পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՖՆ প্রবাসী—বৈশাখ, IVHම් [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ম্যান তাহার বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ করিতে না পারায় তাহার নিদোমিতায় বিশ্বাস দৃঢ়তর হইবে। স্বভাষবাবুর বিচার কেন হইতেছে না। সম্প্রতি পালেমেণ্টে প্রশ্ন হইয়াছিল, যে, সুভাষবাবুর কেন বিচার হয় নাই এবং কখন তাহা হইবে। উত্তরে লর্ড উইন্টার্টন সেই পুরাতন অসত্য কারণের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সুভাষবাবুর বিচার প্রকাশ্য আদালতে করিতে হইলেযে-সব সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেওয়াইতে হইবে, বিপ্লবপ্রয়াসীরা তাহাদিগকে খুন করিবে । ক্যালকাটা উঈক্লী নোট সে শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র চৌধুরী বহুপূৰ্ব্বে বিপ্লবচেষ্টা অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রকাশ্য বিচারের একাধিক দৃষ্টান্ত হইতে দেখাইয়াছেন, যে, ঐ প্রকাশ্য বিচারের ফলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দণ্ডিত হইয়াছে কিন্তু কোন সাক্ষী হত হয় নাই । পরে পণ্ডিত মোতীলাল নেহরু ও অন্য কোন কোন সভ্য ব্যবস্থাপক সভাতেও সাক্ষী খুন হইবার আশঙ্কারূপ বিপ্লবী বলিয়া সন্দেহভাজন লোকদের প্রকাশ বিচার না করিবার ওজুহাত যে নিতান্তই বাজে, তাহা একাধিক দুষ্টান্ত দ্বারা প্রমাণ করিয়া দেন। কিন্তু যেমন অন্যান্য কোন কোন বিষয়ে দেখা গিয়াছে, যে, ভারতশাসনসংশ্লিষ্ট ইংরেজ রাজপুরুষেরা তর্কে পরাজিত হইলেও তর্ক করিতে ছাড়েন না, এক্ষেত্রেও তেমনি তাহারা পুরাতন বুলি ছাড়িতেছেন না। র্তাহীদের কবি গোল্ডস্মিথ একজন গুরুমহাশয়ের বর্ণনা করিতে গিয়া বলিয়া গিয়াছেন, “Even though vanquished he could argue still.” “তর্কে হারিলেও তিনি তর্ক করিতে পারিতেন।” বক্ষ্যমাণ রাজপুরুষেরাও ঐ ছাচে ঢালা । তবে একটা কথা সত্য হইতে পারে। সুভাষ বাবুর বা অন্যান্য রাজবন্দীদের বিরুদ্ধে যাহারা মিথ্য প্রমাণ সংগ্রহ বা স্বষ্টি করিয়াছে, তাহার হয় ত এমন লোক, যে, তাহাদিগকে একবার সাক্ষীরূপে হাজীর করিলে গোয়েন্দা-বিভাগ আর তাহদের নিকট হইতে কাজ পাইবে না। কারণ, তাহার একবার গোয়েন্দাবিভাগের নিমকহালাল বলিয়া পরিচিত হইলে আর এখনকার মত অসন্দিগ্ধভাবে সাৰ্ব্বজনিক কাজে যোগ দিয়া গোয়েন্দা-বিভাগের সেবা করিতে পারিবে না । অনিলবরণ রায়ের মুক্তি যখন সরকার বাহাদুর বিচার না করিয়া আনিলবরণ রায় মহাশয়কে মুক্তি দিয়াছেন, তখন আশা করা যায়, র্তাহার সম্বন্ধে তাহারা হয় নিজেদের ভ্রম বুঝিতে পারিয়াছেন, কিম্বা তাঙ্গর মত নিরপরাধ লোককে যে রাজনৈতিক প্রয়োজনে - বন্দী করিয়াছিলেন, সে প্রয়োজন এখন আর বিদ্যমান নাই। এখন তিনি দীর্ঘজীবী হইয়া দেশের সেবা করিতে থাকুন। বাকুড়ার লোকেব। তাহার যে অভ্যর্থনা করিয়াছেন, তিনি সৰ্ব্বথ তাহার মোগ্য । যদি মৃভাষবাবুর ও অন্যান্য বন্দীদের সম্বন্ধেও সরকার নিজের ভ্রম বুঝিতে পারেন, কিম্বা যে রাজনৈতিক প্রয়োজনে তাহীদের মত নির্দোয লোকদিগকে বন্দী করা দরকার মনে হইয়াছিল, সে প্রয়োজন আর না থাকে, তাহা হইলে, আশা করা যায়, যে র্তাহারাও অচিরে বন্ধনমুক্ত হইবেন । দেশের জন্য যাহারা এত কষ্ট পাইলেন, তাহারা আবার অবাধে দেশহিতব্ৰত পালনে নিযুক্ত হউন, ইহা প্রকৃত দেশহিতৈষী মাত্রেরই হৃদগত অভিলাধ । স্যার কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত শ্ৰীযুক্ত কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত পচাত্তর বৎসর পূৰ্ব্বে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি বিলাত গিয়া সিবিল সার্বিসের প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হইয়া দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন। তিনি নান। সরকারী কাজ খুব যোগ্যতার সহিত করিয়া রেভিনিউ বোর্ডের সভ্য, আবগারী কমিশনার ও উড়িষ্যা বিভাগের কমিশনর হন । যোগ্যতা অনুসারে এবং প্রবীণতম সিভিলিয়ান বলিয়া তাঁহাকে বাংলাদেশের লেফটেনাণ্ট গবর্ণর বা ছোটলাট করা উচিত ছিল । কিন্তু তিনি ভারতীয় বলিয়া গবন্মেণ্ট এতটা ন্যায়পরায়ণ হইতে পারেন নাই । তাহাকে সরকার লাটসাহেব না করিয়া মাছধরা বিভাগের কৰ্ত্ত করিয়াছিলেন । পরে তাহাকে লণ্ডনে