পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Q>* ইনি 'মায়া’দের শুক্র পঞ্জিকার গণনা যথাযথ উদ্ধার করিয়াছেন ; শুক্র শান্তি দেওয়া হয় । গ্রহের গতির সহিত তাহীদের দিন-পঞ্জিক। নিদ্ধারিত হইত । মায়াদের সুয়্য-পঞ্জিক! এক চিহ্ন হইতে আর-এক চিহ্নে সয্যের ছায় দেখিয়৷ বৎসরের সময় সিদ্ধারণ করিবার যন্ত্র ডাক্তার পিণ্ডেন ইহাও প্রমাণ করিয়াছেন যে, এই অজ্ঞাতনাম বৈজ্ঞানিক অদ্ভুত গণিত-গণনীয় ও নক্ষত্র-বিজ্ঞানের সাহায্যে সময়ের গতি-বিভাগ করিয়াছিলেন যাহ। প্রচলিত পদ্ধতি হইতেও বিশুদ্ধতর । বস্তুতঃ এই আশ্চৰ্য্য ব্যক্তি একটি ঘটিক-স্বল্প নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন বাহ। দুই সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া সঠিক সময় জ্ঞাপন করিয়া আসিতেছিল । কিন্তু স্পেন-অভিযানের সময় ধৰ্ম্মযাজক লাওরে নেতৃত্বাধীনে কয়েকজন উন্মত্ত পুরোহিত কর্তৃক এই যন্ত্রটি বিনষ্ট হয়। ইনি 'মায়া সভ্যতার হন্দুরাসের কষ্টপানে প্রাপ্ত ৫২৩ খৃষ্টাব্দের প্রতিমূৰ্ত্তি প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ বহু নিদর্শন ধ্বংস করিয়াছেন । এই পাশবিক কার্য্যের জন্য ইহাকে স্পেনে আহুত করিয়৷ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ডাক্তার স্পিণ্ডেন ‘মায়া’-পঞ্জিকার সহিত বৰ্ত্তমান প্রচলিত গ্রীগোরীয় পঞ্জিকার সম্বন্ধ নির্ণয় করিয়াছেন, এইসমস্ত দ্বারা প্রমাণিত হয়, এই অভূত পুরুষের অসীম ক্ষমতার কথা । ইতাকে স্পিণ্ডেন সাহেব জেয়োরাষ্টার ও বুদ্ধের স্তায় মহাপুরুষ আখ্যা দিয়াছিল। ‘ম{য়।’র। সেই সময় প্র স্তরে বাস কল্পিত । হইয়। বৎসরে দুইবার ফসল দিত ; এই বপন ও কৰ্ত্তন কাল সঠিক নিৰ্দ্ধারিত করিবার জন্ম বৎসরের অৰ্দ্ধেক সময়ের বৃষ্টিপাতে জমি উর্বর সময়-জ্ঞানের প্রয়োজন হয় ও এই বৈজ্ঞানিক তাহার অপূৰ্ব্ব বুদ্ধি-কৌশলে এই অভাব পূর্ণ করেন । ডাক্তার স্পিণ্ডেন লিখিয়াছেন, “মায়াদের মন্দির ও স্তম্ভগীত্রে খোধি" শত শত দিনপঞ্জিকার তারিথ হইতে বর্তমান পঞ্জিকার তারিখের সহিত একটি সম্বন্ধ নির্ণীত হইয়াছে ; এবং নিত্য নতন গবেষণায় ইহাই প্রমাণিত হইতেছে যে, তাহদের পদ্ধতি বৰ্ত্তমান পদ্ধতি হইতে অনেক শুদ্ধ ছিল । তাহদের বৎসরকাল প্রায় আমাদের যৎসর-কালের সমান ছিল । আমাদের যেমন চার বৎসরে এক দিন বাড়িয়া যায় উহাদের তেমনি ৩৩০০ বৎসর পরে একদিন বাড়িত ।” এই সুসভ্য জাতি কি কারণে অধঃপতিত হইল প্রত্নতাত্ত্বিকগণ তাহ স্থির করিতে পারেন নাই ; তবে ইহাদের এই সৰ্ব্বাঙ্গীন লোপ বিশেষ দুঃখের কারণ, সন্দেহ নাই । এই বৈজ্ঞানিকের সমসাময়িক যুগে য়ুকাটান ও মধ্য-আমেরিকায় যেখানে ১৪,০০০,০০০ লোক বাস করিত সেখানে আজ মাত্র ৪ • • দুর্দশাক্লিষ্ট হতভাগ্য রেড ইণ্ডিয়ান অবশিষ্ট 型に変 l অতিকায় যন্ত্র ও আসবাব— পর পৃষ্ঠায় কতকগুলি অতিকায় যন্ত্র ও আসবাব প্রভূতির ছবি দেওয়া হইয়াছে। এইসব জিনিষ ইহা অপেক্ষী বৃহত্তর কেহ দেখিয়ছেন কি ? ১ । পৃথিবীর সব-চাইতে বড় বই :--নিউইয়র্কে এই পুস্তকখানি দশিত হইয়াছিল । মইয়ে চড়িয়া-বইখানি পড়িতে হয়, ইহার প্রত্যেকটি পাত ১০ ফুট লম্ব ও সাতফুট চৌড় । ২ । ব্যাঞ্জেীর রাজী :--ক্যালিফোধিয়ার-স্তান জোসের রায় কিয়ীর্ণ ও এ, ক্যারো মিলাব নিৰ্ম্মিত এই ব্যাঞ্জোটি নাকি বৃহত্তম ব্যাঞ্জে । ইহা দশ ফুট লম্বা । ৩ । পৃথিবীর সব-চাইতে বড় আপিস-চেয়ার—এই চেয়ারে উপবিষ্ট মহিলাটি সাধারণ ভাবের লম্ব চৌড় একটি মানুষ । তিনি যেন এই চেয়ারে বসিতে গিয়া হারাইয়া গিয়াছেন। চেয়ারটি ১১ ফুট উচ্চ । দুইজন লোকের সাহায্যে তিনি এই চেয়ারে উপবিষ্ট হইয়াছেন । ৪ । সব-চাইতে বড় কম্বল —এই কম্বলটি চীনের একটি কম্বলকারখানায় ‘সিনসিনটি ব্যিজিনেশ মেনস্ ক্লাবের জন্য বোন হইয়াছিল । কারখানার দেয়াল ভাঙ্গিয়া কম্বলটি বাহির করিতে হয় । ইহার আয়তন ৯২• বর্গফুট। ইহার উপর তিনটি উপবিষ্ট লোককে দেখিলেই ইহার আয়তন উপলব্ধি হইবে ।