পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

眾露怒蕊獼*密豐靈茲 HHSASHCCAMMMMAAASAAAS عوا 8 وح ক্রিয়ার অর্থ প্রকাশ করা যায় ন! ‘অজায়ভ’ শবোর অর্থ "উৎপন্ন হইয়াছিল” ; “ছিল এই অর্থে ইহা গ্রহণ করা যায় না। গ্রন্থকার এক আশ্চৰ্য্য পুস্থ অবলম্বন করিয়াছেন। তিনি একদিকে প্রমাণ করিতে চাহেল ঐ দুইটি ঋক্ প্রক্ষিপ্ত। আবার প্রমাণ করিতে চাহেন, অজয়ত=ছিল। এই দুইটা যুক্তি পরস্পরবিরোধী। খুক হইটি যদি প্রক্ষিপ্ত হয়, তাহ হইলে “অজায়ত’ শব্দের অর্থ "উৎপন্ন হইয়৷ ছিল, ইহাই করিতে হইবে, কারণ এই অর্থ করিলেই শূদ্রদিগকে হীনতর করা হয় এবং ইহাতেই প্রক্ষেপের উদেশ্ব সিদ্ধ হয় । প্রকৃত কথা এই যে বৈদিকযুগ হবিস্তীর্ণ। এই যুগের প্রথম ভাগে যে জাতিভেদ ছিল না। তাহ নিশ্চিতরূপে বল যাইতে পারে কিন্তু ইহাও সত্য যে এই যুগের শেষ-ভাগে জাতিভেদ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল এবং এই যুগের শেষ ভাগেই অপরাপর বেদের অনেক মন্ত্র রচিত বা সংগৃহীত হইয়াছিল। অপরাপর বেদে যে জাতিভেদের কথা আছে তাহা গ্রন্থকারও স্বীকার করিয়াছেন। তবে ঋগ্বেদের যুগের শেষ ভাগে জাতিভেদ প্রচলিত হইয়াছিল ইহা বলিতে কি আপত্তি হইতে পারে ? লেখক মনে করেন সতীদাহ প্রথার বৈদিক প্রমাণ নাই। ইহা সত্য নহে । অথৰ্ব্ববেদে সতীদাহ বিষয়ক কয়েকটি মন্ত্র আছে (১২৩১৷১২৩ ২, ১২।৩৩ ; ১৮:৩১, ১৮৩২) : প্রবাসী ১৩২৬ কাৰ্ত্তিক বৈদিক ভারতে সতীদাহ শীর্ষক প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য। একটি মন্ত্রে ( ১৮৩১ ) এই প্রথাকে ‘ধৰ্ম্মং পুরাণম্ বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে। ঋগ্বেদের একটা মস্ত্রে ( ১০|১৮৮ ) লিখিত আছে যে বিধবা স্বামীর পর্থে চিতার উপর শয়ন করিয়াছিল । ইহাতেই প্রমাণিত হয় যে সহমরণ-প্রথ একসময়ে প্রচলিত ছিল । গ্রন্থকারের সহিত সব বিষয়ে একমত হইতে পারিলাম না । কিন্তু পুস্তিকাতে অনেক জ্ঞাতব্য বিষয় আছে। মহেশচন্দ্র ঘোষ মধুচ্ছন্দার মন্ত্রমালা—লী নলিনীকান্ত গুপ্ত। প্রকাশক শ্ৰী রামেশ্বর দে, চন্দননগর। পাচ সিকা । নলিনী-বাবু বঙ্গসাহিত্যক্ষেত্রে হপরিচিত। উহার চিন্তাশীল প্রবন্ধাবলী তাল্পদিনেই উহার জন্য সাহিত্য সমাজে একটি বিশেষ স্থান কায়েম করিয়া দিয়াছে। এই পুস্তকে নলিনী-বাবু ঋগ্বেদের প্রথম মণ্ডলের প্রথম দশটি স্বত্তের ব্যাখ্যা করিয়াছেন। বা দিকের জোড় পৃষ্ঠার স্বত্ত্বের মূল মন্ত্র ও বাংলা টাকা এবং ডান দিকের বিজোড় পৃষ্ঠায় বাংলা