্মবাদ বলেন আত্মাই একমাত্র সত্ত, জড় ইহার বিকাশ মাত্র ; আর জড়বাদের মতে জড়ই প্রধান সত্তা, আত্মা বা প্রাণ ইহা হইতেই উদ্ভূত, কাজেই ইহ জড়রূপী। এই মতবাদের বিস্তৃত আলোচনায় প্রবেশ না করিয়ু অধ্যযুবাদের পক্ষে যে প্রধান যুক্তিটি আছে তাহা নিরাস করা যায় না । সেটি হইতেছে এই যে, যদি কেহ বলেন যে জড়ষ্ট মূল সত্ত, আত্ম বা প্রাণ গৌণ সভ মাত্র ; তাহ হইলে এই উক্তিটি করে কে, না আত্মাই । কাজেই আত্মাকে কখনও গৌণ বলা যায় না, পরস্তু আত্মাহ মুথ্য ব, সকলের আদি । এই যুক্তিটির দ্বার জড়বাদের মেরুদণ্ড ভাঙিয়া যায় । মার্কস্ ও লেনিন যাহদিগকে কমুনিষ্ট জড়বাদের প্রবর্তৃক বলিয় মান হয় তাহার ইউরোপীয় দর্শনের ইতিহাসে বড় দার্শনিক বলিয়া স্থান পান নাই ; কাজেই ইহার জডবদের যে নূতন রূপ দিয়াছেন তাহা কত দূর গ্রহণযোগ্য তাহ পাঠকবর্গই বিবেচনা করিবেন। iমরা দেখিয়াছি যে লেনিনের মধ্যস্থতায় অধ্যাত্মবাদী বলশেভিকদের ও জড়বাদী মেনশেভিকদের বিরোধ মিটিয়া dialectical materialism