পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ما سوالا প্রবাসী—বৈশাখ, ১১৩৩ ' [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড শাপ অন্ততঃ পক্ষে এই দেশে অতি উচ্চস্তরে স্থাপিত হইয়াছিল। মুচ্ছকটিকের রচনার সময় খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর পরে পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ নির্দেশ করিতে পারেন নাই ; সম্ভবতঃ ইহা আরো অনেক শতাব্দী পূৰ্ব্বে রচিত হইয়াছিল। প্লিনির “প্রাকৃতিক ইতিহাস" ( Pliny, Nat. Hist ) oo xtfs, oo NƠtą ( Book xxxvi. 66 ), বলেন, ভারতীয় কাচ অন্ত সকল দেশীয় কাচ অপেক্ষা উগুম, যেহেতু ইহা স্ফটিকচুৰ্ণ হইতে প্রস্তুত । খৃঃ ২০শ শতাব্দীর সাবেকি ফুকাশিশির কারখানা ৩৭-২ ও তে আরও আছে যে, ভারতীয়েরা স্ফটিকে বর্ণ দাগ করিয়া কৃত্রিম মণি প্রস্তুত করণের উপায় উদ্ভাবন করিয়াছে। স্ফটিকে ( Rock crystal ) বর্ণ সংধোগ করা প্রায় অসম্ভব । সুতরাং প্লিনি কাচনিৰ্ম্মিত মণির কথাই বলিয়াছেন। প্লিনির সময় ২৩ হইতে ৭৯ খৃঃ অব । . সুশ্রুত ১-২-৮-৫ এইরূপ পাত্রের বিবরণ আছে,যথা কাচস্ফটিক পাত্রেষ্ণু । পেরিপ্লস্ । sea) l এই প্রাচীন গ্ৰীক পুস্তকে ভারতবর্ষের কাচের আম (ThePeriplus of the Erythraen দানির কথার উল্লেখ অনেক আছে। ইহার সময় থঃ পুঃ ১ম শতাব্দী । অমর কোষ, বশ্যবর্গ, ৯৯তম শ্লোকে আছে, ক্ষার কাচোহথ••• নানার্থ বর্গ, ২৮ শ্লোক । —কাচাঃ শিক্য মৃদ্ভেদ দুগরুজঃ । সুতরাং অমরের সময় কাচ শব্দের নানা অর্থের মধ্যে ক্ষার এবং মৃৎ-ভেদ ( ভিন্ন অবস্থাপ্রাপ্ত মুক্তিকা) এই দুই অর্থ ছিল । কাচের একটি প্রধান উপাদান ক্ষার এবং ক্ষার ও বালকার সংমিশ্রণে কাচের উৎপত্তি। তাহ ঘে মুত্তিকার ভিন্ন রূপ মাত্র এরূপ জ্ঞান করা আশ্চৰ্য্য নহে ; কেন না বালুক মৃত্তিকার রূপান্তরমাত্র । অমরের সময় খৃঃ পূঃ ১ম শতাব্দীর পূৰ্ব্বে নহে ব| খৃষ্টীয় ১ম শতাব্দীর পরে নহে। পরিশেষে সংক্ষেপে এইরূপ বলা যায় যে, আধ্য ভারতবধে কাচের ব্যবহার খৃঃ পূঃ ১০-১২ শতাব্দী পূৰ্ব্বেও নিশ্চয়ই ছিল। কাচ প্রস্তুত কিনা সে সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ প্রমাণ কিছু এখনো পাওয়া যায় নাই । সভ্য অনার্য্য ( দ্রাবিড় ? ) ভারতে ইহারও বহুপূৰ্ব্বে । খৃঃ পূ: ৫৭০°-৩০° বৎসর } কাচের ব্যবহার ও নিৰ্ম্মাণ প্রথা দুই বর্তমান ছিল । তবে সেই শিল্প পরবর্তী আৰ্য্যদিগের সময় পৰ্য্যন্ত ধাবাবাহিকরূপে বৰ্ত্তমান ছিল বা তৎকালে-অসভ্য আৰ্য্যদিগের ত্যাচারে লোপ পায়, তাহা বলা কঠিন। খৃঃ পূঃ ৩য় শতাব্দী পৰ্য্যন্ত কাচ এদেশে মহার্ঘ্য বস্তু ছিল । অর্থশাস্ত্রের কথা আগেই লিখিত হইয়াছে। স্বশ্ৰুতও এক নিশ্বাসে কাচ ও দুমূল্য স্ফটিকনিৰ্ম্মিত পাত্রের কথা বলিয়াছেন। অমরের সময় ইহা এদেশে প্রচুর পরিমাণে প্রস্তুত ইত বলিয়া বোধ হয় এবং সেই কারণেই ইহা স্থলভ হইয়া অর্থশাস্ত্রের “কাচমণয়ঃ”র উচ্চস্থান হইতে অমরের “মৃদভেদ” মাত্রের স্থানে পতিত হয়। অমরের পরবর্তী অভিধানলেখকগণ অমরেরই অনুসরণ করিয়াছেন। কেবলমাত্র “মহাবুৎপত্তি” গ্রন্থে “কাচক” হইত