পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖ግ8 বসিল এবং বেশ ভাল করিয়াই পাশ করিল । কাজেই মহীধর পথন হরিকেশবের সুন্দরী কন্য। গৌরীকে পুত্রবধু করিতে চাঙ্গিলেন তখন অলস জমিদার-গোষ্ঠীর বৃহের উপর শ্রদ্ধ না থাকিলেও ছেলের রূপ ও গুণ দেখিয়া হরিকেশব রাজি হয় গেলেন। পনের দিকটা শুনিয়া বাড়ীর আর পাচজনে ত আনন্দে দি শাহারা । গেীরীর কপাল-জোর ত{াছে বটে । গেীরীর কপালে অবশ্য ধন-দৌলত রূপ-গুণ কিছুই টিকিল না ; কিন্তু গৌরীর বিবাহের সূত্র পরিস। সেই ধনদৌলতের দিকে আর পাচজনের দৃষ্টি পড়িল । গেীরীর বিবাহের আগে জামাইকে আশীৰ্ব্বাদ করিবার সময় হরিসাধন দাদার সঙ্গে কুটুম্ব বাড়ী গিয়াছিলেন, আবার বিবাহের পব গৌরীকে শ্বশুর বাড়া হইতে আনিতেও হরিসাধনই গিয়াছিলেন । মহীধরের অতুল ঐশ্বৰ্য্য, তাহাতে কুটুমবাড়ীর লোক আসিয়াছে, স্বতরাং ঐশ্বধ্যের ছট। হরিসাধনকে দেখিয়া যে দিকে বিদিকে ছড়াইয়। পড়িবে তাহ বলাই বাহুল্য। সোনার ডিবায় পান, রূপার গাড়তে জল ত আসিলন্ত, বৈবাহিকের মনোরঞ্জন করিবার জন্য জমিদার কায়দায় সহর হইতে বাই আসিল নাচিতে গাহিতে, গ্রাম হইতে যাত্র। কীৰ্ত্তন আসিল ধৰ্ম্মকথা শুনাচতে । বাবুর ছেলের বিবাহ, বেহাই আসিয়াছেন, কাজেই বাইজী পাওনা টাকার উপর কিছু বকুশিশও দাবী করিল। বাবুর হাতের হীরার আঙটিটার প্রশংসায় সে কেন যে মাতিয়া উঠিল বলা যায় না । দেখ। গেল বাবু বিদায়কালে নিতান্ত হেলা ভরে হাস্যমুখে সেই আংটিটাই বাইজীকে বকুশিশ করিয়া ফেলিলেন । আহারের সময় পঞ্চাশ ন হোক পচিশ ব্যঞ্জম ত পুরা ছিলই, তাহার উপর ছিল মিষ্টান্ন ও ফল আরে। পচিশ রকম। হরিসাধন এক সপ্তাহে অনেক চেষ্টায় ধা খাইয়| উঠিতে পারেন না, এক বেলায় তাহ তাহার সম্মুখে সাজানো হইত। তাহার পর সেই বিপুল আয়োজন দাস-দাসীদের ভোগেই বেশীর ভাগ যাইত । গোপনে কিছু আশ্রিত কুটুম্বজনের ঘরে ঘরেও পৌছিত ; তবে সেটা প্রকাশে বলা বারণ, কারণ মুখুজ্যে বাড়ীর লোকে ত আর উচ্ছিষ্ট থাইতে পারে ন! } - تاکا প্রবাসী---জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ [ ২৬প ভাগ ১ম খণ্ড কুটুমবাড়ীতে তিন বেলার বেশী তিনি থাকেন নাই ; কিন্তু ইহাতেই তাহার চমক লাগিয়া গিয়াছিল । বনিয়াদী বাড়ীর সব বনিয়াদী চাল যে র্তাহার ভাল লাগিয়াছিল তাই বলা যায় না , অনেক জিনিষ তাহাকে চোক কান বুঙ্গিয়া না দেখার ভাণ করিয়া সহিয়া ধাইতে হইয়াছিল, কিন্তু তবু সোনারূপার জৌলুষট। তাহার চোপের সম্মুখে তিনবেল ধে মৃত্য করিয়৷ বেড়াইয়াছিল, সেটা তিনি সহজে . ভুলিতে পারেন নাই । কাজেই তাইhর ও যে তিনটি মেয়ে আছে এবং ময়না মেয়েটি যে দেখিতে বেশ সুন্দরীই একথা তাহার পরিবরিচ মনে পড়িতেছিল । কিন্তু হরিসাধন আপ্যাপক মাতুয, দাদার মতন তাহার টাকা নাই, তাহার কাছে মাচিয়া মেয়ে কেউ চাহে ও নাই । এখন অবস্থায় বড় ঘরের সঙ্গে কথাটা পাড়েন কি করিয়া ? তবে একটা স্ত্র বিধা এই ছিল যে, বাড়ীর তপনকার বিবাহযোগ্য ছেলেটির বয়স মাত্র চৌদ্দ বৎসর । তাহাকে চট করিয়া কেহ লুফিয়া লক্টর। যাইবে এমন না ও হরিসাধন তলে তলে-খোজ রাখিতে যথাসাধ্য টাকারও জোগাড় করিতে এপনত ধে হইতে পারে | লাগিলেন এবং লাগিলেন । একেবারে শুধু হাতে প্রস্তাবটা করিতে র্তাহার ভর সী হইল না । মুখুজ্যে বাড়ীর লোকে মূপে র্তাহার কাছে টাকা চাহিবে না তাই তিনি জানিতেন ; কিন্তু তাঙ্গদের মর্য্যাদা অনুযায়ী অাদর, অভ্যর্থন, উৎসব, যৌতুক, বর ও কন্যা সজার আয়োজন না করিয়া একথা তাহাদের কাছে আপন হইতে তোল যে তাহণদের অপমান করা তাঙ্গ ও তিনি বিলক্ষণ বুঝিতেন । তাহার আশা ছিল হাজার দশেক টাকা জোগাড় কবিতে পারিলে আর কয়েক হাজার দাদার কাছেই চাহিয়া পাওয়৷ যাইবে । দাদ। সদাশিব মাতুম, ছোট ভাইটির বন্যfদায়ে কি আর সাধ্যমত সাহায্য না করিয়া পরিবেন ? জল্পনা কল্পনা ও জোগাড় যন্ত্রেই দুই বৎসর কাটিয়া গেল। হরিসাধন মহীধরের ভ্রাতা স্থষ্টিধরের কাছে চর পঠাইয়া খোজ লইতে লাগিলেন র্তাহার ছেলেটির জমিদার বাড়ীর বাহিরে বিবাহ দেওযায় তাহার আপত্তি