পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭২ ভাষা পড়বার লোকের ও অভাব নেই। সেইসব লিপি থেকে অনেক অদ্ভুত তথ্য জনা যাচ্ছে । তাদের আচার-ব্যবঙ্গার, শিল্প-বাণিজ্য জ্ঞানবিজ্ঞানের নানা নিদর্শন সেই সব শিলালিপিতে আছে । পৃথিবীর সমস্ত জাতির ছেলেদের সেী ভাগ্য এই যে, সেদেশের প্রচলিত উপকথা গুলিও পাথরে খোদাই ক’রে রাখা হয়েছে । সে উপকথাগুলি ভারি চমৎকার ; এবং মিশর, গ্রীস ও ভালতবর্ণের উপকথার সঙ্গে সেগুলির আশ্চৰ্য্যরকমের মিল আছে । আমাদের পুরাণে গরুড় যেমন বিষ্ণুর বাঙ্গন স্কুমেরীয়ার জাও তেমনি ইতনা দেব তার বাহন ; ব্যাবিলোনের ইয়। ঠিক আমাদের বরুণ। এইরকমের অনেক মিল সেই দেশের পুরাণকাহিনীর সঙ্গে আমাদের পুরাণগুলিতে পাওয়া যায়। এই উপকথাগুলি যে শুধু ছেলেদের গল্পের খোরাক জোগাচ্ছে তা নয় ; এ পেকে তাদের সঠিক আচারব্যবহারের ইতিহাস" পাওযা যায় ; এর অনেক গল্পের সঙ্গে কথার মিল আছে । বাইবেল যখন লিখিত হয় তখন বাবিলোনের সভ্যতা অবনতির শেষ স্তরে নেমেছে । সম্প্রতি পুরাতত্ত্ববিদদের আবিষ্কার থেকে যতট। ইতিহাস জানা গেছে আসিরিয়া ও ব্যাবিলেনিয়ার উপকথা গুলি সঠিক বুঝতে গেলে সেগুলি পড়া বিশেষ অবশ্যক। এই উপকথা গুলি প’ড়ে আমাদের দেশের ছেলেদের মনে এই প্রাচীন ইতিহাস জনিবার ષઃા દ્વાજા દ્રા, હોકે કામાઃ 4જીનિ નિશિ ર ફ:ઝ এতে আমাদের দেশের অনেক আশ্চৰ্য্য নতুন তথ্য তা’র জানতে পারবে ও প্রাচীন ইতিহাস জানবার একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি গড়ে উঠবে। নিনে ভার অস্থর-বাণী-পাল-মন্দিরে এই দেশের স্থষ্টির ইতিহাস সাতটি প্রস্তরখণ্ডে লিপিবদ্ধ ছিল । সম্প্রতি সেই প্রস্তরখণ্ডগুলি ব্রিটিশ যাদুঘরে রাখা হয়েছে। স্থানে-স্থানে কালের প্রকোপে এই উপকথাটি নষ্ট হ’য়ে থাকলেও যতটুকু পাওয়া গেছে তা নীচে দেওয়া হ’ল । সষ্টি-কাহিনী এই মাটির পুথিবী যখন তৈরী হয়নি তখনকার কথা । তখন পাহাড়-পর্বত, গাছপালা কিছুই ছিল না। বাইবেলের প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড চারিদিকে অথই সমূদ্র । মাথার ওপরে অনন্ত নীলাকাশের কোনো নাম ছিল না ; নীচের অগাধ জল ও পরিচয়হীন । অপস্থ ছিলেন উপরের ও নীচের এই দুই সমুদ্রের স্তষ্টিকৰ্ত্তা, আর অন্ধকারের দেবতা তারামাত ছিলেন এদের মা । তখন শস্যশ্যামল প্রান্তর সমুদ্রের বুক থেকে আকার নিয়ে ওঠেনি ; নদ, নদী, হুদ, সরোবরের কোনো চিহ্ন ছিল না । অন্ত কোনো দেবতার তখনো স্থষ্টি হয়নি ; তাদের অদৃষ্টও অন্ধকারে ছিল । তা’র পর একদিন এই অথই নিথর জল উঠল ন’ড়ে ; দেবতারা তা’র থেকে বেরিযে এলেন । সবচাইতে আগে মাথা তুললেন প্রথম পুরুষ লাচমু আর প্রথম নারী লাচামু। বহুযুগ অতীত হ’য়ে গেল । দেবত। আনশার ও দেবী কিশার জন্মালেন । দিনগুলো তখন ভারি ছোট ; নিবিড় অন্ধকারের তখন প্রবল রাজ ত্ব । তা’র পর দিনের গতি বেড়ে গেল ; অসীম আকাশের দেবতা অতু তার সঙ্গিনী অনাতুকে নিয়ে প্রকাশ পেলেন । তা’র পর এলেন ইয়া । ইনি প্রচণ্ড শক্তিমান ও পরমজ্ঞানী ; দেবতাদের ভিতর তার সমান কেউ ছিল না । ইয়া হলেন অতল সমুদ্রের দেবতা , আবার এস্কি কিনা পৃথিবীরও দেবতা হলেন ; তার সঙ্গিনী ডাম্‌কিনা গাসানকি অর্থাৎ ধরণীর দেবী হলেন । ইয়া আর ডাম্‌কিনার এক ছেলে হ’ল ; তার নাম হ’ল বেল বা মেরোডাক । এই বেল মাতুয গুষ্টি কবুলেন ; দেবতাবা শক্তিসামর্থ্যে প্রতিষ্ঠিত হ’ল । এদিকে বিশৃঙ্খলতার ও নিবিড় অন্ধকারের দেবতা অপ স্ব আর তারামাত ভয়ে কেঁপে উঠলেন। তাদেরই বংশধরেরা প্রবল হ’য়ে নিখিল বিশ্বকে বশ করতে চায় ; সেপনে শৃঙ্খল। আনতে চায় । কি সৰ্ব্বনাশ ! অপক্ষ তখনে ভরি তেজী আর বলীয়ান । তিনি গেলেন ক্ষেপে, তারামাতও রাগে গর-গর কবৃতে লাগলেন ; দেবতাদের রাজ্যে বিষম ঝড় উঠল। মহাবিশৃঙ্খলা ! কিন্তু দেবতাদের বিশেষ কিছুই হ’ল না ; তামায়তই নিজে যন্ত্রণায় অধীর হলেন । অপক্ষ তার ছেলে মুম্বুকে ডাক্লেন। সে র্তার ভারি বশ ! তাকে মন্ত্রণ-টন্ত্রণ সব সেই দেয় । বললেন, “বাবা