পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سbسbج যায়। পুরোহিত মোরগটি ও বৃৰ্গীটি বহন করিয়া লইয়া যায়। তাঙ্গাদের পশ্চাতে-পশ্চাতে কন্যা ও একদল স্বীলোক-পরিবেষ্টিত ইয়া বরের বাড়ীতে যায় । সেখানে কন্যা ও তাঙ্গর সঙ্গের মেয়ের ছাউংএর এক কোণে ঠিক দরজার নিকটে বসে। তারপর ধীরে-ধীরে অন্যান্য নিমস্থিত ব্যক্তিরা ৪ বরের বাড়ীর দিকে অগ্রসর হয়। মেয়েদের ঠিক বিপরীত দিকে ঘরের আর-এক কোণে পুরুসের বসে । পুরুসের তখন পুনরায় গান ; নাচ আরম্ভ করে, তারপর বরকে আহবান করা হয়। বর কিন্তু অন্য-এক কুঠরীতে থাকে। কাজেই সে যেন তারাইয়। গিয়াছে, এরূপভাবে তাঙ্গার অতুসন্ধান করা হয় ও তাতাকে খুজিয়া পাইবfমাত্র লোকের চীংকার করিয় ওঠে। তপন তাহারা তাঙ্গকে নদীর ধারে লইয়া যায়, উত্তমরূপে স্নান করায় ও তারপর গুঠে ফিরিয়া তাতাকে যুদ্ধ-সজ্জায় সজ্জিত করে। ইহা শেষ হইলে মেয়ের পুনরায় কন্যাকে তাঙ্গর নিজের বাড়ীতে লইয়া যায় ও সবাই একত্রে কন্যাকে বেষ্টন করিয়া বসে । বরের বাড়ীতে অবস্থিত নিমস্থিত ব্যক্তির কহার এই পৌছান সংবাদ পাইবামাত্র মদ্য ও খাদ্যাদি লইয়। বরসমেত কন্যার বাড়ীতে প্রস্থান করিবার উপক্রম করে । ইহাতে বরের পিতা, মাতা ও অদ্যান্য আত্মীয়-স্বজনের অত্যন্ত কঁাদা কাটি করিতে থাকে —বরকে তাঙ্গদের হাত হইতে মুক্ত করিয়া লইবার জন্য কিছুক্ষণ বল-প্রয়োগ করিয়া থামিয়া ধায় । তৎপর কন্যার পিত | আগে পথ-প্রদর্শকরূপে, তার পর বর ও তাহার পশ্চাতে কন্য-পক্ষীয় অন্যান্য লোক বরের বাড়ী হইতে যাত্র করে ; কন্যার বাড়ীতে তাঙ্গর ঢুকিবামাত্রই সবাই চীংকার করিয় ওঠে ৭ বরকে লইয়া গিয়। কন্যার ঠিক দক্ষিণ পাশে বসাঈয় দেয় । তারপর পুরোহিত যে পৰ্য্যন্ত থামিতে না বলে, সে পৰ্য্যন্ত তাহারা সকলেই গান করিতে ৪ মাচিতে থাকে। ইঙ্গর পর সকলে নিস্তব্ধ হইলে পুরোহিত বর-কনের সামনে যাইয়। কতকগুলি প্রশ্ন জিজ্ঞাস করে। তাহাতে সেখানে উপস্থিত সকলেই “তুম মুম।” এই বলিয়া উত্তর দেয়। এইরকম করিয়া কয়েক মিনিট অতিবাহিত হইবার পর মোরগ ও মুরগী দুইটিকেই তথায় আনা হয়। তখন পুরোহিত তাহদের ডানা ধরিয়া শূন্যে প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড উচ করিয়া ধরে ৪ তাহাদের দিকে চাহিয়া আবার কতকগুলি প্রশ্ন জিজ্ঞাস করে । তাহার উত্তরেও সকলেই “তুম কুমা” বলিয়া উত্তর দেয় । তারপর কতকগুলি শস্ত আনিয়া মোরগ ও মৃবৃগী উভয়ের সামনে ছড়াইয় দেওয়া হয়। তখন তাহারা তাহ খুটিয়া থাইতে আরম্ভ করে । এই সুযোগে পুরোহিত একখণ্ড যষ্টি দ্বারা ঠিক তাতাদের মস্তকে আঘাত করিয় তাহাদের মারিয়া ফেলে। উপস্থিত ব্যক্তির তখন তাহার দিকে তাকাইয়া থাকার পর চীংকার করিয়া ওঠে, তারপর পুরোহিত একগান ছুরি দিয়া প্রথমে মোরগের ও তৎপরে মুরগীর পশ্চাদেশ কাটিয়া ফেলিয়া নাড়ী বাহির করিয় ফেলে। সকলেই তপন “তুম হুমা’ বলিয়া হর্ষপবনি করিতে পাকে । গারোরা মনে করে, তাহীদের বিবাহের শুভাশুভ এই শেষোক্ত প্রথাটির ওপরই বিশেষভাবে নির্ভর করে । যদি যষ্টির আঘাতের সঙ্গে মোরগ ও মুরগীর দেহ হইতে রক্তপাত হয়, ব। যদি নাড়ী বাহির করিবার সময় কোন নাড়ী ছিড়িয়া যায়, তবে তাহার সে বিবাহকে অশুভকর বলিয়| আশঙ্কা করে। পূৰ্ব্বোক্ত প্রথাগুলি যথারীতি সম্পন্ন শুইলে পর বর ও কন্যা একপাত্রে মদ্য পান করে ও সেই মদ্যপাত্র উপস্থিত অদ্যান্য লোকদিগকে দেয় । তপন মিলিয়৷ ভোজন ও ফুৰ্ত্তি করিতে থাকে। গারোদের ভিতরে স্ত্রীলোকেরই প্রাধান্য বেশী । গারোর মারা গেলে তাদের নিজের ছেলেরা উত্তরাধিকারী হয় না, উত্তরাধিকারী হয় তাহদের ভাগিনেয়র । গারোরাও হিন্দুদের মত মৃতদেহের সংকণর করিয়৷ থাকে । সাধারণ গারোদের মৃতদেহ সৎকারের মধ্যে কোন বিশেষ নূতনত্ব নাই। তবে উচ্চপদস্থ গাবে বা গারো সর্দার বুনিয়াদের কথ! স্বতন্ত্র । তাহীদের কেহ যদি মারা যায়, তবে তাহার সংকরের সময় একটি বৃয বলি দেওয়া হয় ও মৃতদেহের সহিত ঐ বৃষ-মুগুটিও দাহ করা হয় । কখনও-কথন ও বুস-বলির পরিবর্তে নর-বলি ও দেওয়া ষ্ট্ৰয় । “রুগ” ও “ছিবক” ব্যতীত প্রায় অন্যান্য সকল গারোদের ভিতরেই আর-একটা অদ্ভূত প্রথা আছে কোন বাড়ীতে কেহ মারা গেলে প্রথমে গারোর তাহার| সকলে