পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W. G. 8 যিনি যাহাই মনে করুন, আমি নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি-অনুসারে নিরপেক্ষ ভাবে লিপিবার চেষ্টা করিয়! থাকি । ইহার বেশী কিছু দাবী করি না । কাপুরুষতা ও পৌরুষ সম্বন্ধে বৰ্ত্তমান সংখ্যার বিবিধ প্রসঙ্গে যাহা লিখিয়াছি, তাহাও এই মন্তব্যের সহিত পঠিতব্য। হিন্দু প্রতিবাদক মহাশয় আমার মন্তব্যের একটি অংশের অর্থ যেরূপ বুঝিয়াছেন, সেরূপ অর্থ কোন প্রকারেই করা যায় না, এরূপ বলিবার কোন ইচ্ছ। আমার নাই । কিন্তু যাহ। বলা আমার অভিপ্রেত ছিল, তাহ) জানাইতেছি। আমি একটি দৃষ্টান্ত দ্বারা তাহ বিশদ করিতে চেষ্টা করিব। কিন্তু আগেই বলিয়। রাখি, দৃষ্টান্তটি দ্বারা আমি হিন্দু বা মুসলমান কোন সম্প্রদায়ের সকল লোককেই অপরাধী বলিতেছি না। মনে করুন, বিচারকের নিকট একই রকমের এক-একটা অপকৰ্ম্মের নিমিত্ত বিচারের জন্য “ক” ও “খ” দুজন অপরাধীকে হাজির করা হইল। “ক” এই প্রথম বার অপরাধ করিয়াছে ও তঃহার বংশে কেহ ঐরাপ অপরাধ আগে করে নাই। “খ” কিন্তু অনেকবার ঐরাপ অপরাধ করিয়াছে, ও তাহীর সম্পর্কিত লোকেরাও অনেক বার করিয়াছে। এক্ষেত্রে বিচারকের পক্ষে আইন অনুসারে “খ"-কেই বেশী শাস্তি দিবীর সম্ভাবনা, এবং তাহ অন্যায়ও হইবে না। কিন্তু যদি স্থির করিতে হয়, যে, আলোচ্য একটিমাত্র অপকৰ্ম্ম কোন আসামীর বেশী ও অধিকতর শোচনীয় নৈতিক অধ:পতন সুচিত করে, তাহ হইলে আমরা বলিব “ক”এর । কারণ ঐরাপ কাজ করা “খ” এর অভ্যস্ত হইয়। গিয়াছিল, “ক’এর ত{হী নহে । যে দশবার অপকৰ্ম্ম করিয়াছে, তাহার একাদশ অপকৰ্ম্ম নুতন কোন অধঃপতন সুচনা করে না, কিন্তু “ক”এর প্রথম সেইরূপ অপকৰ্ম্ম অধঃপতনের লুচন করে। অবশ্য, ইহার দ্বারা বল হইতেছে না, যে, “খ” এর একাদশ অপকৰ্ম্ম দুষণায় বা দণ্ডনীয় নহে ; অবশ্যই দুষণীয় ও দণ্ডনীয় । Cào CN paying thein back in their own cuino” প্রতিহিংসা-নীতির উল্লেখ করিয়াছেন, লৌকিক ব্যবহারে তাহ অমুস্বত হইয় থাকে, স্বীকার করি । কিন্তু অক্রোধ ও ক্ষমা দ্বার ক্রোধকে এবং ঐতি দ্বারা বিদ্বেসকে পরাজয় করিবার নীতি হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্ৰীষ্টীয় শাস্ত্রে উপদিষ্ট হইয়াছে। এই নীতির সমর্থন করাই উচিত মনে করি । আত্মরক্ষ। এবং দুৰ্ব্বলের রক্ষা করিবার সময়ও বথাসম্ভব ক্রোধ, বিদ্বেষ ও উত্তেজন দমন করিতে