পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ఫిఫి. প্রবাসী—বৈশাখ, তাভিষিক্ত ক’রে চলেছে । সুতরাং প্রবাসী জাতির গৰ্ব্ব ও গৌরবের জিনিষ । এই যৌবন-পুষ্ট মাত্রটিকে তার নব বর্ষের অজানিত পথযাত্রায় অভিনন্দিত করবার জন্য আমার মনের ভিতর তাজ যে-কামনা ছন্দিত হ’য়ে উঠেছে, তাই সত্যিকার ছন্দে ধ’রে প্রবাসীকে উদঙ্গর পাঠাচ্ছি । এই শুভেচ্ছার সঙ্গে আপনি ও আমার নব বধের শ্রদ্ধাপূর্ণ নমস্কার গ্রহণ করুন । দুর্গম বাত্রীর পথে একান্ত নিৰ্ভীক— সত্য সাক্, কণ্ঠে তব অগ্নিময় বাণী, প্রাবৃটের মেঘ তার বসন্তের পিক— এক সঙ্গে এ দু'য়েরে মিলায়েছ আনি । বিজলি నిలిరి [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ভাষা দিয়ে রচেছ ভাবের ইন্দ্রজাল, ওস্তাদ জহুরী তুমি—পাব। মণিকার । • যে-গৌরবে দীপ্ত আজি বাঙ্গালার ভাল, কিছু কম নহে তাহে কৃতিত্ব তোমার । নেীতির জীবনে যাহা সত্য ও সুন্দর, পত্রে পত্রে আঁক। তব তাহারি দীপালী, প্রবাসে তোমার জন্ম—তবু নহ পর, বাংলার আত্মজ তুমি-খাটি সে বাঙালী । দাড়ায়েষ্ট পচিশের প্রাস্তে আজি আসি, শুভ হোক মাত্রা তব—জয়তু প্রবাসী । শ্ৰী চেমেন্দ্রলাল রায় শ্ৰী শ্রীধর শু্যামল যবে কালবৈশাখীর ধূমল করাল কালে জাগি ধররে বিস্মিত করি’ গগনে সঘনে দেয় হানী’ অম্বরে ডম্বর বাজে-কে গে৷ তুমি চকিতে চমকি? রুষে ওঠ দিকে দিকে প্রসারিয়া শতদীর্ঘক্ষণ ? স্বনে’ ওঠে নিঃস্ব বায়ু, বিশ্ব ব্যাপি উড়ে যায় ধূলি, তিমির-মগন ধরা—অবলুপ্ত গ্ৰহ চন্দ্র তারা, নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে ওঠে তরুশীর্ষ সঘনে আন্দোলি’, সহসা পাস্থের প্রাণে স্তব্ধ হয়ে যায় রক্ত-ধারা। জলে ওঠ আরবার—জলে হঠ হে প্রলয়ঙ্করী ! ঝঙ্কার সঙ্গিনী তুমি—হে ভীষণা কালের কিঙ্করী ! ই নো-হানে দিকে দিকে দিগন্ত-প্রসারী মহাভীতি ; নিবিড়-জলদ-জালে তীব্র-করেজ্জিল তব জ্যোতিঃ । ঘেথা মিথ্য অত্যাচার রুদ্র তেজে ক্রুদ্ধ রূপ ধরে, দুৰ্ব্বল যেথায় পড়ে প্রবলের বিরাটু থপরে, যেথা নীচ স্বাৰ্থ বসে নিজ হাতে অন্ধকূপ গড়ে, ঘুণ যেথা বাধা আছে অ’পনার রচিত নিগড়ে, মহিমার মহাম্রোত পঙ্কিল করে কে মূঢ়মতি, (স্থায় ঝলকি ধাকৃ—তীব্র-করোঙ্গলে তব জ্যোতিঃ হানে হানে আরবার রুদ্র তেজ কালের কিঙ্করী, বঞ্চার সঙ্গিনী তুমি, হে ভীষণ হে প্রলয়ঙ্করী !