অনুবাদ দিয়া প্রত্যেক সুক্তের পরে তাহার তাৎপৰ্য্য ব্যাখ্যা দিয়াছেন । এই ব্যাখ্যাকে লেখক বেদের যৌগিক বা তাত্ত্বিক ব্যাথ্যাpsychological interpretation—RİN faitēri i së ftoT শ্ৰীযুক্ত অরবিন্স ঘোষ মহাশয়ের মুখে শুনিয়া নলিনী-বাবু লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। দুইজন চিন্তাশীল মনীষীর সন্মিলিত চেষ্টার ফল এই বেদব্যাখ্যা। এই নতন ভায্যের মধ্যে প্রভূত চিন্তাশীলতা ও নবভাবের আলোক-সম্পাত দেখিতে পাওয়া যায়। বেদের মধ্যে আর্য্যসমাজের শ্ৰেষ্ঠ মনন ও কৃষ্টি নিহিত আছে ; ব্যাখ্যাকারেয়া সেই আৰ্য্যসংস্কৃতি আবিষ্কার করিয়া নিজেদের মনীষা ও অনুসন্ধিৎসার বিশেষ পরিচয় দিয়াছেন । তাৎপৰ্য্য-ব্যাখ্যার মধ্যে গভীর তত্ত্বজ্ঞান ও আর্য্যমননে অভিনিবেশ প্রকাশমান দেখা যায়। উপক্রমণিকায় গ্রন্থকার বেদ কি, বেদের প্রতিপাদ্য বিষয় কি, বেদ বুঝিবার উপায় কি, বেদ শুধু একখানা সাহিত্য পুস্তক নয়, বেদ হইতেছে অধ্যাক্স-সাধনার মন্ত্রাবলী, বেদের মস্ত্রের श्रांशकिक यर्थउरु श्ठानि बह दिशग्न नूठन द् िश्ङ नूठनडाव বিশেষ বিচক্ষণ পাণ্ডিত্য ও চিন্তাশীলতার সহিত আলোচিত হইয়াছে ; ৪৮ পৃষ্ঠাব্যাপী দীর্ঘ উপক্ৰমণিকা বেদপাঠের ভূমিকাস্বরূপ। বেদ } პჯწ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ হইয়াছিল’ প্রভূতি সমপৰ্য্যার কথা। ইহার কোনটি দ্বারাই ‘অসীৎ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড আমাদের ভারতবর্ষীয়দের সাধনলন্ধ মহাসম্পদ ; ইহার সহিত পরিচিত হওয়া, ইহার তাৎপৰ্য্য হৃদয়ঙ্গম করা সকল ধর্মের ভারতীয় নরনারীর একান্তকৰ্ত্তব্য। এই গ্রন্থে বেদের অসাম্প্রদায়িক তাত্ত্বিক ও আধ্যাত্মিক অর্থ সন্নিবিষ্ট থাকাতে ইহ সকল সম্প্রদায়েরই আদরযোগ্য হইয়াছে। উপক্রমণিকার উপসংহারে গ্রন্থকার লিথিয়াছেন—“যেদের বাহিরের পরিচয় দেওয়া আমাদের উদেষ্ঠ নয়, আমাদের লক্ষা বেদের অস্তরের পরিচয় দেওয়া। এতকাল বেদ প্রত্নতাত্ত্বিকেরই গবেষণার বিষয় হইয় পড়িয়ছিল। কিন্তু বেদের আছে একটা জীবন্ত সত্তা যে দেশে যে কালে হউক না কেন মানুষকে একট। বৃহত্তর জীবনে উঠিয় দাড়াইবার লক্ষ্য ও সাধন যে বেদ দিতেছে, তাহাই বেদের আসল পরিচয় । অজ্ঞানের অশক্তির নিরানন্দের কবলগত মানুষ চিরকাল যে স্বপ্ন দেখিয়া আসিয়াছে, সকল বিপৰ্য্যয়ের মধ্য দিয়া যে মহান আদর্শের পিছনে সে ছুটিয়া চলিয়ছে— যাহতে আমি অমৃতত্ব পাইব না, তাহ দিয়৷ আমি কি করিব ?”