পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] “উৰ্ব্বশী* రిషి :) মোম-বাতি নিজ কালামুখ অমূল্য সম্পদ শুধু নয়, করিলে প্রদীপ্ত তার রূপে; সেই সব ধনের ভাণ্ডার । গৃহে গৃহে পতঙ্গ হাজার তুমি আর আমি দুজনায় সেই রূপে ঝাপ দেয় চুপে ॥ কাজ বলে মরীচিকা খুজি,— তারি রূপ-কিরণ-সম্পাতে নিরর্থক চিস্ত মাত্র শুধু হলো সুৰ্য্য মহাজ্যোতিষ্মান । নীলোৎপল জল ছাড়ি উঠে তারি রূপে করিবারে স্নান । তারি মুখ আদর্শ করিয়৷ লয়লী গড়িলো নিজ মুখ ; চরণ-রেণুর লাগি তার মজ নু যে প্রমত্ত উৎহক । শিরীর অধরে মধুধারা সেই তো করিলে বরিষ৭ ; পবি জের মন করে চুরি— ফহীদের জীবন হরণ । তাঁর রূপ বিতত বিছানে! সকল বস্তুতে সব স্থানে ; ধরার প্রেমিক যত সব ফিরে সদা তাহারি সন্ধানে । য়ুস্বফ কনানদেশ-শশী রূপবান রূপ পেয়ে তার ; সেই করে জুলেখার প্রাণে সৰ্ব্বনাশী প্রণয় সঞ্চার । আবরণ যতে কিছু আছে সকলের সেই আবরক। হৃদয়হারিত্ব যেথা যাহা সকলের সেই প্রণোদক । ওরি প্রেম লাভ করি আহ হৃদয়ের জীবন সফল : তাহার আগ্রহ করি লাভ কৃতার্থ যে প্রাণের সম্বল ৷ প্রতিটি হৃদয় করে যেই রূপ ও প্রেমের উপাসন, সে হৃদয় তারেই যাচিছে— জানে| তুমি অথবা জানে না। সাবধান ! ভ্ৰম করিয়ো না— বলো তুমি ইহাই এখন— প্রণয়ের আমি, আর সেই সৌন্দর্য্যের মূল প্রশ্রবণ । তুমি শুধু আয়না রূপের, সে-ই শোভ আয়নার মাঝে। তুমি গুপ্ত তুচ্ছ অপ্রকাশ, স্বব্যক্ত সে এ বিশ্ব-সমাজে ৷ এমন মধুর স্বধাখনি প্রশংসিত উত্তম প্রণয় তা থেকে নির্গত হয়ে পুনঃ তাহাতেই হয় গো বিলয় । ভেবে দেখো, বুঝিতে পারিবে— সেই তো আয়না আপনার ; আমাদের দুজনার পুজি ৷ অতএব চুপ দাও ভাই, অস্তহীন দীর্ঘ এ কাহিনী— হেনো বাক্যবাগীশ কোথায় বর্ণিবে যে সে বরবর্ণিনী । এই ভালো এই শ্রেয় প্রেয় তার প্রেমে ঘুরপাক খাই ; এ ছাড়া অপর কথা মিছা তুচ্ছ অতিতুচ্ছ ভস্ম ছাই। বায়োলজি বা জীববিদ্যার দিক্ দিয়েও এই তত্বের যাথার্থ্য বিচার করা যায়। জীবদের মধ্যে সৌন্দর্য্যস্বরূপিনী হচ্ছে স্ত্রী, মানুষের চক্ষে মানবী “স্থষ্টির আদোব ধাতুঃ” বিধাতার প্রথম স্বষ্টি, “চিত্রে নিবেশু পরিকল্পিত সত্বযোগাঃ” বিধাতা আগে ছবি একে পরে তাতে জীবন সঞ্চার করে’ নারীকে হুষ্টি করেছিলেন “একস্থ সৌন্দৰ্য্যাদি দৃক্ষয়েব” সব সৌন্দৰ্য্য একটি আধারে রেখে দেখবার জন্যে; রবীন্দ্রনাথ নারী-রহস্য বিশ্লেষণ করে’ বলেছেন— যে ভাবে রমণী-রূপে আপন মাধুরী আপনি বিশ্বের নাথ করিছেন চুরি ; যে ভাবে সুন্দর তিনি বিশ্বচরাচরে, যে ভাবে আননা তার প্রেমে খেলা করে,— zik 率 事 ■ হে রমণী, ক্ষণকাল আসি মেীর পাশে চিত্ত ভরি" দিলে সেই রহস্য-অাভাসে । এরূপ নারী-বন্দনা সকল দেশের ও কালের কবিরা করে গেছেন । বঙ্কিম-বাবুর কমলাকাস্ত-রূপী মানুষের চোখে ইতর জীবের স্ত্রীজাতি পুরুষের তুলনায় অস্বন্দর হলেও পুরুষের সব সৌন্দর্য্যের ঐশ্বৰ্য্য ঐ স্ত্রীর মনোহরণের চেষ্টাতেই। এই স্ত্রী বাস্তবিকই জীবজগতে “স্থটির আদ্যেব ধাতুঃ” বিধাতার প্রথম স্বষ্টি ; স্ত্রী-জীবের আদশে বহু পরে পুরুষ-জীবের স্বষ্টি হয় – “The male was created at a comparatively late period in the history of organic life, but soon began to assume more or less the form and character of the primary organism, which is then