পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

あQや বাদর ও হনুমান কেবল যে দল বাধিয়া বেড়ায় তাহা নহে । খাবার জোগাড় করিবার সময় ইহার দলে ভারী হইয়া যায় ; আবার শক্ৰ দেখিবার জন্য নিজেদের মধ্য হইতে একজনকে প্রহরী খাড়া করে এবং খাবার লইয়া পলাইবার সুবিধা হইবে বলিয়া নিজেরা পাশে পাশে বসিয়া এক হাত হইতে অন্য হাতে খাবার চালান করে। ব্ৰেজিল দেশের চিল খাবার শিকার করিয়া যদি দেখে যে, তাহ একলা লইয়া যাওয়া সম্ভব নয়, তাহা হইলে বন্ধুবান্ধবকে ডাকিয়া আনে । e পেলিকান নামে একরকম প্রকাণ্ড-ঠোটওয়ালা জলচর পার্থী মাছ ধরিবার সময় কয়েকটি একসঙ্গে অৰ্দ্ধ-বৃত্তাকার হইয়া বসে। তাহাদের মাঝখানে যদি মাছ আসিয়া প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৩ [ २७* छांनं, sत्र थ७ পড়ে তাহ হইলে মাছের আর পলাইবার উপায়ু নাই । কিন্তু ঐসব কাজে দল বাধা ছাড়া জীবজন্তুদের দল বাধার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত দেখা যায় যখন পার্থীরা ঝাকে ঝণকে এক দেশ হইতে অন্য দেশে গমন করে । যাইবার আগে তাহারা সকলে এক জায়গায় মিলিত হয়, কলরবে চারিদিক ভরিয়া ফেলে, প্রথমে একবার দেখিয়া লয় কে কেমন উড়িতে পারে, তাহার পর সকলে যাত্রা করে। দূর হইতে দূরে তাহাদের কলবর আকাশে তলাইয়া যায়, কালো বিন্দুর মত ক্রমে ক্রমে ছোট হইয়া তাহারা কোথায় যেন মিলাইয়া যায়। দেশ-ভ্রমণের জন্য পার্থীদের এই যাত্রা দেখিতে চমৎকার । 《경 নীল আকাশে শ্রী প্যারীমোহন সেনগুপ্ত জানলা দিয়ে পাঠিয়ে দুটি আঁখি নীল আকাশের উপর তাহ রাখি’ থাকি চেয়ে থাকি । মনে জাগে উদাস বিপুলতা, মৌন নত সকল কথা ব্যথা, স্তব্ধ আমার কৰ্ম্ম-অধীরতা। নিথর আঁখি নিথর নীলে রহে, চিত্ত বাপি’ শান্তিরি স্রোত বহে, গোপন তারি বাৰ্ত্ত মোরে কহে। আমি একা—আকাশখানি ফাক, সৰ্বল আমার মনের যত ঢাকা, মুক্ত হিয়া মুক্ত নভে রাখা । নয়ন দিয়ে ও নীল করি পান,— জুড়িয়ে গেল জুড়িয়ে গেল প্রাণ, ক্ষুদ্ৰ দুখ-শোকের অবসান ।