পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যt ] বন্দুকের উপর ভর করে অতি কষ্টে এগিয়ে আসছে, তার উরুতে এই মাত্র একটা গুলি ঢুকেছে। লোকট। একজন ফেরারী। রাত্রে শহরে গিয়েছিল বারুদ আনতে, পথে একদল সরকারী পাহার-সৈন্তের ঘাটির সামনে পড়ে গিয়েছিল। রীতিমত লড়াই করে’ তাদের হাত থেকে পালিয়ে এসেছে বটে, কিন্তু তারা বরাবর পিছু নিয়েছে ; তাই গুলি চালাতে চালাতে, পাহাড় থেকে পাহাড়ে লাফিয়ে পড়ে' এতখানি পথ এসেছে। এখন তারাও খুব কাছে এসে পড়েছে, আর এদিকে বেচারীর পাও জখম হয়ে গেছে, তাই ধরা পড়বার আগেই ‘মাকী’তে পৌছনো এখন অসম্ভব । সে ফচুনাতোকে দেখে তার কাছে এসে বললে, “তুমি মাতেও ফাল কোনের ছেলে না ?” “#ff" “আমার নাম জানেত্তে সান পিয়েরো। আমায় শিগগির কোনোখানে লুকিয়ে ফ্যালে—পাহারাসৈন্য আমায় তাড়া করেছে, আমার আর একটুও চলবার ক্ষমতা নেই।” “বাবাকে জিজ্ঞেস না করে ত কিছু করতে পারিনে।’ “তোমার বাবা তাতে রাগ করবে না, বরং বলবে— তুমি ঠিকই করেছ।” “তা বলা যায় না ।” “শিগগির লুকিয়ে ফ্যালে—ওর এল বলে’ ” “একূটু দাড়াও না, বাবা আগে আক্ষক ।” “দাড়াব কি ! কচুপোড়া খেলে যা –ওরা যে পাঁচ ཧྥི༽་སྡི༔ মধ্যেই এসে পড়বে। শিগগির লুকো আমাকে, নইলে খুন করব।” ফৰ্চনাতে বেশ ধীর নিৰ্ব্বিকার ভাবে বললে— “তোমার বন্দুক ত’ ঠাসা নেই, থলিতেও একটা টোটা দেখছিনে।” “তুমি ত বাপু মাতেও ফালকোনের ছেলে নও ! বাড়ীর দরজা থেকে আমায় ধরিয়ে দেবে ?” e কথাগুলো শুনে ছেলেটার প্রাণে যেন একটু লাগল, তাই এগিয়ে গিয়ে বললে, “আচ্ছ, তোমায় যদি লুকিয়ে রাখি ত কি দেবে বল ?” R د-ایس-o\8 মাতেও ফালকোনে vඑ8\ළු তখন লোকটা তার কোমরে যে চামড়ার গেজেট ঝুলছিল তার ভিতর হাত চালিয়ে দিলে, দিয়ে হাতড়ে হাতড়ে একটি পাঁচ-ফ্রাঙ্ক টাকা বের করলে—সেটা বোধ হয় তার বারুদ কেনবার টাকা । তাই দেখে ফচুনাতোর মুখখান হাসি-হাসি হয়ে উঠল । সে খপ করে টাকাটা জানেত্তোর হাত থেকে নিয়ে বললে—“কিছু ভয় নেই তোমার ।” —তখনি বাড়ীর পাশে যে খড়ের গাদাটা ছিল তার মধ্যে একটা মস্ত গৰ্ত্ত করে ফেললে। জানেভে তার ভিতর আসন-পীড়ি হ’য়ে বসল। ছেলেট তাকে এমন করে ঢেকে দিলে,যাতে নিঃশ্বাস নেওয়ার একটু পথ থাকে, অথচ বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে না, যে একটা মানুষ তার ভিতর লুকিয়ে আছে। এই সঙ্গে তার মাথায় একটা খুব পাকা রকমের দুষ্টবুদ্ধি জোগাল—সে একটা বাচ্ছাসমেত ধাড়ী-বেড়াল নিয়ে এসে খড়ের উপর চাপিয়ে দিলে, দেখলেই মনে হবে, খড়গুলো অন্ততঃ কিছুকাল নাড়াচাড়া করা হয়-নি। তার পর বাড়ীর কানাচে, পথের উপর যে সব রক্তর দাগ ছিল, তার উপর বেশ করে’ ধূলে ছড়িয়ে দিয়ে—সে আগে যেমন করে শুয়েছিল—তেমনি রোদুরে হাত-পা ছড়িয়ে চুপচাপ শুয়ে রইল। মিনিট কতক পরেই, হলুদে-কুৰ্ত্তি-পরা ছ'জন সৈনিক আর তাদের সঙ্গে একজন হাবিলদার মাতেওর বাড়ীতে এসে হাজির হ’ল । এই কৰ্ম্মচারীটির সঙ্গে মাতেওর কি একটা দুর-সম্পর্ক ছিল। সকলেই জানেন, কর্সিকায় আত্মীয়-সম্পর্কের জের যতদূর টেনে চলে, এমন আর কোথাও নয়। লোকটার নাম তিয়োদোরো গাম্বা ; খুব কাজের লোক, ডাকাতরা তাকে ভারী ভয় করে— সে তাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে। ফচুনাতোকে দেখেই সে বলে উঠল, “কি ভাগ্নে, ভালো ত ?—আরে, এরি মধ্যে বেশ বড়-সড় হ’য়ে পড়েছিস যে —এথ খুনি এখান দিয়ে একটা লোককে যেতে দেখেছিস ?" “কই মামু, তোমার মতন বড় এখনো হইনি ত?” “হবি বৈকি, ক্রমেই হবি !—এখান দিয়ে একটা লোককে যেতে দেখেছিস ?”