বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Cسواسسوا প্রবাসী SNつBNご স্তম্ভ যখন খাদের কিনারায় দ্বিধাভরে টলমল করিতেছিল, সেই সময় চকিতের ন্যায় ভিক্ষুকে দেখিতে পহিলাম। বাইনকুলারটা অবশে চোখের সম্মুখে ধরিয়া রাখিয়াছিলাম। দেখিলাম, ভিক্ষু রন্ধ পথে দাড়াইয় আছেন, তাহার মুখে রৌদ্র পড়িয়াছে। অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দে সে মুখ উদ্ভাসিত। চারি দিকে যে প্রলয়ঙ্কর ব্যাপার চলিয়াছে সেদিকে তাহার চেতনা নাই । আর র্তাহাকে দেখিলাম না ; মরণোন্মত্ত স্তম্ভ খাদে একাকী গৃহে ফিরিয়া আসিয়াছি। তার পর কয়েক বৎসর কাটিয়া গিয়াছে, কিন্তু এ-কাহিনী কাহাকেও বলিতে পারি নাই। ভিক্ষুর কথা স্মরণ হইলেই মনটা অপরিসীম বেদনায় পীড়িত হইয়া উঠে । তবু এই ভাবিয়া মনে সান্থন পাই যে র্তাহার জীবনের চরম অভীপা অপূর্ণ নাই। সেই স্তম্ভশীর্ষে তিনি তথ্যগতের কিরূপ নয়নাভিরাম মৃত্তি দেখিয়াছিলেন জানি না, কিন্তু তাহার জীবনব্যাপী অনুসন্ধান সফল হইয়াছে, তাহাতে বাপাইয়া পড়িল । সন্দেহ নাই। মৃত্যুমুহূর্তে তাহার মুখের উদ্ভাসিত আনন্দ 臺 肇 臺 আজও আমার চোখের সম্মুখে ভাসিতেছে । তুমি-আমি ঐসুধীরচন্দ্র কর সংসারটা কি প্রকাও !—বলাই সে বাহুল্য, তুমি-আমি তার মাঝে কে –কিই বা মোদের মূল্য ! তবুও লোকে কিছু কিছু ভাবে ত নিজ আগু-পিছু, কোনদিকে কে উচু-নীচু, কার সাথে কে তুল্য, —কেমন করে মন দেখে সে মূল কথাটাই ভুলল ! যাই হই না, বেঁচে থাকতে একটুকু চাই স্থান তে, চার দিকে এর দায় পোহাতে এমনি জীবনান্ত ! তার মাঝেও ক্ষণে ক্ষণে না চাইলেও পড়বে মনে একখানি প্রাণ একটি কোণে চায় কারে একান্ত । প্রজাপতির পরিহাসটা এখানেই কি ক্ষাস্ত ! যেমন-তেমন একটি কথা, তাও যেন নয় তুচ্ছ ! যেমন ধরে তুমি বললে—“ওগে, ও কি খুজিছ ।” বললেম,—“এই, নয় কিছু আর সময় হ’ল আপিস যাবার, কি ফেলে যাই ভাবব আবার ”—হাসলে একটু উচ্চ ; এগিয়ে দিতে পানের ডিবে, বাজল চাবির গুচ্ছ । তুমি-আমি এই ত ব্যাপার!—যা হোক, এ সম্বন্ধে বাইরে কিছু বলতে গেলেই পড়ব মতের দ্বন্ধে। অনুভবের অভিমানে কারুর কথা কেউ কি মানে । যাদের যেমন তারাই জানে ;—জামুক তা স্বচ্ছন্দে ; দিন আমাদের গেলেই হ’ল এমনি ভালমন্দে ॥