১৮৪ র্য্যের সহিত এই মত প্রকাশ করেন, যে, এই নূতন আবিষ্কারে এইমাত্র প্রমাণ হইতেছে যে, যেমন আজকাল ইংরাজের অসভ্য ভারতবাসীকে শিক্ষাদান করিতেছেন, সেইরূপ প্রাচীনকালে অন্যান্য সভ্যজাতি অসভ্য ভারতবাসীকে শিক্ষাদান করিয়াছিল । ফলে যে কোন শিল্পের ইতিহাসে প্রাচীন ভারতের কীৰ্ত্তি-সম্বন্ধে কোনও তথ্য আধুনিক পাশ্চাত্য পুস্তকসকলে প্রায় স্থান পায় না বলিলেই চলে । খৃঃ ১১শ শতাব্দীর ইউরোপীয় কাচের কারখান। এই ত গেল দেবতাদের কথা । ইংরাজীতে প্রবাদ {5A Wizo, “For small mercies the good Lord be thanked” ; যেটুকু কপা হয়, তাহার জন্য প্রভূ দেবতাকে ধন্যবাদ দাও । আবার নকল দেবতাদের কাণ্ড আরও অদ্ভুত । সম্প্রতি দিল্লীতে এসেম্ব্লীতে ( Legislative Assembly ) Coto-Cosa দেশপ্রতিনিধির তরফ হইতে প্রায় এইরূপ ইঙ্গিত হইয়াছিল, যে, প্রত্নতত্ত্ব পুরাতন ঘর-বাড়ী খুড়িয়া বাহির করা মাত্র ; অতএব ঐ বিভাগে বেশী খরচ করিবার দরকার নাই । বেশী খরচটা হইতেছে বার্ষিক ২॥০ লক্ষ টাকা । আমরা নিজেদের সভ্য বা শিক্ষিত বলিলে, সভ্য-জগং যে হাসিয়া উঠে, ইহা আর আশ্চৰ্য্য কি ? ২ । এদেশে পুরাতত্ত্ব-বিদ্যা সম্বন্ধে আলোচনা এবং গবেষণা সবেমাত্র আরম্ভ হইয়াছে। যাহার এইকাৰ্য্য করিতেছেন, তাহদের মধ্যে কেহই এখনও বিশেষভাবে শিল্পবিষয়ে গবেষণা করেন নাই । ৩ । অন্যদেশীয় প্রাচীন পুস্তকাদির আধুনিক সংস্করণ সকল স্থানীয় পুস্তকাগার সকলে বিশেষ কিছুই নাই । প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ “প্রাথমিক” কাচ ) সে-সম্বন্ধে কিছুই বিশদভাবে লেজিসলেটিভ, [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড এদেশীয় পুস্তক অনেক পাওয়া যায়, কিন্তু সে-সকলে কি আছে, তাহ জানিতে হৰ্চলে সংস্কৃত ও পালি ভাষা অতি উত্তমরূপে শিক্ষা করিয়৷ সংস্কৃত ও পালি এই দুই সাগর মন্থন করিতে হয়। ব্যাবহারিক বিজ্ঞান ও শিল্পকলাসম্বন্ধে প্রাচীন ভারতের অবস্থা কি ছিল, সে বিষয়ে কোন ও আধুনিক পণ্ডিত ( দেশী বা বিদেশী ) বিশেষ কিছুই লেখেন নাই । ধাতা-কিছু লিখিয়াছেন, তাহার মধ্যে অধিকাংশষ্ট প্রমাণিক বলিয়৷ গ্ৰহণ কর। বিপদজনক । .লেখকের ক্ষুদ্র শক্তিতে সেটুকু তথ্য সংগৃহীত হইয়াছে, তাহ (,দ ওয়া যাইতেছে । প্রাচীন ভারতে কাচশিল্পের নিদর্শন কাচনিৰ্ম্মিত বলয় ( বাল ) সম্প্রতি আবিষ্কৃত হইয়াছে। তই কিরূপ কাচের তৈয়ারি ( বিশুদ্ধ কাচ বা এনমেল—মিনী-জাতীয় 2|শিত হয় নাই । বলয়-নিৰ্ম্মত প্রাগৈতিহাসিক যুগের “অনায্য” ভারতবাসী ( দ্রাবিড় ? ) ছিলেন বলিয়| শোন ধায় । বলয়-নিৰ্ম্মাণের সময় এখনো ঠিক হয় নাই । তবে চহা বলা যায় সে তাহ পৃঃ পূঃ ২০ ০০ বৎসরের ও পূৰ্ব্বে নিশ্চিত ; খুবই সম্ভব পৃ: পূ: ৩০০০ বৎসর, এবং সম্ভবতঃ পুঃ পূঃ ৫০০০ হইতে ৬০০০ বৎসর পূৰ্ব্বে নিৰ্ম্মিত হয় । ২ । মগধদেশে প্রাপ্ত কাচনিৰ্ম্মিত “শিলমোহর’ (glass seal), ইহ৷ খৃঃ পূঃ ২০০ হইতে ৩০০ বৎসর পূৰ্ব্বের জিনিষ । ব্রাহ্মী অক্ষর অঙ্কিত । অন্য কোনও প্রাচীন কাচের দ্রব্যের কথা লেখক অবগত নহেন । সম্ভবতঃ অনেক-কিছুই আছে । প্রাচীন পুস্তকাদিতে ভারতীয় কাচের কথা ১ । শতপথ ব্রাহ্মণের ১৩শ কাণ্ড, দ্বিতীয় অধ্যায়, ষষ্ঠ ব্রাহ্মণ, অষ্টম মন্ত্রে, অশ্বমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান বিবরণ মধ্যে ( ১৩,২৮৮ ) কাচ শব্দ দুইবার ব্যবহৃত হইয়াছে । বচন, কাচানাবয়স্তি –কাচ সকল বয়ন করে—এই অংশের Èxits vīWzfW (Prof. Eggling. Sacred Books of the East) oi— ১। মোঙ্গেন-জো-দাড়োতে But even as some of the offering material may get spilled.------ of the victim is here spilled in that the hair of it when wetted. When they (the wives)