বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵաՅԵ প্রবাসী >い○8N○ গোবিন্দপ্রসাদের দাবীর জবাবে যাহা বলিয়াছিলেন তাহা যে অক্ষরে অক্ষরে সত্য, অর্থাৎ এই মোকদ্দমার সম্বন্ধে রামমাহন রায়ের নিজের যে কোন দোষ ছিল না, এই সিদ্ধান্তের অনুকূলে মোকদ্দমার নর্থীর বহির্ভূত স্বতন্ত্র প্রমাণও বর্তমান আছে। এই প্রস্তাবে আমরা সেই প্রমাণের উল্লেখ করিয়া রামমোহন রায়ের সহজ সত্যনিষ্ঠার পরিচয় দিব । ১৭৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সম্পাদিত দান এবং বণ্টন পত্র অনুসারে রামকান্ত রায়— জ্যেষ্ঠ পুত্র জগমোহনকে দিয়াছিলেন লাঙ্গুড়পাড়ার বসত বাড়ীর অৰ্দ্ধাংশ, মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত হরিরামপুর তালুক এবং আরও জমীজমা । মধ্যম পুত্র, জগমোহনের সহোদর, রামমোহনকে দিয়াছিলেন লাঙ্গুড়পাড়ার বাড়ীর অৰ্দ্ধাংশ, কলিকাতার জোড়াসাঁকোর একথানি বাড়ী এবং জমীজম । কনিষ্ঠ পুত্র (কনিষ্ঠ পত্নী রামমণি দেবীর পুত্র) রামলোচন রায়কে দিয়াছিলেন রঘুনাথপুরের পৈত্রিক বাড়ীর নিজ অংশ এবং জমীজমা । রামকান্ত রায় নিজে রাথিয়াছিলেন বৰ্দ্ধমানের বাসবাড়ী, কিছু ব্রহ্মোত্তর জমী, বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত থাসমহাল ভুরসুট পরগণার ইজারা সত্ত্ব, এবং বৰ্দ্ধমানরাজের জমীদারীর দুইটি পরগণার ইজারা সত্ত্ব। বাটোয়ারার অল্প দিন পরেই রামলোচন রায় তাহার মাতার সহিত রাধানগরের বাড়ীর নিজ অংশে গিয়া বাস করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন । গোবিন্দপ্রসাদ রায়ের আর্জির মূল কথা, রামলোচন লাঙ্গুড়পাড়ার বাড়ী ত্যাগ করিবার পর রামকান্ত রায় এবং তাহার অপর দুই পুত্র, জগমোহন এবং রামমোহন, এই তিন জন মিলিত হইয়া বাটোয়ার রদ করিয়া পুনরায় আপনাদের বিভক্ত সম্পত্তি একত্রিত করিয়াছিলেন। স্বতরাং রামকান্ত রায়ের জীবদ্দশায় রামমোহন রায়ের নিজ নামে যে-সম্পত্তি খরিদ করা হইয়াছিল তাহা প্রকৃত প্রস্তাবে বিনামীতে খরিদকরা রামকান্ত রায়, জগমোহন রায়, রামমোহন রায় এই তিন জনের এজমালী সম্পত্তি। রামকান্ত রায়ের মৃত্যুর পরও জগমোহন রায়ের এবং রামমোহন রায়ের সম্পত্তি বিভক্ত হইয়াছিল না, একত্র ছিল । তখন একক রামমোহন রায়ের নামে যে সম্পত্তি খরিদ করা হইয়াছে তাহ প্রকৃত প্রস্তাবে দুই ভাইয়ের সম্পত্তি। সুতরাং গোবিন্দপ্রসাদ রায় সুপ্রিম কোটের নিকট প্রার্থনা করিয়াছেন যে, রামমোহন রায়ের নিজ নামে এবং দখলে স্থাবর অস্থাবর যত কিছু সম্পত্তি আছে তাহাকে তাহার অৰ্দ্ধাংশ ভাগ করিয়া দিতে আজ্ঞ হয় । এই আজ্জির জবাবে রামমোহন রায় লিখিয়াছেন, কৃষ্ণনগরের কাজির আফিসে রেজেষ্টারীকৃত বণ্টন পত্রের দ্বারা রামকান্ত রায় তাহার অধিকাংশ স্থাবর সম্পত্তি তিন পুত্রের মধ্যে ভাগ করিয়া দিয়াছিলেন। এই বণ্টন পত্র কখনও তিনি রদ করেন নাই ; তাহার এবং তাহার দুই পুত্র, জগমোহন এবং রামমোহন, এই তিন জনের সম্পত্তি কখনও পুনরায় একত্রিত করা হয় নাই ; রামকান্ত রায়ের মৃত্যুর পর এই দুই ভাইয়ের সম্পত্তি বরাবরই পৃথক ছিল। রামমোহন রায় বাটোয়ারার পর স্বনামে এবং বিনামে যখন যে সকল সম্পত্তি খরিদ করিয়াছেন তাহা তাহার স্বোপার্জিত অর্থে খরিদকরা স্বীয় স্বতন্ত্র সম্পত্তি । রেভিনিউ বোর্ডের কাগজপত্র রামমোহন রায়ের এই উক্তি সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে । রামকান্ত রায়ের ইজারা খাসমহাল, বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত ভুরসুট পরগণার, এবং জগমোহন রায়ের নিজ অংশের মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত হরিরামপুর তালুকের, সম্বন্ধে রেভিনিউ বোর্ডে অনেক কাগজপত্র আছে। এই সকল কাগজপত্রে দেখা যায় ভুরস্কটের ইজারা স্বত্ব রামকাস্ত রায়ের নিজস্ব ছিল এবং হরিরামপুর তালুক জগমোহন রায়ের নিজস্ব ছিল । এই দুষ্ট তালুকের বাকী সদর জমার জন্য রামকাস্ত রায় এবং জগমোহন রায় উভয়ে যথাক্রমে দেওয়ানী জেলে আবদ্ধ হইয়াছিলেন, এবং বাকী শোধের জন্য স্বতন্ত্র ভাবে কিস্তিবন্দী করিয়াছিলেন । ১১৯৬ সনে (১৭৮৯-৯০ সালে ) ভুরসুট পরগণ ১১৯৩৮৯৮৬৫ এক লক্ষ উনিশ

  • ডাক্তার যতীন্দ্রকুমার মজুমদার আমাকে বোর্ডের অনেক কাগজের নকল দিয়াছেন এবং আমি নিজেও এই সকল কাগজ দেখিতেছি। বাংলা গবর্ণমেণ্টের রেকর্ড বিভাগের অধ্যক্ষ ঐযুক্ত ললিতাপ্রসাদ দত্ত এবং উাছার সহযোগিগণ এ-বিষয়ে অামালিগকে যথেষ্ট সহায়তা করিতেছেন।