—মানুষের অন্তরাত্মার এই অমৃতত্বপিপাস, তাহীর পুর্ণ তৃপ্তি যেখানে ও যাহা দিয়া, সেই ব্লসের বৃহৎ আধার—রায়ে অবনিঃ—সেই মহা অর্ণব—মহে। অর্ণঃ—হইতেছে বেদ । বেদমন্ত্রে যাহার অস্তরে এই দিব্যকৃষ্ণ জাগিয় উঠে, তাহারই বেদপাঠ সার্থক । চারু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাণীদের অন্তরের কথা —শ্ৰীজ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস প্রণীত। মানুষ ছাড়া অন্ত প্রাণীদের বুদ্ধি, স্নেহমমত, নৈতিকজ্ঞান প্রভৃতি সম্বন্ধে ইংরেজী ও অন্যান্য পাশ্চাত্য ভাষায় অনেক বৈজ্ঞানিক . ও সৰ্ব্বসাধারণের পাঠ্য বহি আছে ; বাংলায় কম। শ্ৰীযুক্ত জ্ঞানেগ্রমোহন দাস যে বহিটি লিথিয়াছেন, তাহ। এই কারণে বিশেষ উল্লেখযোগ্য অল্পবয়স্ক ও অধিকবয়স্ক সকলেই ইহা পড়িয়া আননা ও জ্ঞান লাভ করিতে পরিবেন । গ্রন্থকার ইহা কেবল ইংরেজী বহি পড়িয় লেখেন নাই ; তাহীর নিজের পর্য্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধানের ফলও ইহাতে আছে । যাহার ছেলেমেয়েদের জন্য ভাল বহি চীন, তাহার এই বহিখানি বাড়ীতে রাখিলে নিজেও পড়িতে পরিবেন, ছেলেমেয়েদেরও কাজে লাগিবে। ইহার ছাপা, কাগজ ও মলাট সুদৃপ্ত ও উৎকৃষ্ট। বাকুড়া জেলার বিবরণ—গ্রামায়ুজ কর কর্তৃক সঙ্কলিত ও প্রকাশিত। বাঁকুড়া। প্রবাসীর-সম্পাদকের লিখিত ভুমিকা সম্বলিত। মূল্য বীর আন । এই বহিটি সম্বন্ধে আমার মত ইহার ভূমিকায় লিখিয়াছি। আমিও গ্রন্থকারের মত মাকুড়ার মানুষ ; তথাপি এই বহিখানি হইতে এমন অনেক জ্ঞাতব্য কথা জানিতে পারিয়াছি, যাহা পুৰ্ব্বে আমার জানা ছিল না । বাঁকুড়া জেলার প্রত্যেক লেখাপড়া জানা লোকের ইহা ইহা ক্রয় করিয়া পড়া উচিত। অস্ত জেলার যে-সব লোক বাঁকুড়ার বিষয় জানিতে চান, কিংবা ঐ জেলার ষা ঐ জেলার সহিত ব্যবসাবাণিজ্য করিতে চান, তাহার এই বহি হইতে খুব সাহায্য পাইবেন । কীটপতঙ্গ—৮ দ্বিজেন্দ্রনাথ বস্ব প্রণীত। প্রকাশক এমু, সি সরকার এও সলস, ৯ণ২ এ হারিসন রোড, কলিকাতা । v দ্বিজেন্দ্রনাথ বসু শিশু-সাহিত্যের সুলেখক বলিয়া বিখ্যাত ছিলেন। বৈজ্ঞানিক বিষয়ে তিনি বাহ লিখিতেন তাঁহার একটি বিশেষত্ব এই যে, তাহা ছেলেমেয়েদের পাঠ্য হইলেও বিজ্ঞানবিদদের বিবেচনাতেও যথাসম্ভব নিতুল। এই বহিখানির লেখা বেশ সহজ ও মনোরম। ছবিগুলিও বেশ । ছেলেমেয়েদের ত ভাল লাগিবেই, বড়দেরও ইহা পড়িতে ভাল লাগিবে ও জ্ঞানবৃদ্ধি হইবে। এই বহিটিতে দ্বিজেন্ত্রবাবুর নিজের পৰ্য্যবেক্ষণের ফল অনেক আছে। 3. 5