পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা । পরিপূর্ণ করিয়! বিরাজ করিতেছে । আজ তারই আসনে টান পড়ি. বেদনায় হৃদয়ের সমস্ত শিরা উপশিরা যেন ছিড়িয়া আসিতেছে । ভিতরে-বাহিরে, বাস্তবে-কল্পনায়, নিজের ভাগ্য এমন জটিল পাকে ও মাহুষে পাকায় । আজ এই রাত্রিতে প্রাণে যে ব্যথার প্রদীপ জলিয়া উঠিল অনতিদূরে এমনি আর এক রাত্রে আলো জালাইয়া, বাজনা বাজাইয়! সমারোহ করিয় তাহা নিবাইয়া ফেলিতে ইবে । জীবনস্রোত সমুদ্রাভিমুগে ছুটিয়াছে বলিয়া সে নিশ্চিন্ত ছিল । আজ দেখে তার মুখ পাতালের দিকে, আর একটি বাক ঘুরিয়া অতল ভূগর্ভে প্রবেশ করিবে । সেখানে পথ নাই, আলো নাই—অনন্ত অন্ধকার, জীবন্থ সমাধি । মুতু্য ভিন্ন মুক্তি নাই । লজ্জা ! লাজ ! লাজ ! নিদারুণ অসত্যকে এখন অসত্য বলিয়। স্বীকার করিতেই লোকলজ্জার সীমা নাই । সে আকাশের চাদ গ্রহণ করিয়া বসিয়া আছে, কেমন করিয়া কোন মুথে এখন বলে, আকাশ-প্রদীপই তাহার আলো, চাদ তাহার জীবনে অক্ষয় অমাবস্যা ? জানালার গরদে ধরিয়৷ অমিত অবসন্ন দেহ এলাইয়া দিল । সুপ্ত গভীর রাত্ৰি থম থম করিতে লাগিল, তাহারই সম্মুখে দাড়াইয়া মনে হইল একধারে সে, আর বহুদূরে “সব চেয়ে মিষ্টি” সত্য-মিথ্যায় Rసిసి অন্য প্রাস্তে শিশির, মাঝখানে এই অন্ধকাররাশি অনন্তু বিচ্ছেদ সষ্টি করিয়া জমাট বাধিয়া দাড়াইয়া আছে । অমিতার দুই চোগ দিয়া অশ্রুধারা বহিতে লা গল । ভোরের শীতল বাতাস নি:শব্দ-সঞ্চরণে তাহার উত্তপ্ত মুখে সাম্বনীর হাত বুলাইয়া দিল, পূৰ্ব্ব-আকাশে গ্যাসের আলোর ওধারে আঁধারের রং ফিক হইয়া গেল, অমিতা একইভাবে চোখের জলে রাত্রির বুক ভাসাইতে লাগিল । আপনার মৰ্ম্মান্তিক ভ্রান্থির উপর তাগর হৃদয় যেন উপুডু হইয়া পড়িয়া সমানে মাপ কুটিতে লাগিল । 来源 来源 来 সুন্দ-বাবু আশা করিয়াছিলেন বিবাহ সমাধা না হওয়া পয্যন্ত ব্যাপারটা চাপ থাকিবে, সেদিকে কন্যার অগোচরে চেষ্টাও করিয়াছিলেন, কিন্তু তবুও রাষ্ট্র হইয় পড়িল যে শিশিরেরই সহিত অমিতার বিবাহ । চারিদিকে একটা ঢ়ি টি পড়িয়া গেল । পুরুষের বলিলেন মেয়েটার মাথা ত বরাবরই খারাপ। সঙ্গে সঙ্গে বাপও পাগল হইয়াছে। অমিতার সাহিত্যনুসর্গী ও সমাজ-সেবায় সহকর্মিণীগণ অবাক হইয়া ধিক্কার দিল, সোনা ফেলে আঁচলে গেরো। ছিঃ ! সমস্ত দুনাম ধিক্কার মাথ৷ পাতিয়া লইয়া অমিতা নিভৃতে শিশিরকে হাসিয়া কংিল, ছিল । এতও কপালে “সব চেয়ে মিষ্টি” শ্রী রাধারমণ বিশ্বাস, বি-এ সব চেয়ে মিষ্টি কি সব চেয়ে মিষ্টি শরতের সন্ধ্যা—কি জ্যৈষ্ঠের বৃষ্টি ? সাততলা রাজপুর মৰ্ম্মর প্রস্তর, হিরকের ঝিলিমুলি মুকুতার থর থর, চক্‌মক্‌ বিদ্যুৎ সজ্জিত কক্ষ, ফুৰ্ত্তির হিল্লোল তৃপ্ত যে বক্ষ ; অশ্বের হুেষারব সৈন্যের সঙ্গীন মন্দির মসগুল—অঞ্চল রঙ্গীন ! —মরতের মাঝে এই স্বর্গের সষ্টি সব চেয়ে মিষ্টি কি সব চেয়ে মিষ্টি ? মালিনীর তীরে ঐ শান্তির কুঞ্জ, পুষ্পের গন্ধ ও ভোমরার পুঞ্জ ; তপোবন অম্লখন--সামগান ঝঙ্কার, সৌম্য সে ঋষিমুখে প্ৰণবের ওঙ্কার, মুগ চরে পাশে তার শাস্ত যে সিংহ প্ৰহলাদ আছে হেথা—নাইত নৃসিংহ ; —রাগদ্বেষ বর্জিত শাস্তির সৃষ্টি সব চেয়ে মিষ্টি কি সব চেয়ে মিষ্টি ? পল্লীর কোলে দোলে বকুলের পল্লব সারি গায় ডালে তার শোনে তার বল্লভ । তলে চামী দম্পতী অল্পই সংসার * তুলসীর তল মোছা হাসি-ভর ঘরদ্বার। সন্ধ্যায় এল স্বামী দেহ অতি ক্লাস্ত পাথা নিয়ে পাশে বসে স্ত্রী উদ্ভাস্ত ; —স্বেদসিক্তের পরে সেই স্মিত দৃষ্টি সব চেয়ে মিষ্টি গে। সব চেয়ে মিষ্টি ।