পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: বৈশাখ হিন্দু-প্রভাবিত বাংলা-সাহিত্য “NNඵ দুষ্ট সভ্যতার সংস্পর্শে আসিয়া বাংলা-সাহিত্য আরও উন্নত ও সম্পদশালী হঠয় উঠিত । কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষগণ এই বাংল-সাহিত্যকে উপেক্ষা করিয়া খুবই নিৰ্ব্বদ্ধিতার পরিচয় দিয়াছেন । যাহার। সাধনার দ্বারা উহাকে সমৃদ্ধিশালী করিতে সাহায্য করিয়াছে তাহাদিগকে নিন্দ বা আক্রমণ করিলেহ কি পূৰ্ব্বতনদের সব দোষ অপনোদিত হইবে ? অথবা তাহাতেই কি আমাদের কর্তৃব্যের ইতি হইয়। যাইবে ? যদি কেহ মনে করেন যে, হিন্দুরা একটি সভা আহবান করিয়া প্রস্তাব দ্বারা স্থির করিয়াছে যে, অত:পর তাহারা বাংলা-সাহিত্যকে হিন্দুভাবাম্বিত করিবে, ইসলামী সভ্যতাকে পরিত্যাগ করিবে, আর সেই উদ্দেশ্বে গোপনে গোপনে সৰ্ব্বত্র প্রচাবকায্য .তবে, তবে তাহ নিতাস্ত ভুল ধারণ হইবে । এরুপ কিছুই হয় মাহ । যাহা হইয়াছে ও ই; এই-- হিন্দুর: নিজেদের প্রাচীন সভ্যতার রসাস্বাদন পাইয়ু আত্মসমাঠি ভ রচনা অ}র গু করিল : BBB BBBBS BSBBS BSBS BBBBB gDBB BBBBB S প্রাচীনের মোঃ মুসলম'নেৰ ধেমন আছে, হিন্দুদেবও সেই রূপ আছে । প্রাচীনের মোহমুগ্ধ হিন্দু শুধু বেদ উপনিষদে নয়, সে যুগের কাব্য, নাটক, সাহিত্য প্রভূতির মধ্যেও এ যুগের উপভোগ্য রসেব সন্ধান পাতল । সেই রসে আপ্লুত হইয় বহু সাহিত্যিক, লেখক ও কবি বাংল!-সাহিতোর চর্চা কবিতে এই জুলুই আজ বাংল;-সাহিত্য হিন্দ-প্রভাবিত, কিস্থ মুসলমানগণ সেরুপ কিছু করেন নাই বলিয়া আজ ইহাতে ইসলামী প্রভাব নাই বলিলেও হয় । হিন্দুরা ইসলামী সভ্যতা কেন পবিহার করিয়াছে, অথব, পরিহার করিয়া কতটা অন্যায়ু ও লুল করিয়াছে ত'ত বিচার করিবার লাগিলেন, ভাৱ ঐতিহাসিকের, -- সাহিতা-সমালোচকের পক্ষে তাহা বিচার কবিবার অবসর্বে অভাব । নাটক, নভেল, যারা, থিয়েটার, নৃত্য গীত প্রভৃতি আনন্দের বস্তুগুলি প্রত্যেক জাতির সংস্কৃতি সভ্যতা ও সাহিত্যকে সজাগ ও সজীবিত রাখে এবং সমগ সাহিত্যের মধ্যে এমন একটা অপার্থিব প্রেরণ দেয়, আর তাহার ফলে সাহিত্য এরুপ পুষ্টিলাভ করে যাহ। কেবল ধৰ্ম্মনীতি ও দর্শনের মীরস তত্বে সম্ভব হয় না। সাহিত্যকে সরস, সুমধুর করিতে—বিশেষত: ^ c সাধারণের চিন্তে প্রভাব বিস্তার করিতে হক্টলে নাটক উপন্যাসের বিশেষ প্রয়োজন । রোম, গ্রীস, ইংলণ্ড প্রভৃতি দেশে নাটক ও গল্প-গীতিকার প্রভাবে সাহিত্যের ধে উন্নতি হঠয়াছে তাহ অপূৰ্ব্ব । আবার এই নাটকাদি সাধারণের জন্য মঞ্চে অভিনীত হওয়াতে প্রকারাস্তরে লোকসমাজে সাহিত্যচর্চার প্রবৃত্তি জাগাইয়া দিয়াছে। প্রাচীন এথেন্সে থিয়েটারহ ছিল লোকশিক্ষার প্রশস্ত বিদ্যালয় । বস্তুত: নাটক, গল্প ও যাত্রা থিয়েটারের মধ্যবর্কিতায় সাধারণের মধ্যে যেরূপ সহজে সভ্যতা ও সংস্কৃতির আদর্শ প্রচার হয়, যেরূপ ভাবে অতীতকে পরিস্ফুট করা সম্ভব হয়, অন্য কিছুতে তাহা হয় না । এদেশে হিন্দুরাও প্রাচীন সভ্যতাকে উপন্যাস ও নাট্যসাহিত্য দ্বারা অতি সহজেই প্রচার করিতে লাগিল । বহুকাল হইতে যাত্রার দল ও কীৰ্ত্তনওয়ালারা হিন্দু সংস্কৃতিকে সজীব রাখিয়ছিল, তার উপর নবযুগের থিয়েটারগুলি সভ্যতা প্রচারের ভার লইল । আর এই সব যাত্রথিয়েটারকে রসদ জোগাইবার জন্য কবি ও সাহিত্যিকগণ প্রাচীন গ্রন্থ অবলম্বনে মান প্রকার গ্রন্থ লিখিতে আরম্ভ করিলেন । প্রাচীন যুগের ও হিন্দুগৌরবের আদর্শগুলি লোকলোচনের সম্মুখে অভিনীত হওয়াতে তাহারা বর্তমানের প্রভাব সত্তেও প্রাচীনকে একেবারে ভুলিতে পারিল না । আর এই শ্রেণীর লোক উত্তরকালে লেখাপড় শিখিয়া হিন্দু কুষ্টির দ্বারা এরূপ প্রভাবান্বিত হইয়া পড়িল যে, তাহদের রচনাতে তাঙ্গার ছাপ অনুভবযোগ্যভাবে পরিস্ফুট হইয়া উঠিল । আজ পয্যন্ত তাহারী ইত্যর প্রভাব পরিহার করিতে পারে নাই । সেই জনা হিন্দুর লেখনী হইতে স্বতঃউৎসারিত হইয়া যাহা বাহির হইয়া থাকে তাহার অনেকটাই হিন্দু সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবাম্বিত । হিন্দুরা যদি অপরের খাতির করিয়া স্বকীয় আজন্মপোষিত আদর্শ পরি হার করিয়া সাহিত্যচর্চ হয়ত আমরা “মেঘনাদবধ” “বৃত্বসংহার” প্রভৃতি অপূৰ্ব্ব গ্রন্থ পাইতাম করিত তবে না । ইহা বাংলা-সাহিত্যের পক্ষে ভালই হইয়াছে যে, মধুসূদন, হেমচন্দ্র প্রমুখ কবিগণ অন্তপ্রেরণাকে উপেক্ষ করিয়া অমুযোগ-অভিযোগের ভয়ে নত হইয় পড়েন নাই । কিন্তু মুসলমানগণ সাহিত্যপ্রচার ও লোকশিক্ষার জন্য এ পন্থী অবলম্বন করেন নাই, বরং ধৰ্ম্মের নামে নাটক