পারিলে ধৰ্ম্মের আদর্শ অনুস্থত হয় এবং আত্মরক্ষা ও দুৰ্ব্বলের রক্ষার কাজও ভাল করিয়া হয় । কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের বিশুদ্ধীকরণ বৈশাখ সংখ্যার আলোচনার উত্তর আমার নামকরণটাই বলিয়া দিবে যে, আমি "কো-অপারেটিভ, ব্যাঙ্কগুলির বর্তমান কাৰ্য্যপদ্ধতির নিন্দ করি” নাই। পুর্ণ-বাবু নিজেই স্বীকার করিয়াছেন, যে, বিশুদ্ধীকরণ “গত দশ বৎসর হইতে চলিয়৷ আসিতেছে, " কিন্তু আমরা জানি এখনও শেষ হয় নাই। আমি এই সংস্কারের প্রতিবাদ করিয়াছি, সুতরাং উহ। বৰ্ত্তমান কাৰ্য্যপদ্ধতির নিন্দ হইতে পারে না। অধিকাংশ ব্যাঙ্কই এখনও মিশ্রধরণের, স্বতরাং আমি বৰ্ত্তমান কাৰ্য্যপদ্ধতির সমর্থন করি, সংস্কারের বিরোধী কেন? তাই বলিতেছি : ১ । পুর্ণবাবু প্রাথমিক সমিতির অংশীদারগণের “অসীম” দায়িত্বের কথা ৰলিয়াছেন । এই “অসীমত্বের” সীমাটা কত, কোন কুঁড়ে ঘরের cwto otov Stott logically s histolically fosta wfa cool প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ { ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড যাক্‌ ; যখন কোন কো-অপারেটিভ, সমিতি লিকুইডেশানে যায়, কেবল তখনই অসীম দায়িত্বের প্রশ্ন উঠিতে পারে, তৎপুর্বে নহে । সুতরাং কোন সেন্টাল ব্যাঙ্ক টাকার বাজারের নিত্য পরিবর্তনশীল অবস্থার পাকে পড়িয়া যদি দুরবস্থায় পতিত হয়, তখন তাহার প্রাপ্য টাকা আদায় করিবার জন্য যদি দায়ীক গ্রাম সমিতিগুলিকে লিকুইডেশানে তুলিয়া দিয়া টাকা আদায় করিতে হয়, তাহ হইলে কি অবস্থা দাড়াইতে পারে পূৰ্ণবাবু একটু বিচার করিয়া দেখিবেন । বলা বাহুল্য যে, গ্রাম্য সমিতিগুলির অসীম দায়িত্বযুক্ত মেম্বরদিগের নিকট চাওয়া মাত্রই সেন্টাল ব্যাঙ্কের দুর্দিনে তাহাকে রক্ষা করার জন্য টাকা পাওয়ার আশা করা বৃথা। কিন্তু প্রেফারেন্স শেয়ার-হোল্ডারগণের অবস্থা অন্তরূপ। উগ্ৰহণদের নিকট খরিদ শেয়ারের মূল্যের রিজার্ভ অৰ্দ্ধাংশের টাকা আদায় করিতে বিশেষ বেগ পাইতে হইবে না। বাস্তবিক দুৰ্দ্দিনে তাহারাই ব্যাঙ্ক রক্ষা করিবেন। ২। দ্বিতীয়তঃ, পূর্ণবাবু তো একটি সেন্টাল ব্যাঙ্কের পরিচালক । তিনি অবশ্যই রেজিষ্ট্রর সাহেবের ১৯১৯ সনের ১০নং বাংলা সকিউলারের মৰ্ম্ম অবগত আছেন। সেই সাকিউলার-অনুসারে কোনও গ্রাম্য সমিতির অসীম দায়িত্বসম্পন্ন মেম্বরের কৰ্ত্তবাবুদ্ধি-প্রণোদিত হইয়! এপর্য্যস্ত র্তাহীদের