অণশ্বিন পরের বোঝা কিন, মেয়ে দিতে সাহস করে না কেউ। জামাই যদি রোজ রোজ ১০ ধারায় পড়ে, সেটা ত কারুরই সুবিধে লাগে না বাৰু। যাক, কুছ পরোধ নেই। বিয়ে না হ’ল ত বয়ে গেল। তা বাৰু, দুনিয়াতে অভাব কিছুরই হয় না। মেয়েগুলো— আমার নীতিবাগীশ মনটা ঝাজাইয়া উঠিল। লোকটার কি লজ্জা বলিয়া কোন বস্তু নাই ? বেশ একটু ঝাজ দিয়া কহিলাম—চমৎকার লোক ত তুমি হে? বেশ তোফ ফুৰ্ত্তিতেই ত দিন কাটাচ্ছে ; এই বন্যায় যা-কিছু মুস্কিল ঘটালে, না ? আমার অভদ্র শ্লেষোক্তির প্রতি ভ্ৰক্ষেপ মাত্র না করিয়া সে নিজের কথা বলিতে লাগিল, —বন্যায় সৰ্ব্বনাশ করেছে বাৰু, মুস্কিল আসান যদি বা কোন কালে হতে পারত, তা হতে দিলে ཤོ། ། সে দেমাকে-মেয়েটা যেমন রূপগুণের অহঙ্কারে ধরাকে সর দেখত, সে-সব অহঙ্কার সে বজায় রেখেই গেছে—নোয়াতে পারলুম না ! নিঃশ্বাস ফেলিয়া লোকটা বসিয়া পড়িল। একটা রোমাটিক কাণ্ডের আমেজ পাইয় মনটা কান খাড়া করিয়া বসিল । একটু নড়িয়া-চড়িয়া জমিয়া বসিয়া জিজ্ঞাসার স্বরে একটু করুণ মাখাইয় বলিলাম—তাকে পাও নি বুঝি ? —কই আর পেলুম বাৰু, সময় হাতের মুঠোয় এসেই যে ফকে গেল। আগে যদি আসতে বাবু, তাহলে সে বঁাচত। আমি কি থেয়ে বেঁচেছি ? আমার কথা বলছ ? সেট ত মূল, আমার সাহায্য যদি নিতই তাহলে আর কথা কি ছিল ? যখন তার স্বামী মরে গেল—লোকে বলে বটে আমি মেরেছি, দেবতা জানেন, বাবু, একান্ত আমায় দিয়ে কখনও হত না। তার পরিবারের ওপর নজর দেখে সে-ই আমায় খাওয়া করেছিল । বেলা এক গায়ে বসি, তার বাপ কি আমাকে রেখে হানিফ মাঝিকে মেয়ে দেয় ? না, মেয়েই তাতে মত দেয় ? মেয়ে নয় ত, তেউড়ে বঁাশ ! কত তোষামোদ, কত পায়ে পড়, সেই য়ে বেঁকে বসলচ3ীর কিরা, বাবুং তাকে বিপদে ফেলতে আমার ३झ्। ছিল না। মরদের কাছে নানান খনি করে লাগালে, দিলে কহ ? =తా తె হাজার হোক, পুরুষ বাচ্ছা ত, কত সয় ?...সেদিন আমার সঙ্গে সন্ধের পর মনসাসিজের বেড়ার পাশে মাঝির পোর মূলাকাং হ’ল। হঠাৎ দেখি স্ব-কাধটা প্রায় নেমে • গেছে । নত হইয়া যুবক একটা শুষ্ক গভীর ক্ষত দেখাইল । ফুটফুটে জ্যোৎস্নায় লোকটার মুখ বড় ভীষণ দেখাইতেছিল । রাত্রি প্রায় ঘনাইয় আসিয়াছে, চারি দিক চুপচাপ। বাঙালীর ছেলে ; মনটা কেমন একটু ছাত্ৰ-ছাং করিতে লাগিল। ছেলেটার স্বর ক্রমে উচ্চে উঠবার উপক্রম করিতেই এক প্রচণ্ড ধমক দিয়া রঙে রঙি চোখ দুটি ফিরাইয় সে আবার স্বরু করিল, —আমার হাতে ত অস্তর ছিল না বাৰু, একটা লাথি মেরে দিলাম ফেলে। মাথায় খুন চেপেছে বলে ওই প্যাকটির মত মামুঘটার তাকংই বা আর কত? বুড়ে আঙুলে টিপ মাৱ বা কিন্তু সে রকম ইচ্ছে করি নি, এই যা! দেখি, পড়ে গিয়ে নিসাড়। বা, এ আবার कि চ' ? রক্তে পা ভিজে যেতে দেখি, উবু হয়ে পড়েছে, ধারালে দাখানা বেশ ভাল করেই কাজে একেবারে ফারফোর ক’রে দিয়েছে ! লোকটার জলন্ত চোখের পানে চাহিয়৷ আছি দেখিয়৷ সে ঈষৎ হাসিয়া কহিল—আমায় দেখে অবাক হচ্ছ বাবু। অবাক হ’তে তাকে দেখলে। আমি যে-আমি, আমিই একেবারে থ বনে গিয়েছিলাম চার দণ্ড। বেড়ার ওপাশ থেকে বেরিয়ে এসে তীর-বেধ পার্থীর ছ-টির মত স্বামীকে কোলে তুলে নিয়ে চলে গেল, আমায় নজর অবধি করলে না। লোকটা দু-দিন বেঁচেছিল । ও কোল থেকে নামায় নি। হাতের পাতের বেচে ডাক্তার-কবরেজ করলে। আরও বেশী অবাক করলে সে। সেই খুনের দায় থেকে আদালতে তারই সাক্ষীতে আমি বেঁচে গেলাম । বাবু, বাবু, আমন দেখি নি, অমন হয় না! তার পর তার পায়ে পড়েছি—দয়া হয় নি, টেনে এনেছি—ভয় হয় নি। শেষকালে যখন বন্তের জলে ঘরবাড়ী সব গেল, তার হাল নক ধনী জমি–আখেরের পথ আর রইল না, তখন পঞ্জি মন আমার বাবু, ভাবলাম,–এইবারে পথে এম চাদ ওরে বাস রে, আমার অন্ন হারাম, ष्कूिरउ ि
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৭
অবয়ব