সমিতির প্রাপ্য অনাদায়ী টাকা নিজেদের মধ্যে চাদ করিয়া তুলিয়া দিয়াছে, এরূপ দৃষ্টান্ত পূৰ্ণবাবু একটিও দেখাইতে পারিবেন কি ? সুতরাং থাতপত্রের অসীম দায়িত্ব ঐ খাতাপত্রের চতুঃসীমার মধ্যেই আবদ্ধ, কার্যাক্ষেত্রে তাহার মূল্য অতি অল্প । ৩ । তৃতীয়তঃ, পুর্ণবাবু যে প্রেফারেন্স শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থপরতার ওজুহাতে তাহাদিগের প্রতি যে "বনং ব্রজেং" ব্যবস্থা করিয়াছেন, তাহ। কাগজপত্রে অতীব সুশোভন। সে শুভদিন উপস্থিত হইলে আমার মত আর কেহ সুখী হইবে না, এই কথাট। আমি অতি স্পৰ্দ্ধার সহিতই বলিয়া দিতে পারি। কিন্তু দুঃখের বিষয় বনং ব্রজেৎ' কথাটা আমার যেমন সত্য, “পঞ্চাশোৰ্দ্ধং" কথাটা তেমনই থাটি । সাধারণ মেম্বরগণ স্বহস্তে কাৰ্য্যভার গ্রহণ করিতে পারিলে প্রেফারেন্স শেয়ার-হোল্ডারগণ স্বইচ্ছায়ই বানপ্রস্থ অবলম্বন করিবেন। ইচ্ছায় না হউক অনিচ্ছায় নিশ্চয়ই। এ-তে সেই স্বরাজের দাবীর পুনরভিনয় । কিন্তু আজ যদি হঠাৎ প্রেফারেন্স শেয়ার-হোল্ডারগণ হাত ওটাইয়া লন, কয়ট। ব্যাঙ্ক টিকিয়! থাকিবে এবং কতজন ডিপজিটার টাকা অামানত রাখিবেন, পুর্ণবাবু তাহ হিসাব করিয়৷ দেখিয়াছেন কি ? সেইজন্যই অনিষ্টের আশঙ্কা করিয়াছি । সুতরাং সাধারণ মেম্বরগণের স্বরাজ্যলাভে অামার কোনই ঈর্ষ নাই । ৪ । চতুর্থতঃ, আমার কথার পরিপূরক এবং পূর্ণবাবুর “প্রত্যেক কারবারের কর্তৃত্বভার তাহার অংশীদারগণের উপর গুস্ত থাকে’ এই বলিয় যে দীর্ঘ মন্তব্য করিয়াছেন, তাহার উত্তরস্বরূপ আমি রেজিষ্ট্রার সাহেবের একটা অতি সুচিস্তিত ও অভিজ্ঞতালব্ধ সতর্ক বাণী উপস্থিত করিতেছি । ১৯২৩-২৪ সালের বাধিক রিপোর্টে তিনি বলিতেছেন :“অপ্রীতিকর হইলেও আমাকে পুন:-পুনঃ একথা সেন্টাল ব্যাঙ্ককগুলিকে স্মরণ করাইরা দিতে হইতেছে যে, তাহদের অধীনস্থ ক্রেডিট সমিতিগুলিকে গঠন ও সংশোধন না করা পর্য্যন্ত তাহার ষেন ব্যাঙ্কের টাকা ঐ সমিতিগুলিকে এত মুক্তহন্তে বিলাইরা না দেন। বড়ই দুঃখের বিষয় যে, ক্রেডিট সমিতি পরিচালনের জন্ত যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আবগুক, সমিতির পঞ্চায়েৎগণের মধ্যে তাহার একান্ত অভাববশতঃ সেন্টাল ব্যান্ধগুলিকেই প্রকৃত প্রস্তাবে তাহদের পরিচালনার ভার গ্রহণ করিতে হইতেছে। সাধারণ মেস্বরগণের, ৰিশেষতঃ পঞ্চায়েৎগণের শিক্ষার অভাবই যে ইহার মুলীভূত কারণ তাহা বলা নিম্প্রয়োজন -